আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
304 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ।

আমার প্রশ্ন হলো (১) কেউ যদি আসরের সালাত না পড়ে তাহলে কি তাঁর আমল ধ্বংশ হয়ে যাবে?

বুরায়দাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দিলো সে তার আমল বিনষ্ট করলো ।

মিশকাত ৫৯৫ ।

এই হাদিসের ব্যাখা কি ??

কেউ যদি সালাত না পড়ে তাহলে কি তাঁর আমল আল্ল-হ্ কবুল করবেন না??

বিনষ্ট অর্থ তো ধ্বংশ বা নষ্ট ।

উত্তর দিবেন আশা করি । আসসালামু আলাইকুম ❤️

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ تَرَكَ صَلَاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُه. رَوَاهُ الْبُخَارِىُّ

বুরায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘আসরের সালাত ছেড়ে দিলো সে তার ‘আমাল বিনষ্ট করলো।
সহীহ : বুখারী ৫৫৩, নাসায়ী ৪৭৪, আহমাদ ২২৯৫৭, সহীহ আত্ তারগীব ৪৭৮,মিশকাত ৫৯৫।

★★এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ-
এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে অলসতা করে ‘আসরের সলাতকে পরিত্যাগ করা বুঝিয়েছে। 

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় কেউ বলেছেন যে, হাদীসে যে ভয় দেখানো হয়েছে তা দ্বারা মূলত শক্ত ধমক দেয়া হয়েছে। 

কারো মতে, এটা সাদৃশ্যের রূপকতা। অর্থাৎ- যে ‘আসরের সালাত ছেড়ে দিলো সে ঐ ব্যক্তির মতো যার ‘আমাল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য প্রয়োজনের সময় তার ‘আমাল উপকারে আসবে না।

ফাতহুল বারি গ্রন্থে আছেঃ

قيل: المراد من تركها جاحدا لوجوبها، أو معترفا لكن مستخفا مستهزئا بمن أقامها.
সারমর্মঃ
এখানে উদ্দেশ্য হলো যে ব্যাক্তি এই নামাজ আবশ্যকীয় হওয়া থেকে অস্বীকার করে ছেড়ে দেয়,তার ক্ষেত্রে এই বিধান।
কেহ কেহ বলেছেন যে ব্যাক্তি এই নামাজকে নিয়ে ঠাট্রা করবে,তার ক্ষেত্রে এই বিধান।     

قيل معناه كاد أن يحبط،
সারমর্মঃ
কেহ কেহ বলেন,তার আমল বিনষ্ট হওয়ার নিকটতম। 
  
 وقيل المراد بالحبط نقصان العمل في ذلك الوقت الذي ترفع فيه الأعمال إلى الله
সারমর্মঃ
কেহ কেহ বলেন, আছরের নামাজ না পড়ে ঐ সময়ে যেই আমল সে করেছিলো,সেই আমল বিনষ্ট হওয়া এখানে উদ্দেশ্য।   

তবে এর অধিকতর সঠিক ব্যাখ্যা হলো, এ হাদীসে ‘আসরের সলাত পরিত্যাগের শাস্তি স্বরূপ ‘আমাল বরবাদ হয়ে যাওয়াকে বুঝানো হয়নি। এর দ্বারা যারা এরূপ করে তাদের শক্ত ধমক দেয়া হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...