জমহুর ফুকাহায়ে কেরামদের মতে হায়েজ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত জায়েজ নেই।
তবে দোয়া যিকির আমল মূলক আয়াত পড়তে পারবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْتِي الْخَلاَءَ فَيَقْضِي الْحَاجَةَ ثُمَّ يَخْرُجُ فَيَأْكُلُ مَعَنَا الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَلاَ يَحْجُبُهُ - وَرُبَّمَا قَالَ وَلاَ يَحْجُزُهُ - عَنِ الْقُرْآنِ شَىْءٌ إِلاَّ الْجَنَابَةُ .
আবদুল্লাহ ইবনু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় গিয়ে তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে বের হয়ে এসে আমাদের সাথে রুটি ও গোশত খেতেন, কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তাঁকে কোন জিনিস এ থেকে বিরত রাখতো না। রাবী কখনো বলতেন, গোসলের প্রয়োজন হয় এরূপ নাপাক অবস্থা ব্যতীত কোন জিনিস তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত রাখতো না।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ১৪৬, নাসায়ী ২৬৫-৬৬, আবূ দাঊদ ২২৯, আহমাদ ৬২৮, ৬৪০, ৬৮৮, ৮৪২, ১০১৪, ১১২৬, ইবনু মাজাহ ৫৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৪৬০, যঈফ আবূ দাউদ ৩১, ইরওয়াহ ১৯২, ৪৮৫।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজ অবস্থায় যেকোনো সুরা মশক করানোর ক্ষেত্রে
প্রত্যেক শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়লে অনুমতি রয়েছে।
যেভাবে শিক্ষক শিখানোর সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে শিখায়।
(যেমন الحمد কয়েক বার পড়বে, لله কয়েকবার পড়বে।
رب কয়েকবার পড়বে। العالمين কয়েকবার পড়বে।
এক বারে একসাথে মিলিয়ে পড়বেনা।)
(নাজমুল ফাতওয়া ২/৯৮)
একসাথে মিলিয়ে পড়া জায়েজ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ