আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
163 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
ফযরের সালাতে ইমাম রুকুতে যাওয়ার একটু আগে পানি পান করি। ইমামের তিলাওয়াত শেষের দিকে হওয়ায় তাড়াতাড়ি ইক্তেদা করি।তখন সন্দেহ হয় যে মুখে পানি রয়ে গেছে।তাই নামাজ অবস্থায় জিহ্বায় হাত দেওয়ায় হাত অল্প একটু ভিজে যায়। এতে কি নামাজ ফাসিদ হয়ে গিয়েছিল? নামাজ অবস্থায় মুখ থেকে থুথু বের হলে কি নামাজ ফাসিদ হয়?আর আমি জিহ্বায় হাত দেয়ায় খুব বেশি পরিমান ভিজে নাই অর্থাৎ বেশী থুথু ও বের হয় নাই। আমার কি নামাজ দোহরাতে হবে ?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

নামাজরত অবস্থায় কিছু খেলে বা পান করলে নামাজ ভেঙে যায়। দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নামাজরত অবস্থায় খেলেও নামাজ ভেঙে যাবে। (মারাকিল ফালাহ ১/১২১, নূরুল ঈজাহ ১/৬৮)

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عن عطاء أنہ قال: لا یأکل ولا یشرب وہو یصلي، فإن فعل أعاد۔ (المصنف لعبد الرزاق، المکروہات / باب الکلا في الصلاۃ ۲؍۳۳۲ رقم: ۳۵۷۹، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۲۳۵ رقم: ۲۲۷۱ زکریا)

নামাজ রত অবস্থায় কোনো কিছু খাবেনা,পান করবেনা।

যদি কেহ এমন করে,তাহলে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করবে। 

 

وکذا أکلہ وشربہ مطلقاً ولو سمسمۃ ناسیاً (درمختار) ومثلہ ما أوقع في فیہ قطرۃ مطر فابتلعہا۔ (شامي ۲؍۳۸۲ زکریا، مراقي الفلاح ۱۷۷، البحر الرائق ۲؍۱۱، بدائع الصنائع ۱؍۵۵۴، حاشیۃ الطحطاوي ۳۲۳)

মতলকান খাওয়া,পান করার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়।    

 

وقال الطحطاوي: کان مضغہ مرات۔ (طحطاوي علی المراقي ۱۷۷، الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۱۰۲، بدائع الصنائع ۱؍۵۵۴، حاشیۃ الطحطاوي ۳۲۴)

 

ویفسدہا أکل ما بین أسنانہ إن کان کثیر وہو أي الکثیر قدر الحمّصۃ ولو بعمل قلیل لإمکان الاحتراز عنہ، بخلاف القلیل بعمل القلیل؛ لأنہ تبع لریقہ وإن کان بعمل کثیر فسد بالعمل۔ (مراقي الفلاح)

মুখের ভিতরেই যদি কোনো খাবার থাকে,বুটের চেয়ে ছোট হলে তা খাওয়ার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়না।

আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/5717/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 

না, নামাজ অবস্থায় মুখ থেকে থুথু বের হলে নামাজ ভাঙ্গে না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে গেছে। তাই তা আর দোহরানো লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 175 views
...