আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্,
উস্তাদজী ,
১ . জ্বীন এত পরিমাণ আমাদের আশপাশে ঘোরাফেরা করে যে আমরা চোখে দেখতে পেলে ভয়ে বাইরে বের হতাম না , তো জ্বীনরা আমাদের দেখতে পায় কিন্তু কিছু বলে না কেন ? জ্বীনেরা আমাদের আশেপাশে কি করে ?

২ . গতকালের আকীদা দারস এ উস্তাদ বলেছেন , পর্দা অস্বীকারকারী এবং ব্যঙ্গ করে যারা তারা কাফের ,
এটা কতটা সত্য ?

আজকালকার প্রতি টা জেনারেল শিক্ষিত পরিবারে কেউ যদি পর্দা করে তবে তাকে জঙ্গি পদবী ছাড়া ও নানা ধরনের ব্যঙ্গাত্মক আলোচনা সমালোচনা করা হয় , তবে তাদের কেও কি কাফের বলা যাবে ?
অফলাইন এ দুইজন ওস্তাদের কাছে শুনেছি তারা বলেছেন হবে না ,
আবার অন্য একজন মুফতি হুজুর বলেছেন কাফের হবে ।
বুঝলাম না , এত বাকবিতন্ডা কেন এই মাসআলা নিয়ে , শরীয়ত যদি একই হয় ?

৩ . দুআ কালাম পড়ার পরেও যদি দুঃস্বপ্ন দেখি এর জন্য বাঁচতে আমি আর কি করতে পারি ?
(বি. দ্র : হাদীসে যেসব ফতোয়া দেওয়া আছে ওগুলো ফলো করার পরও )

1 Answer

0 votes
by (560,100 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ اِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِه قَرِينُه مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُه مِنَ الْمَلَائِكَةِ قَالُوا : وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِيْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي اِلَّا بِخَيْرٍ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন (শয়তান)) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে জিন এর ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না। 

মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৬৫৮।

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে,
আপনার সাথেও কি জিন সঙ্গী আছে? এর জবাবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হ্যাঁ, আমার সঙ্গেও আছে। তবে তার কুমন্ত্রণা থেকে আমি নিরাপদ। সমগ্র উম্মাত এ বিষয়ে একমত যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরীর, মন ও জিহ্বা শায়ত্বনের (শয়তানের) প্রভাব থেকে মুক্ত। এ হাদীসে শায়ত্বনের (শয়তানের) ফিতনাহ্ (ফিতনা) থেকে সতর্ক করা হয়েছে। তাই বিষয়টি তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে অবহিত করেছেন যাতে আমরা তার কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এসব জীন আমাদেরকে কুমন্ত্রনা দেয়।
 
(০২)
পর্দা নিয়ে ঠাট্রা করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
এ সংক্রান্ত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
একেবারে পুরো শরীর পর্দা ( হাত মোজা, পা মোজা, চেহারা ঢেকে পর্দা) করা নিয়ে কিছু মানুষ বিরুপ মন্তব্য করে।  
,
তাদেরকে কাফের বলা যাবেনা।
তারা পর্দাকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেনা,বরং হাত, পা,চেহারার পর্দাকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে।
,
★সুতরাং এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই,যে চেহারা,হাত,পার পর্দা যদিও জরুরি ।
(যার উপর অনেক প্রমানাদী রয়েছে)

তবে তাহা কুরআনের আয়াত থেকে অকাট্য ভাবে প্রমানীত নয়।       
,
সুতরাং এটাকে কেহ অস্বীকার কারলে বা,তার প্রতি ঘৃণা পোষন কারীকে কাফের বলা যাবেনা।
তবে সে গোমরাহ।

হ্যাঁ যদি পর্দাকেই কেহ অস্বীকার করে,বা তাহা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য,হাসি,ঠাট্রা করে,তাহলে সে মুরতাদ হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০৩)
সব কিছু ফলো করার পরেও এমন স্বপ্ন দেখলে আপনি দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকবেন।
সমস্যা মনে করলে কোনো বৈধ রুকইয়াহ কারীর সন্ধান জেনে চিকিৎসা নিবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্ , 
উস্তাদজী , 

মুরতাদ মানেই তো ইসলাম থেকে বিমুখ হয়ে যাওয়া, ফিরে যাওয়া , তবে যে ইসলাম থেকে বিমুখ হয় তাকে কি গোমরাহ বলে শুধু ? 

আমাদের আব্দুল ওয়াহেদ উস্তাদ যে বলেছেন , পর্দা অস্বীকারকারী এবং ব্যঙ্গকারী কে কাফের বলা যায় ?
by (560,100 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

সংযোজন করা হয়েছে।
আশা করি স্পষ্ট হবে।
জাযাকাল্লাহ    

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...