আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (48 points)
১.দরিদ্র কোনো বন্ধু বা আত্মীয়কে যদি বই কিনে মালিক বানিয়ে দি তাকে যাকাতের নিয়তে,তাহলে কি যাকাত আদায় হবে? পরবর্তীতে যদি তার থেকে বইগুলো ধার নিয়ে আমি পড়ি এটা ঠিক হবে কিনা?

এ বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ চাচ্ছি?

২.আমার কাজিন কোনো ইনকাম করেনা,তার মালিকানাতে তেমন কোনো সম্পদ ও নাই, ৮-১০ হাজার টাকা কাছে জমানো থাকতে পারে হয়ত!যদিও তার পিতা অভাবী নয়!এমন কাজিনকে জাকাত দেয়া যাবে?বা তাকে যাকাতের নিয়তে বই কিনে দিলে যাকাত আদায় হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যাকাতের হকদার কে?কে কে যাকাত খেতে পারবে?
এসম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

উপরোক্ত খাত সমূহের সবকয়টিতে অভাব-অনটন লক্ষণীয়-
অর্থাৎ যাদের নিকট মাল নেই মূলত তারাই যাকাত খেতে পারবে।
কতটুকু সম্পদ থাকলে কাউকে ধনী বা যাকাতের অযোগ্য বিবেচনা করা হবে? আর কতটুকু না থাকলে যাকাতের যোগ্য বিবেচনা করা হবে?
সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হল নিম্নরূপ-

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
(১)
জ্বী, যাকাতের নিয়তে কাউকে বইয়ের মালিক বানিয়ে দেয়া যাবে। এবং সে যাকাতের মালিক হয়ে যাবে।পরবর্তীতে উক্ত কিতাব তার নিকট থেকে ধার করে এনে পড়া যাবে।


(২)
আপনার ঐ কাজিন যদি সাবালক হয়,তাহলে তাকে যাকাত দেয়া যাবে।তবে তার জন্য যাকাত গ্রহণ উচিৎ নয়, কেননা তার পিতা সম্পদশালী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...