হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ تَرَكَ صَلَاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُه. رَوَاهُ الْبُخَارِىُّ
বুরায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘আসরের সালাত ছেড়ে দিলো সে তার ‘আমাল বিনষ্ট করলো।
সহীহ : বুখারী ৫৫৩, নাসায়ী ৪৭৪, আহমাদ ২২৯৫৭, সহীহ আত্ তারগীব ৪৭৮,মিশকাত ৫৯৫।
★★এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ-
এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে অলসতা করে ‘আসরের সলাতকে পরিত্যাগ করা বুঝিয়েছে।
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় কেউ বলেছেন যে, হাদীসে যে ভয় দেখানো হয়েছে তা দ্বারা মূলত শক্ত ধমক দেয়া হয়েছে।
কারো মতে, এটা সাদৃশ্যের রূপকতা। অর্থাৎ- যে ‘আসরের সালাত ছেড়ে দিলো সে ঐ ব্যক্তির মতো যার ‘আমাল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য প্রয়োজনের সময় তার ‘আমাল উপকারে আসবে না।
ফাতহুল বারি গ্রন্থে আছেঃ
قيل: المراد من تركها جاحدا لوجوبها، أو معترفا لكن مستخفا مستهزئا بمن أقامها.
সারমর্মঃ
এখানে উদ্দেশ্য হলো যে ব্যাক্তি এই নামাজ আবশ্যকীয় হওয়া থেকে অস্বীকার করে ছেড়ে দেয়,তার ক্ষেত্রে এই বিধান।
কেহ কেহ বলেছেন যে ব্যাক্তি এই নামাজকে নিয়ে ঠাট্রা করবে,তার ক্ষেত্রে এই বিধান।
قيل معناه كاد أن يحبط،
সারমর্মঃ
কেহ কেহ বলেন,তার আমল বিনষ্ট হওয়ার নিকটতম।
وقيل المراد بالحبط نقصان العمل في ذلك الوقت الذي ترفع فيه الأعمال إلى الله
সারমর্মঃ
কেহ কেহ বলেন, আছরের নামাজ না পড়ে ঐ সময়ে যেই আমল সে করেছিলো,সেই আমল বিনষ্ট হওয়া এখানে উদ্দেশ্য।
তবে এর অধিকতর সঠিক ব্যাখ্যা হলো, এ হাদীসে ‘আসরের সলাত পরিত্যাগের শাস্তি স্বরূপ ‘আমাল বরবাদ হয়ে যাওয়াকে বুঝানো হয়নি। এর দ্বারা যারা এরূপ করে তাদের শক্ত ধমক দেয়া হয়েছে।