ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ،
أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ
قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلاَتِي وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَىَّ .
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ
لَهُ خِنْزِبٌ فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ وَاتْفِلْ عَلَى
يَسَارِكَ ثَلاَثًا " . قَالَ فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ
عَنِّي .
আবূল আলা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উসমান ইবনু আবূল আস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! শয়তান আমার এবং আমার
সালাত ও কিরআতের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে তা আমার জন্য এলোমেলো করে দেয়। তখন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওটা এক (প্রকারের) শয়তান যার
নাম ‘খিনযিব’। যখন তুমি তার উপস্থিতি অনুভব করবে তখন (আউযুবিল্লাহ পড়ে)
তার কবল থেকে আল্লাহর নামে আশ্রয় নিয়ে তিনবার তোমার বামদিকে থু থু নিক্ষেপ করবে।
তিনি বলেনঃ পরে আমি তা করলে আল্লাহ আমা থেকে তা দূর করে দিলেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৫৫৫০)
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
সালাতে কোনো সমস্যা হবে না ।
২. উক্ত উক্তিটি হাদীস
দ্বারা প্রমানিত। তাই সালাতে এসব করলে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে অযথা করলে
নামায মাকরুহ হবে। আরেকটা কথা হলো যে, বামপাশে অন্য কেউ নামাযী ব্যক্তি থাকলে এসব
কাজ থেকে বিরত থাকা চাই। একাকী নামায পড়ার
ক্ষেত্রে উক্ত হাদীসের উপর আমল করতে পারেন।