জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের অন্যতম একটি বিধান হলো কাউকে ধোকা দেওয়া জায়েজ নেই।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি উক্ত পরিবারকে নিষেধ করার উপর আপনাদের পুরোপুরি সিদ্ধান্ত হয়,শুধু বলাটাই দেড়ি ছিলো,তাহলে আপনার জন্য অন্য ছেলের সামনে যাওয়া উচিত হবে।
আর যদি তাদের নিষেধ করার বিষয়ে আপনারা এখনো পুরোপুরি সিদ্ধান্ত না নিয়ে থাকেন,তাহলে অন্য ছেলের সামনে যাওয়া এটি আগের ছেলেকে ধোকা দেওয়ার শামিল।
বিধায় তাহা নাজায়েজ।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★তবে সেই ছেলে/তার পরিবার যদি আপনাদের অনুমতি দেয় যে আপনারা চাইলে অন্যত্রেও দেখাতে পারেন,সেক্ষেত্রে আপনি অন্য ছেলের সামনে আসলে তাহা ধোকা হবেনা।
তাহা জায়েজ হবে।
কেননা শরীয়তের বিধান হলো কোনো মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই তা অনুমতি দেয়, তাহলে পারবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلاَ يَبِيعُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ " .
আহমাদ ইবন আমর ইবন সারাহ্ ................. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। আর কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়ের সময়ে ক্রয় না করে। অবশ্য সে যদি অনুমতি দেয় তবে সেটা আলাদা ব্যাপার।
মুসলিম ১৪১২, আবূ দাঊদ ২৯৮১, নাসায়ী ৪৫০৪, ইবনু মাজাহ ১৮৬৮, আহমাদ ৪৭২২, দারিমী ২২২২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৯৬৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬০০।