জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক)
এটা তো বাহিরের দেশ থেকে আসা টাকা নয়,তাই উক্ত টাকার ট্যাক্স দিতে হবেনা।
আপনার উক্ত টাকা ব্যবহার বৈধ।
,
(খ)
সেটি হালাল হবেনা।
,
(গ)
আপনার জন্য কোনো করনীয় নেই।
কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(ঘ)
বিক্রিত পন্য স্পষ্ট হারাম হলে তাহা বিক্রয় জায়েজ হবেনা।
ক্রেতার টাকা হারাম হলেও হালাল পন্য বিক্রেতার জন্য তাহা গ্রহন জায়েজ আছে।
,
ইবনে রজব (রহঃ) বলেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ মুশরিকদের ও ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে লেনদেন করতেন; এটা জানা সত্ত্বেও যে, তারা সকল হারাম থেকে বেঁচে থাকে না।"[জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম (পৃষ্ঠা-১৭৯)]
,
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: "মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের হাতে যে সব সম্পদ রয়েছে, যার ব্যাপারে প্রমাণের ভিত্তিতে কিংবা আলামতের ভিত্তিতে জানা যায় না যে, এগুলো আত্মসাৎকৃত সম্পদ কিংবা নাজায়েয পদ্ধতিতে হস্তগত সম্পদ—কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের সাথে সে সব সম্পদে লেনদেন করা জায়েয। ইমামদের মাঝে এ নিয়ে আমি কোন মতভেদ জানি না।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (২৯/৩২৭)]
(ঙ)
সে তার টাকা ফেরত নিবে।
ফেরত দিতে অস্বীকার করলে আইনের সহায়তা নিতে পারবে।
(চ)
এটি যদি কাহারো মালিকানা না হয়,বা সরকার বা তার৷ প্রতিনিধির কাছ থেকে খাজনা ইত্যাদির মাধ্যমে না নেওয়া হয়,সেক্ষেত্রে এটিতে সকলের হল থাকার দরুন এটি বাইয়ে বাতিল।
,
(ছ)
এটির ঠিকা দেওয়াই জায়েজ নেই,এটার মালিক সরকার।
তাই বিষয়টি আইনি ভাবে সুরাহা হওয়া দরকার।
আইনি ভাবে সরকার বা তার প্রতিনিধি জন সাধারণের জন্য মাছ নেওয়া নিষেধ করলে অন্যান্য জনগন সেই মাছ নিতে পারবেনা।
,
অন্যথায় নিতে পারবে।
,
(জ)
এখানে ক্রেতা বস্তুর মালিক হচ্ছে না।
(ঝ)
عِلَّة ج عِلَل ، عِلَّات [علل]
['ইল্লত] শব্দের অর্থঃ
কারণ,হেতু,রোগ,ব্যাধি,পীড়া
(ছন্দশাস্ত্রে) ইল্লাত: নিয়মের ব্যতিক্রমবিশেষ।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইল্লত মানে কারন।
যেমন বলা হয় অমুক ছুরত নাজায়েজ হওয়ার ইল্লত (কারন) হলো,,,,,,,,