বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
মাদখালি কোনো দল বা উপদলের নাম সেটা আমাদের জানা নেই।তিন চার বছর পূর্বে এক ভাই জিজ্ঞাসা করেছিলেন,মাদখালি কি?ঐ ভাইকে জবাব দিতে গিয়ে উইকিপেডিয়াতে মাদখালি নামক একজন সালাফী আলেমের জীবনী দেখেছিলাম।পরবর্তীতে উনার অাংশিক জীবনে পড়ে দেখেছিলাম। উনি একজন সৌদিয়ান সালাফি আলেম।তার আংশিক পরিচিতি উইকিপেডিয়াতে এভাবে রয়েছে-
রাবী‘ বিন হাদী ‘উমাইর আল-মাদখালী (জন্ম ১৯৩১ খ্রি.)
শাইখ মাদখালি সৌদি সরকারের ধর্মীয় সংস্থার সঙ্গে জড়িত নন। তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সালাফি পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম আব্দুল আজিজ ইবন বায এবং মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল আলবানী-এর নিচের স্তরের এবং মুহাম্মদ ইবনুল উসায়মিন ও সালেহ আল-ফাওজান-এর সমসাময়ীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।উনি সালাফী ঘরণার একজন যোগ্য ও বিজ্ঞ আলেম।
খারেজী সম্প্রদায়
হযরত আলী রাযি এবং মুআবিয়া রাযি এর মধ্যকার সংগঠিত সিফফিনের যুদ্ধ সময় যখন আলী রাযি এর পক্ষে আবু মুসা আশআরি রাযি এবং মুআবিয়া রাযি এর পক্ষ্য থেকে আমর ইবনুল আস রাযি বিচারক নিযিক্ত হলেন,এবং যখন তারা বিচার সালিশের জন্য একত্রিত হলেন,তখন কিছু লোক সূরা আন‘আমের ৫৭নং আয়াত (ان الحكم الا لله) ‘আল্লাহ ব্যতীত কারো ফায়ছালা গ্রহণযোগ্য নয়’ স্লোগান দিয়ে আলী রাযি এর দল থেকে বেরিয়ে গেল।এবং তারা হারুরা নামক স্থানে একত্রিত হল।আব্দুল্লাহ বিন খাব্বাব রাযি কে হত্যা করলো,উনার গর্ভবতী বিবির পেঠ ফেরে বাচ্ছা বের করে দু টুকরো করলো।
খারেজীদের কিছু অপব্যাখ্যা।
(ক) আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ فَمِنْكُمْ كَافِرٌ وَمِنْكُمْ مُؤْمِنٌ ‘
তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের কেউ কাফির এবং কেউ মুমিন’ (তাগাবুন ৬৪/২)।
তারা অপব্যাখ্যা করতো এ আয়াতে আল্লাহ মানুষকে দু ভাগে ভাগ করেছেন।এক প্রকার মু'মিন।দ্বিতীয় প্রকার কাফির।মু'মিন হল তারা,আর তারা ব্যতীত বাকী সবাই কাফির।সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম ও কাফির।
(খ) রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস
لاَ يَزْنِى الزَّانِىْ حِيْنَ يَزْنِى وَهْوَ مُؤْمِنٌ، وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِيْنَ يَشْرَبُ وَهْوَ مُؤْمِنٌ، وَلاَ يَسْرِقُ حِيْنَ يَسْرِقُ وَهْوَ مُؤْمِنٌ، وَلاَ يَنْتَهِبُ نُهْبَةً يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيْهَا أَبْصَارَهُمْ وَهْوَ مُؤْمِنٌ ‘
কোন ব্যভিচারী যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। সে মুমিন থাকা অবস্থায় মদ পান করতে পারে না। সে মুমিন থাকা অবস্থায় চুরি করতে পারে না। ছিনতাইকারী যখন প্রকাশ্যে ছিনতাই করে, আর লোক অসহায় ও নিরূপায় হয়ে তার দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে, তখন সে মুমিন থাকে না’।
(তারা এ হাদীছটি দ্বারা কবীরা গোনাহকারীকে ঈমান থেকে পুরোপুরি খারিজ দাবী করত।)
(গ) মহান আল্লাহ বলেন, ان الحكم إلا لله ‘আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম নেই’ (উইসুফ ৪০/৬৭)।
তারা অপব্যখ্যা করতো, য়ারা মানুষকে সালিশ নিয়োগ করবে তারা কাফির।সুতরাং আলী মুআবিয়া কাফির।নাউযু বিল্লাহ।