আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি একটি বিশাল সমস্যায় পড়েছি। যার কারণে আমার খুব অস্থির লাগছে। কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা। আশা করি, আমার পুরো লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়ে আমাকে সঠিক পরামর্শ দিবেন। এবং সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
আমি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে একটি মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিই একজন ঘটকের মাধ্যমে। ঘটকের থেকে যা শুনেছিলাম তাতে মেয়েটির প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। মেয়েটি যথেষ্ট দ্বীনদার। পরিবার ও মোটামুটি ইসলামিক মাইন্ডেড। যদিও আমাদের পরিবার এর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। আমাদের দুই পরিবারের একটু বিস্তারিত বলি। আমরা এক ভাই এক বোন। বোন বিয়ে হয়ে গেছে। আমি আমার মা কে নিয়ে থাকি। আমার বাবা ব্যাংকার ছিলেন (মৃত), আমার দাদা ছিলেন পাকিস্তান আমলে জগন্নাথ কলেজের জিওগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট এর অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান। আমার এক চাচা ছিলেন উপসচিব যিনি রিটায়ার্ড করেছেন, এক চাচা কানাডায় সেটেল্ড, সেখানে বিজনেস করেন এবং অন্য চাচারাও মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত এবং শিক্ষিত। আমি ঢাকার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছি। আমার বোন সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছে। আমার দুলাভাই বিসিএস ক্যাডার। বলতে গেলে আমরা সম্ভ্রান্ত ও শিক্ষিত ফ্যামিলি। ঢাকায় আমার নিজেদের বাড়ি। অর্থাৎ, দাদার বাড়ি সেখানে একেক তলায় একেক চাচারা থাকে। আমরা নিচতলায় থাকি।
অপরদিকে মেয়ে ও আমার একই ভার্সিটিতে আইন বিভাগ থেকে মাস্টার্স দিবে। করোনার কারণে দেরি হচ্ছে। অর্থাৎ, একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই ব্যাচ, আলাদা ডিপার্টমেন্ট। মেয়ের বাবা একজন পাইকারি ফল বিক্রেতা, মেয়ের দুই ভাই আছে। এক ভাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, আরেক ভাই নিজের ব্যাবসা আছে। মেয়েদের নিজেদের বাড়ি নেই। অবশ্য বাবা কতটুকু শিক্ষিত তা জানিনা। এক ভাই ন্যাশনাল ভার্সিটি আরেক ভাই প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পড়েছে। তবে আমার যতটুকু মনে হয়েছে তারা ইসলামিক মাইন্ডেড। মেয়ের বাবা তাবলিগে সময় দেন নিয়মিত।
আমি আর্লি ম্যারেজ করতে চেয়েছিলাম। কোনভাবে মেয়ের এক বন্ধুর কাছে মেয়ের ব্যাপারে শুনি। সব শুনে আকৃষ্ট হই। মেয়ে যথেষ্ট দ্বীনদার, পর্দা মেইনটেইন করে চলে। রান্না পারে। আচার ব্যাবহার ও ভাল। তবে মেয়ে আমার তুলনায় শর্ট। আমার হাইট ৬ ফিট। মেয়ে আর ঘটক বলেছিল মেয়ের হাইট প্রায় ৫ ফিট। ৪ ফিট ১১.৫ আর কি।
আমাকে শুরুতেই ঘটক জিজ্ঞেস করেছিল আমি তো অনেক লম্বা, মেয়ে কিন্তু যথেষ্ট শর্ট। আমার সমস্যা হবে কিনা। আমাকে যেহেতু বলা হয়েছিল মেয়ের হাইট প্রায় ৫ ফিট, সে হিসেবে আমি বলেছি, সমস্যা হবেনা। একথাটি মার্ক করে রাখবেন। কারণ, একথার কারণেই আমার পরবর্তী তে সমস্যা হয়েছে।
তারপর আমি মেয়ের সাথে কথা বলি এবং ভাল লাগে। অতঃপর ইস্তিখারার নামাজ পড়ে মা কে নিয়ে দেখতে যাই। সেটাই প্রথম দেখা ছিল। মেয়ের পরিবারের সাথেই বেশি আলাপ হয়েছে। মেয়েকে আমি ঠিকমত দেখিনি বা যাচাই করিনি বলতে পারেন। মেয়ের সাথে যতটুকু কথা হয়েছে তা বসা অবস্থায়। দাঁড়ানো অবস্থায় হয়ত ১ মিনিট ও দেখিনি। আমার মা দেখেছিল। যদিও। যদিও মেয়ে শর্ট ছিল, কিন্তু ধরেই নিয়েছিলাম ৫ ফিট ই হবে। এখন মেয়ে দেখতে গিয়ে তো মেয়ের হাইট ফিতা দিয়ে মেপে যাচাই করা অশোভনীয় দেখায়। সেজন্য শর্ট হলেও মেনে নিয়েছি। মেয়ের পরিবার আমাদের ব্যাপারে পজিটিভ ছিল। আম্মুর ও মোটামুটি পছন্দ হয়েছিল কিন্তু মেয়ে বেশি শর্ট হওয়ায় মন খারাপ করেছিল আর এটা আমাকে বলেছিল ও। তখন আম্মুকে বুঝাই যে আমি বিয়ে করব, আমি তো মেনে নিয়েছি। তাছাড়া মেয়ে ভাল, দ্বীনদার। তোমাকে দেখবে। স্বভাব চরিত্র ও ভাল। দিনশেষে হাইট বাদে বাকি চাওয়া পূরণ হয়েছে। তখন আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে মেনেও নিয়েছিল। যদিও আম্মু পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিল না।
বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা আর দেশের পরিস্থিতির কারণে মেয়ে দেখে আসার ৪ মাস পরে মেয়ের পরিবার কে আমাদের বাসায় আমন্ত্রণ জানাই। মেয়ের ফ্যামিলি আসার দিন ই আমি আবারো ইস্তিখারার নামাজ পড়ি। কিন্তু সেদিন একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়।
মেয়ের ফ্যামিলি বাসায় আসার আগে আমরা পরিবারে আলোচনা করি। আমার ছোট কাকা মানে যিনি উপসচিব তিনি রাজি ছিল না। বলে রাখি, উনি কিন্তু নামাজ পড়েন না এবং মুক্তমনা আর যুক্তিবাদী টাইপের। আমি দাড়ি রাখি, ইসলামিক পোস্ট করি, ইসলামের স্বার্থে বিয়ে করতে চাই এ ব্যাপারে উনার আপত্তি আছে। যাই হোক, উনার অবিস্থা আপনারা বুঝে নিবেন।
মেয়ের ফ্যামিলি আসার আগে মেয়ের ফ্যামিলির সাথে আর আমাদের পারিবারিক আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয় বিয়ের তারিখ ই নির্ধারিত হবে। অবশ্য আমার চাচা আগে থেকেই নারাজি ছিলেন।
কিন্তু ব্যাপার হল, ইস্তিখারার নামাজ পড়ার পর মেয়ের ফ্যামিলি যখন বাসায় আসল তখন আমার চাচা কিছুটা কঠিন ব্যাবহার করেন উনাদের সাথে। আমার তখন জব ছিল না। আমার চাচা নিম্নোক্ত কথা গুলো বলেনঃ
- আমাদের ছেলের জব নেই তা জেনেও কেন আগাচ্ছেন?
- জেনে শুনে কেন আগুনে ঝাপ দিচ্ছেন।
- আমাদের ছেলের বিয়ের বয়স হয়নাই। আমাদের বিয়েতে আপত্তি নেই কিন্তু আমাদের ছেলে এখনো প্রস্তুত নয়।
- বিয়ের পর সমস্যা হলে আমরা দায়িত্ব নিব না।
অথচ, আমার জব নেই জেনেও উনারা বিয়েতে এগিয়েছিলেন এবং আমাদের উপর ভরসা করেই এগিয়েছিলেন। আমরাও উনাদের ইংগিত দিয়েছিলাম বিয়ের দিন ধার্য করব। কিন্তু দেখা গেল চাচার আচরণে উনারা বেশ বিব্রত হলেন।
সেদিন কোন ডিসিশন ই হল না। আর উনারা ও খুব অপমানিত বোধ করেছিলেন। আমার যেমন মেয়েকে পছন্দ হওয়ায় পরিবার কে বুঝিয়ে বিয়ের জন্য এপ্রোচ করেছিলাম, অনুরূপ কাজ মেয়েও করেছিল। মেয়ের পরিবার ও শুরুতে নারাজ ছিল যেহেতু জব নেই। দিন শেষে আমি আর মেয়ে উভয়েই ছোট হয়ে গেলাম চাচার কারণে।
আমার চাচার কথা হচ্ছে - একটা মেয়ের ব্যাপারে শুনে, একবার মাত্র দেখে কিভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। মেয়ের হয়ত সমস্যা আছে বা বিয়ের প্রপোজাল আসছেনা তাই জব নাই দেখেও এখানে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। আমার বিয়ের দায়িত্ব উনারা নিবেন না। বিয়ের পর ঝামেলা হলেও উনারা দেখবেন না। মেয়ের পরিবার যদি রাজি থাকে তবে তোমার এস্টাবলিশমেন্টের জন্য অপেক্ষা করবে। তোমার শ্বশুর যে ফলবিক্রেতা এ পরিচয় তুমি দিতে পারবা?
যদিও শেষ পর্যন্ত আবার পারিবারিক বৈঠক হয় এবং উনারা বলেন আমার জব হয়ে গেলে আর আপত্তি থাকবেনা। এটাই আমার পরিবারের সাথে আমার শেষ কথা ছিল।
এবং এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে ২য় বার ইস্তিখারার নামাজের পর।
তো এ ব্যাপারে মেয়ের পরিবারের সাথে কথা হয়। তাদের কথা হল- আমরা নাহয় অপেক্ষা করলাম। কিন্তু এভাবে কতদিন? তাছাড়া মেয়ের বয়স ২৬ চলে। অনেক প্রপোজাল আসে। এঅবস্থায় ইনসিকিওরড ভাবে কতদিন বসিয়ে রাখব।
তো শেষ পর্যন্ত আমি আর আম্মু মেয়ের ফ্যামিলির কাছে সরি বলে ৩ টা মাস সময় নিই। মেয়েরাও বলে এনগেজমেন্ট করায়া রাখেন। আমি আর আম্মুও রাজি হলাম।
আল্লাহর রহমতে ৩ মাসের মাধ্যমেই আমার একটা জব হল। এরপর আম্মুকে এনগেজমেন্ট এর কথা বললাম। কারণ প্রপোজাল দিয়েছি ৮ মাস হয়ে যাচ্ছে। এত সময় তো আর নেয়া যায়না। তারাও সব জেনে এখানে রাজি হয়েছে।
আম্মু একটু ইতস্তত করছিল। কারণ, আমার ছোট চাচা রাজি নয়। আমার বাবা নেই। আবার আমার জয়েন্ট ফ্যামিলি। স্বামীহীন একজন নারীর পক্ষে পরিবারের বাইরে গিয়ে কিছু করা অনেক চাপের। আব্বু থাকলে ব্যাপার টা সহজ হত। আমার ছোট চাচা আবার আমার পরিবারে সবথেকে প্রভাবশালী। আমার অন্য চাচারা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা বিয়েতে অনাপত্তি করলেও জয়েন্ট ফ্যামিলির কারণে আর ছোট চাচার প্রভাবের কারণে আগাতে পারছেনা। আমার বোন দুলাভাই ও চাচার বাইরে যেতে পারবেনা।
আমার ছোট কাকা আমাকে জব হয়ে গেলে বিয়ে দিবে এমন আশ্বস্ত করলেও আম্মু বলছে চাচারা নাকি ভেতরে ভেতরে রাজি নয়। মেয়ের ফ্যামিলি পছন্দ হয়নি। তারা আরো বড় ফ্যামিলিতে বিয়ে দিতে চায়।
এসব কারণে আমার জব হয়ে যাবার পরেও বিয়েতে দেরি হচ্ছে এবং গড়িমসি করছে। তারা আমাকে আশা দিচ্ছে যে এই কিছুদিন পর তারা আগাবে। আর এর মাঝে বিভিন্ন সমিস্যা পরিবারে দেখা দিতে থাকে। আমাকে বলা হয় আগে সমস্যা টা সলভ হোক তারপর ধীরে সুস্থে আগাই। সরাসরি না ও করছেনা আবার এদিকে দেরিও করছে। মেয়ের ফ্যামিলিও মেয়ের কথা ভেবে সরে আসতে পারছেনা। আমার আম্মু যতবার মেয়ের ফ্যামিলিতে যোগাযোগ করেছে তা আমার চাপে করেছে। নুজে থেকে কখনোই করেনি।
এই হল অবস্থা। এভাবেই চলছে। এর মাঝে আবার একটি ঘটনা হল। কয়েকদিন আগে মেয়ের সাথে আমার দেখা হয়। এবং ভাল করে খেয়াল করে দেখলাম তার হাইট ৫ ফিট হবার কথা না। তার থেকেও ২-৩ ইঞ্চি কম।
এটা আমার ধারণা। আমি নিশ্চিত হবার জন্য মেয়ের পাশে দাড়াই, দেখলাম মেয়ে আমার বুক বরাবর। বাসায় এসে অতটুকু মেপে দেখলা ৫ ফুট থেকে ভালই কম আছে।
আমার মন খারাপ হয়ে যায়। আমি মেয়েকে চার্জ করি এব্যাপারে। মেয়ে কয়েকবার বলে তার হাইট যা বলেছে সেটাই। আমার কেন জানি তাও সন্দেহ হয়। অতঃপর মেয়ে আল্লাহর কসম করে জানায় সে যা বলেছে তাই ই সত্যি। এরপর আমি আর ঘাটাঘাটি করিনি। ভেবেছি হয়ত ভুল ভেবেছি।
মেয়ে আমাকে বলে- তোমাকে তো বলাই হয়েছিল মেয়ে শর্ট,তোমার সমস্যা হবে কিনা। তুমি তো বলসিলা হবেনা। তোমাকে তো মেয়ে দেখানো ও হইসে। সমস্যা মনে হলে আগেই না করতা। এতদূর আগালা কেন?
আমি বললাম- আমি যেদিন প্রথম তোমাকে দেখসি সেদিন তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখার সুযোগ বেশি ছিল না। তাতে হাইট খুব একটা বুঝাও যায়না। আমি তোমার মুখের কথাই বিলিভ করসি। আমি যদি মেয়ে দেখতে গিয়ে ফিতা দিয়ে হাইট মেপে নিশ্চিত হতে চাইতাম তবে তা খারাপ দেখাত। তাছাড়া তুমি বলসিলা তোমার হাইট ৫ ফিট। ৫ ফিট এর প্রেক্ষিতে বলসি মেয়ের হাইট নিয়ে সমস্যা নাই। ৫ ফুট এর কম হলে আমি ভেবে দেখতাম। আর তোমাকে ২য় বার যখন দেখসি আমার মনে হয়েছে তুমি হাইট বাড়ায়া বলস। এটা তো চিটিং।
তো এটা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়। কিন্তু মেয়ে বারবার ই বলে তার হাইট ৫ ফুট ই। তাও কেন যেন মন মানতে চায়না। যদিও সে আল্লাহর কসম করেছে।
আমি সবসময়ই আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে এসেছি। বলে এসেছি - যা আমার জন্য কল্যাণকির তাই ই যেন হয়। যদি আমরা একে অপরের জন্য কল্যাণকর না হয়ে থাকি তবে যেন আমাদের দূরে সরানো হয়। আর যদি কল্যাণকর হয়ে থাকি তবে যেন বিয়ে টা সহজ হয়।
তো, এই একটা সমস্যা ছাড়া মেয়ের আর কোন ফল্ট দেখিনাই। মেয়ের বা তার ফ্যামিলির ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি তা পারিবারিক আলোচনা আর ঘটকের মাধ্যমেই।
এই মুহূর্তে আমার কি করা উচিত। যেহেতু ব্যাপার টা এতদুর গড়িয়েছে আর আমরাও ইমোশনালি এটাচড, আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালই মনে হয়েছে যতটুকুই কথা হয়েছে। আমার অন্য এক্সপেকটেশন গুলো ও পুরোপুরি মিলেছে বলেই এখন পর্যন্ত মনে হয়েছে। তাছাড়া আমি আর আমার ফ্যামিলিও কাইন্ডফ কমিটেড বলা যায়।
আমি আল্লাহর কাছে সাহায্য ও চেয়েছি এব্যাপারে। আমার মন কি চাইছে বুঝতেই পারছিনা। একবার মন বলছে - মেয়েটা চিট করেছে। যদি হাইট নিয়ে ভুল তথ্য দেয় তবে তো অন্য ব্যাপারেও ভুল বলতে পারে। আরেকবার মন বলছে - এটা তো বড় ইস্যু না, অনেক মেয়ে তো আরো অনেক কিছু গোপন করে। মেয়ের অন্য দিক গুলো তো ভাল। মেয়ের ফ্যামিলি এত কিছুর পরেও তোমাকে সাপোর্ট করেছে। মেয়েও তোমাকে পছন্দ করেছে।
সব মিলিয়েই আমি অশান্তিতে রয়েছি।
উপরোক্ত পরিস্থিতিতে আমার প্রশ্নঃ
১. উপরোক্ত পরিস্থিতি কি এটাই প্রমাণ করে যে আমার ইস্তিখারার নামাজের ফল নেগেটিভ? মানে, আল্লাহ ইংগিত দিচ্ছেন যে মেয়ে আমার জন্য কল্যাণকর নয়?
২. আমার কি করা উচিত? জাস্ট হাইট জনিত যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার কারণে কি না করে দেয়া উচিত? নাকি কম্প্রোমাইজ করা উচিত? এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন মেয়ের হাইট ফিতা দিয়ে মেপে দেখে নিশ্চিত হবার সুযোগ নেই। মেয়েও আবার আল্লাহর কসম করে বলেছে সে সত্য বলেছে। আবার আমার মন বলছে মেয়ে আসলে সত্য বলেনাই। কিন্তু আমার মন যা বলছে তা প্রমাণের সুযোগ নাই।
৩. যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা কি একটা বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার মত ইস্যু? নাকি এটা কেবল ই শয়তানের ওয়াসওয়াসা এবং আমি অতিরিক্ত ভাবছি। যেহেতু মেয়ের চারিত্রিক বা অন্য সমস্যা প্রমাণিত হয়নি।
৪. যেহেতু, বিয়ের ব্যাপার অনেক দূর এগিয়েও গেছে। আমরাও আশা দিয়ে রেখেছি এবং কমিটমেন্টের ব্যাপার রয়েছে। এ অবস্থায় যদি না করে দিতে হয় তবে কি বলে না করব? যদি না করে দিতে হয় ও তবে কি আমি ইসলামের দৃষ্টিতে দোষী হব?