আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
327 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (58 points)
আমি শুনেছি, স্বপ্ন নাকি যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয় সেভাবেই প্রতিফলিত হয়। আমি সম্প্রতি একটি দুঃস্বপ্ন দেখেছি, অতঃপর ঘুম থেকে উঠে ইবনে সিরিনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা বই তে উপরোক্ত স্বপ্নের কাছাকাছি একটা স্বপ্নের ব্যাখ্যা পেয়েছি যা আমাকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। স্বপ্ন টা আমি কারো কাছে প্রকাশ করিনি কখনো। শুধু মনে হয়েছে বই এ যেটা পড়েছি তেমন কিছু একটা হতে পারে। এমন মনে হওয়া টা কি স্বপ্নের ব্যাখ্যা হবে? আর স্বপ্ন যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয় সেভাবেই বাস্তবায়িত হয় এমনটা কি এই পরিস্থিতিতে ও প্রযোজ্য হবে? উল্লেখ করা প্রয়োজন, বই থেকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেখার পর যখন দুশ্চিন্তিত ছিলাম তখন মনে পড়ল বাম পাশে তিনবার থুতু ফেলে আউযুবিল্লাহ পড়ার কথা। স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার পর কারো কাছে প্রকাশ করার পূর্বেই আমি উপরোক্ত কাজ টি করি।
এখন আমার প্রশ্ন হলঃ

১. নিজের স্বপ্নের অর্থ নিয়ে নিজে কিছু ভাবলেই কি তা স্বপ্নের ব্যাখ্যা হয়ে যায়? যদিও তা কারো কাছে প্রকাশ না করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জাতীয় কোন বই এর সাহায্য নেয়া হতেও পারে আবার নাও পারে। আমি বুঝাতে চাচ্ছি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বই থ্বকে দেখে তেমন টা হবে ধরে নেয়া।

২. উপরোক্ত ক্ষেত্রে আমার স্বপ্ন কি আমি যেমনটা ধরে নিয়েছি সেভাবে বাস্তবায়িত হবে নাকি সেটা কেবল ই একটা দুশ্চিন্তা শয়তানের পক্ষ থেকে? যেহেতু আমি স্বপ্ন কারো কাছে প্রকাশ করিনি এবং অন্য কেউ ব্যাখ্যা করিনি।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নিজের স্বপ্নের অর্থ নিয়ে নিজে কিছু ভাবলেই কি তা স্বপ্নের ব্যাখ্যা হয়ে যায়না।


(০২)
হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)
,
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে দুঃস্বপ্ন দেখলে আমাদের যা যা করতে হবেঃ
১) দুঃস্বপ্নের ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। এভাবে সকল প্রকার ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।
২) শয়তানের অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। এবং এর জন্য আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম পড়তে হবে। কারণ, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের কুপ্রভাবে হয়ে থাকে।
৩) ঘুম ভাঙার পর বাঁ দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করতে হবে। এটা করতে হবে শয়তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ ও তার চক্রান্তকে অপমান করার জন্য।
৪) যে দিক ফিরে দুঃস্বপ্ন দেখেছে তা পরিবর্তন করে অন্য দিক ফিরে ঘুমাতে হবে। অবস্থাকে বদলে দেয়ার ইঙ্গিত স্বরূপ এটা করতে বলা হয়েছে।
৫) খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলা যাবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
কিতাবে যেসব ব্যাখ্যা লেখা থাকে,সেসব ব্যখ্যা সম্ভাবনাময়।
কোনোটাই নিশ্চিত নয়।
,   
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাদীসে বর্ণিত কাজ গুলোই করবেন।
ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...