আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (54 points)
১ ওয়াক্ত মাযূর হলে কি আমি সবসময়ই মাযূর হবো নাকি অন্য ওয়াক্তের সময় আমাকে ওয়াক্ত শুরু থেকে শেষ অবধি চেক করতে হবে?

আমার সবসময়ই সালাতের সময় ওযু ভংগ হওয়ার উপক্রম হয় আমি অনেক কষ্টে ওযু ধরে রেখে সালাত শেষ করি এটা একদম নিয়মিত ব্যাপার আবার ওযু করে আসলেও সেইম অবস্থা।এক্ষেত্রে কি করণিয়?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

জবাব,

যে ব্যক্তি কোনো এক ওয়াক্তে (যেমন, জোহর থেকে আসর পর্যন্ত) ওজরবিহীন এটুকু সময় পায় না যে ওজু করে ফরয নামায ফরয, ওয়াজিবসহ আদায় করতে পারে তাকে শরীয়তের পরিভাষায় মাজুর বলা হয়। এরপর যত দিন পর্যন্ত এ অবস্থায় থাকবে, সে মাজুর থাকবে। মাজুর হওয়ায় তার এক ওজু দ্বারা ওই ওয়াক্তে সব নামায পড়তে পারবে যদি ওজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ পাওয়া না যায়। যদি অন্য কোনো কারণ পাওয়া যায় বা ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে যায়, তখন তার ওজু থাকবে না।

হাদিসে আছে,

একবার ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়শ (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার রক্তস্রাব হতেই থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। আমি কি নামাজ ছেড়ে দেব? রাসুল (রা.) জবাব দিলেন, না, এটা এক ধরনের শিরাজনিত রোগ, এটা ঋতুস্রাবের রক্ত নয়। তুমি তোমার ঋতুস্রাবের মেয়াদকাল নামাজ থেকে বিরত থাকো, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যাবে, তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে, তারপর নামাজ আদায় করবে। (বুখারি, হাদিস : ২২৮)

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

 

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

 

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

মাজূর ব্যক্তির বিধান হল, প্রতি নামাযের সময় হবার পর একবার অজু করা আবশ্যক। পরের নামাযের সময় আসা পর্যন্ত অজু পেশাব ঝরা ছাড়া অজু ভঙ্গের আর কোন কারণ না হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বরং উক্ত অজু দিয়ে যত ইচ্ছে নামায পড়া যাবে, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সব ইবাদতই করা যাবে। মন ছোট করা বা নিজেকে নাপাক মনে করার কোন প্রয়োজন নেই।

উদাহরণ:

(যে ব্যক্তি বায়ু জনিত মাযুর ,তার দৃষ্টান্ত)যোহর নামাযের সময় হয় কথার কথা ১২ টা সময়। আর আসর সময় হয় ৪ টা সময়।

আপনি ১২ টা সময় অজু করলেন। এখন এ অজু দিয়ে ৪টা পর্যন্ত ফরজ নামায এবং যত ইচ্ছে নফল নামায, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সকল ইবাদত করতে পারবেন। বায়ু বের হতে  থাকায় নতুন করে অজু করার কোন প্রয়োজন নেই।

কিন্তু যদি এর মাঝে আপনার অন্য কোন কারণে অজু ভঙ্গ হয়, যেমন পায়খানা করলেন, তাহলে আবার নতুন করে অজু করতে হবে। এ অজুও আসর নামায পর্যন্ত বাকি থাকবে।

আবার আসর সময় হয়ে গেলে সেই অজু ভেঙ্গে যাবে। নতুন করে অজু করলে তা থাকবে মাগরিব পর্যন্ত। আবার মাগরিব সময় হয়ে গেলে নতুন করে অজু করতে হবে। এভাবে প্রতি নামাযের জন্য একবার করে অজু করতে হবে। এক অজু দিয়ে সেই নামাযের সময় থাকতে সর্ব প্রকার ইবাদত করা যাবে। নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/3954//3954/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 97 views
0 votes
1 answer 148 views
0 votes
1 answer 110 views
+1 vote
1 answer 640 views
+1 vote
1 answer 371 views
...