বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতে রয়েছে-
اتَّفَقَ الْفُقَهَاءُ عَلَى أَنَّهُ
لاَ حَدَّ لأِقَل النِّفَاسِ، فَأَيُّ وَقْتٍ رَأَتِ الْمَرْأَةُ الطُّهْرَ
اغْتَسَلَتْ، وَهِيَ طَاهِرٌ، وَاخْتَلَفُوا فِي أَكْثَرِهِ: فَيَرَى جَمْعٌ مِنَ
الْعُلَمَاءِ أَنَّ أَكْثَرَ النِّفَاسِ أَرْبَعُونَ يَوْمًا. قَال أَبُو عِيسَى
التِّرْمِذِيُّ: أَجْمَعَ أَهْل الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُول اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ
সমস্ত উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে,নেফাসের সর্বনিম্ন কোনো সীমারেখা নাই।সন্তান জন্মের পর যখনই
মহিলা পবিত্রাকে দেখবে,তখনই গোসল করে
পবিত্র হয়ে যাবে।নেফাসের সর্বোচ্ছ সীমারেখা কি? এ নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে,সিংহভাগ উলামায়ে কেরাম মনে করেন,সর্বোচ্ছ চল্লিশদিন পর্যন্ত নেফাস হতে
পারে।ইমাম তিরমিযি রাহ বলেন,সাহাবা এবং পরবর্তী যুগের উলামাদের ইজমা রয়েছে যে,নেফাসের সর্বোচ্ছ সীমারেখা চল্লিশদিন।
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২/১৫)
১. ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-
أقل النفاس ما يوجد ولو ساعة و أكثره
أربعون
মর্মার্থ: নিফাসের সর্ব নিম্ন কোনো মেয়াদ নেই। আর সর্বোচ্চ মেয়াদ হলো চল্লিশ
দিন। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৯১ )
★ নিফাসের সর্ব নিম্ন নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই। আর সর্বোচ্চ
মেয়াদ হলো চল্লিশ দিন
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজ পড়বেন। কারণ
চল্লিশদিন পর্যন্ত আপনার নেফাস ছিল,তারপরের রক্ত হল,ইস্তেহাযার রক্ত। সুতরাং ইস্তেহাযার সময়ে নামায রোযা করতে
হয়। প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে নামায পড়তে হয়।