আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
560 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (24 points)
reshown by
জানুয়ারি ২০১২ সাল: স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হলো। বুঝেশুনে তালাক দেওয়া হলো একটা। এক তালাক দেওয়ার তিন-চার দিনের মধ্যেই তাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলো। শারীরিক মিলন হল। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তারা বসবাস করতে লাগল।
এপ্রিল ২০১২ সাল: স্ত্রীর সাথে আবারও ঝগড়া হলো। স্বামী তালাক দিতে চায়। স্বামী বলল," আমি তোমাকে দ্বিতীয় তালাক দিলাম"।
প্রশ্ন ১- এটা কি ঠিক? অর্থাৎ স্বামী কি দ্বিতীয় তালাক দিবে নাকি নতুন করে এক তালাক থেকে শুরু করবে?
প্রশ্ন ২- দ্বিতীয় তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার উপায় কি?

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
বিসমিহি তা'আলা
ভূমিকা 
অত্যন্ত সুন্দর করে ঘুচিয়ে প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

নির্ভরযোগ্য ফাতাওয়া গ্রন্থ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে উল্লেখ করা হয় যে,
তালাক তিন প্রকার।(ক)আহসান(বেশ ভালো)(খ)হাসান(ভালো)(গ)বিদআত

অতপর হাসান তালাকের ব্যখ্যায় বলা হয়,
والحسن أن يطلقها واحدة في طهر لم يجامعها فيه ثم في طهر آخر أخرى ثم في طهر آخر أخرى كذا في محيط السرخسي
তালাকে হাসান হলো, সহবাস মুক্ত তুহুরে (তুহুর হল, স্ত্রী মাসিক অবস্থা মুক্ত পবিত্রতম সময়)তালাক প্রদান করা।অতঃপর দ্বিতীয় সহবাস মুক্ত তুহুরে দ্বিতীয় তালাক দেয়া।অতঃপর তৃতীয় সহবাস মমুক্ত তুহুরে তৃতীয় তালাক প্রদান করা।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৪৮)

(১)
স্বামী দ্বিতীয় তালাক দিবে।দ্বিতীয় তালাক উল্লেখ না করলেও পরের বার প্রদত্ত তালাকটি দ্বিতীয় তালাক হিসেবেই গণ্য হবে।

(২)
প্রথম ও দ্বিতীয় তালাকের পর রাজআত করা যায়।তথা ইদ্দতের ভিতর স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।এরজন্য কোনো আনুষ্টানিকতার প্রয়োজন নেই।
রাজআতের পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখ করা হয়,
الرجعة إبقاء النكاح على ما كان ما دامت في العدة كذا في التبيين وهي على ضربين: سني وبدعي (فالسني) أن يراجعها بالقول ويشهد على رجعتها شاهدين ويعلمها بذلك فإذا راجعها بالقول نحو أن يقول لها: راجعتك أو راجعت امرأتي ولم يشهد على ذلك أو أشهد ولم يعلمها بذلك فهو بدعي مخالف للسنة والرجعة صحيحة وإن راجعها بالفعل مثل أن يطأها أو يقبلها بشهوة أو ينظر إلى فرجها بشهوة فإنه يصير مراجعا عندنا إلا أنه يكره له ذلك ويستحب أن يراجعها بعد ذلك بالإشهاد كذا في الجوهرة النيرة.
রাজআত হল,ইদ্দতের ভিতরে বিয়েকে টিকিয়ে রাখা,স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।রাজআত দুই প্রকার
(ক)সুন্নাহ সম্মত- এর ব্যখ্যা হল, কথার মাধ্যমে রাজআত করা হবে।এবং রাজআত করার সময় দুইজন সাক্ষীকে উপস্থিত রাখা হবে।এবং তাদেরকে রাজাতের বিষয় সম্পর্কে অবগত করা হবে।যখন কথার মাধ্যমে রাজআত করা হবে,তখন স্বামী বলবে-আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিলাম,বা বলবে,আমি আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিলাম।
(খ)যদি দুজন সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে বা উপস্থিত তবে তাদেরকে অবগত না করে কেউ রাজআত করে নেয়,তাহলে এটা রাজাত হবে।তবে বিদআত হবে।

যদি কেউ কথার পরিবর্তে কাজের মাধ্যমে রাজআত করে নেয়।যেমন স্বামী তার ঐ স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়ে গেল,বা তাকে চুমু দিয়ে দিল,বা তার লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব নিয়ে থাকিয়ে রইলো,তাহলে এমতাবস্থায়ও রাজআত হয়ে যাবে।তবে হানাফি মাযহাব মত এমনটা করা মাকরুহ।
মুস্তাহাব হল,তালাক পরবর্তী দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে রাজ'আত করা।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৪৬৮)

তুতীয় তালাকের পর স্ত্রীকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।চায় অনেক বৎসর পরই দেয়া হোক না কেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (24 points)
আপনার স্বচ্ছ ফতোয়া ব্যাখ্যার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এক্ষেত্রে আমার দুটো সম্পূরক প্রশ্ন এসে যাচ্ছে:-

ক) তাহলে ২০২০ সালে এসে স্বামীর হাতে আর একটিমাত্র তালাক দেওয়ার ক্ষমতা/এজাজত রইল, এমন কি?
 
খ) এখন "আমি তোমাকে তৃতীয় তালাক দিলাম" এ কথা বলার পর এক মাসের বা এক হায়েজের মধ্যে স্ত্রীকে কি পুনর্বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা করে ফিরিয়ে আনা যাবে না? বা এ ধরনের কিছু।

জাযাকাল্লাহু খাইরান। 
by (589,140 points)
(ক)জ্বী রইলো।

(খ)
না যাবে না।কেননা তখন তিন তালাক পতিত হয়ে স্ত্রী চািরস্থায়ী হারাম হয়ে যাবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...