আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (22 points)
closed by
ক) আমার কাছে কিছু টাকা আছে, কিন্তু জানিনা ট্যাক্স দেওয়া লাগবে কিনা। এখন ট্যাক্স না দিলে কি গুনাহ হচ্ছে? আমি কোন জব করি না। যা ইনকাম ছিলো স্টুডেন্ট পড়িয়ে পেয়েছিলাম আগে।

খ) মধুর চাক কাটার পূর্বেই মধু ক্রেতা থেকে প্রি-অর্ডার করলে সেটা হালাল হবে?

গ) ধরুন, আমি আগে যে কিবোর্ড/পিয়ানো নামক বাদ্যযন্ত্র কিনেছিলাম। তা আমি আর এক ফ্রেন্ড শেয়ারে কিনেছিলাম। এরপর, ইস্লামিক হওয়ার পরে ঐটা আরেকজন এর কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলাম আমার শেয়ারের ফ্রেন্ড এর জোড়াজুড়িতে। এরপর আমার ভাগের বিক্রিত টাকা আমি দান করে দিয়েছি। কিন্তু আমার তো উচিত ছিলো যার থেকে টাকা নিয়েছি তাকেই ব্যাক দেওয়া। এইটা তখন বুঝিনাই। আমার কি করনীয় এখন?

ঘ)ইসলামিয়া কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মুখতাসারুল কুদূরী প্রথম খণ্ডের ৩১২ পৃষ্ঠায়, (ক্র‍য় বিক্রয়)যখন দুই বিনিময়ের একটি বা উভয়টি যদি হারাম(মাল) হয় তাহলে উক্ত ক্রয়-বিক্রয় বাতিল গণ্য হবে। যেমনঃ মৃত পশু, রক্ত, শূকর...
প্রশ্নঃ এখানে কি ক্রেতার মাল হারাম হলে কেনা-বেচা হারাম হয়ে যাবে বলা হয়েছে? এটা হলে, দরসে উস্তাদ বলেছেন ক্রেতার টাকা হারাম হলেও বিক্রেতার জন্য হালাল।
তবে বইয়ে আসলে কি বলা?
ঙ) ঠিকা দেওয়া প্রাকৃতিক পুকুরের মাছ অন্য কাউকে ধরতে না দেওয়া হারাম। যদি কেউ এই হারাম মাছ না জেনে কিনে ফেলে, কেনার একটু পরে জানলো যে হারাম, এখন সে কি করবে?
চ) ঠিকা দেওয়া প্রাকৃতিক পুকুরের মাছ বিক্রি বাইয়ে বাতিল নাকি বাইয়ে ফাসেদ?
ছ) আমি যাকে ঠিকা দিচ্ছি সে যদি মাছ চাষ করে তবে সেটা কি শুধু ঠিকাদারের মালিকানায় থাকবে নাকি জনগণও নিতে পারবে মাছ?

জ) কেউ গরু কিনে ক্রয়মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না টাকা না থাকার কারণে। এখন সে আবার বিক্রেতা/অন্য কাউকে বিক্রি করতে চাওয়া নাজায়েয। কিন্তু কেন সেটা বুঝছি না। এখানে কি ক্রেতা বিক্রেতাকে টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ক্রেতা বস্তুর মালিক হচ্ছে না সেজন্য? যেহেতু বস্তু মালিকানায় না থাকলে অন্য কোথাও বিক্রি করা যাবে না.. এইটাই কি কারণ? নাকি অন্য কিছু?
ঝ) ফিকহুল বুয়ু তে ইল্লত মানে কি?
closed

1 Answer

+1 vote
by (564,870 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(ক)
এটা তো বাহিরের দেশ থেকে আসা টাকা নয়,তাই উক্ত টাকার ট্যাক্স দিতে হবেনা।
আপনার উক্ত টাকা ব্যবহার বৈধ।
,
(খ)
সেটি হালাল হবে।
,
(গ)
আপনার জন্য কোনো করনীয় নেই।
কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(ঘ)
বিক্রিত পন্য স্পষ্ট হারাম হলে তাহা বিক্রয় জায়েজ হবেনা। 
ক্রেতার টাকা হারাম হলেও হালাল পন্য বিক্রেতার জন্য তাহা গ্রহন জায়েজ আছে।
,
ইবনে রজব (রহঃ) বলেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ মুশরিকদের ও ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে লেনদেন করতেন; এটা জানা সত্ত্বেও যে, তারা সকল হারাম থেকে বেঁচে থাকে না।"[জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম (পৃষ্ঠা-১৭৯)]
,
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: "মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের হাতে যে সব সম্পদ রয়েছে, যার ব্যাপারে প্রমাণের ভিত্তিতে কিংবা আলামতের ভিত্তিতে জানা যায় না যে, এগুলো আত্মসাৎকৃত সম্পদ কিংবা নাজায়েয পদ্ধতিতে হস্তগত সম্পদ—কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের সাথে সে সব সম্পদে লেনদেন করা জায়েয। ইমামদের মাঝে এ নিয়ে আমি কোন মতভেদ জানি না।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (২৯/৩২৭)]

(ঙ)
সে তার টাকা ফেরত নিবে।
ফেরত দিতে অস্বীকার করলে আইনের সহায়তা নিতে পারবে। 

(চ)
এটি যদি কাহারো মালিকানা না হয়,বা সরকার বা তার৷ প্রতিনিধির কাছ থেকে খাজনা ইত্যাদির মাধ্যমে না নেওয়া হয়,সেক্ষেত্রে এটিতে সকলের হল থাকার দরুন এটি বাইয়ে বাতিল।
,
(ছ)
এটির ঠিকা দেওয়াই জায়েজ নেই,এটার মালিক সরকার।
তাই বিষয়টি আইনি ভাবে সুরাহা হওয়া দরকার।
আইনি ভাবে সরকার বা তার প্রতিনিধি জন সাধারণের জন্য মাছ নেওয়া নিষেধ করলে অন্যান্য জনগন সেই মাছ নিতে পারবেনা।
,
অন্যথায় নিতে পারবে।
,
(জ)
এখানে ক্রেতা বস্তুর মালিক হচ্ছে না।

(ঝ)
عِلَّة ج عِلَل ، عِلَّات [علل]
['ইল্লত] শব্দের অর্থঃ  
কারণ,হেতু,রোগ,ব্যাধি,পীড়া
(ছন্দশাস্ত্রে) ইল্লাত: নিয়মের ব্যতিক্রমবিশেষ।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
ইল্লত মানে কারন।
যেমন বলা হয় অমুক ছুরত নাজায়েজ হওয়ার ইল্লত (কারন) হলো,,,,,,,, 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...