بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
যে ব্যক্তি
কোনো এক ওয়াক্তে (যেমন, জোহর থেকে
আসর পর্যন্ত) ওজরবিহীন এটুকু সময় পায় না যে ওজু করে ফরয নামায ফরয, ওয়াজিবসহ আদায় করতে পারে তাকে শরীয়তের
পরিভাষায় মাজুর বলা হয়। এরপর যত দিন পর্যন্ত এ অবস্থায় থাকবে, সে মাজুর থাকবে। মাজুর হওয়ায় তার এক ওজু
দ্বারা ওই ওয়াক্তে সব নামায পড়তে পারবে যদি ওজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ পাওয়া না যায়।
যদি অন্য কোনো কারণ পাওয়া যায় বা ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে যায়, তখন তার ওজু থাকবে না।
হাদিসে
আছে,
একবার ফাতিমা
বিনতে আবু হুবায়শ (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার রক্তস্রাব হতেই
থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। আমি কি নামাজ ছেড়ে দেব? রাসুল (রা.) জবাব দিলেন, না, এটা এক ধরনের শিরাজনিত রোগ, এটা ঋতুস্রাবের রক্ত নয়। তুমি তোমার ঋতুস্রাবের
মেয়াদকাল নামাজ থেকে বিরত থাকো, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যাবে, তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে, তারপর নামাজ আদায় করবে। (বুখারি, হাদিস : ২২৮)
কোনো অসুস্থ
ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত
হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت
الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে
মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো
নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
মাজূর ব্যক্তির
বিধান হল, প্রতি নামাযের সময় হবার পর
একবার অজু করা আবশ্যক। পরের নামাযের সময় আসা পর্যন্ত অজু পেশাব ঝরা ছাড়া অজু ভঙ্গের
আর কোন কারণ না হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বরং উক্ত অজু দিয়ে যত ইচ্ছে নামায পড়া যাবে, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সব ইবাদতই করা
যাবে। মন ছোট করা বা নিজেকে নাপাক মনে করার কোন প্রয়োজন নেই।
উদাহরণ:
(যে ব্যক্তি বায়ু জনিত মাযুর ,তার দৃষ্টান্ত)যোহর নামাযের সময় হয় কথার
কথা ১২ টা সময়। আর আসর সময় হয় ৪ টা সময়।
আপনি ১২
টা সময় অজু করলেন। এখন এ অজু দিয়ে ৪টা পর্যন্ত ফরজ নামায এবং যত ইচ্ছে নফল নামায, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সকল ইবাদত করতে
পারবেন। বায়ু বের হতে থাকায় নতুন করে অজু করার
কোন প্রয়োজন নেই।
কিন্তু
যদি এর মাঝে আপনার অন্য কোন কারণে অজু ভঙ্গ হয়, যেমন পায়খানা করলেন, তাহলে আবার নতুন করে অজু করতে হবে। এ অজুও
আসর নামায পর্যন্ত বাকি থাকবে।
আবার আসর
সময় হয়ে গেলে সেই অজু ভেঙ্গে যাবে। নতুন করে অজু করলে তা থাকবে মাগরিব পর্যন্ত। আবার
মাগরিব সময় হয়ে গেলে নতুন করে অজু করতে হবে। এভাবে প্রতি নামাযের জন্য একবার করে অজু
করতে হবে। এক অজু দিয়ে সেই নামাযের সময় থাকতে সর্ব প্রকার ইবাদত করা যাবে। নতুন করে
অজু করার প্রয়োজন নেই।
আরো বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/3954//3954/