আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
দীর্ঘদিন ধরে উদবিগ্নতার সাথে লক্ষ্য করছি যে, আইওএম এ কোনো ফতোয়া জিজ্ঞেস করলে গুরুত্বের সাথে জবাব দেওয়া হয় না, প্রশ্নটির মৌলিকত্বের দিকে লক্ষ্য না করে আগের কোনো উত্তর হুবহু বা অধিকাংশ অংশ কপিপেস্ট করে ধরিয়ে দেওয়া হয় । এটা খুবই হতাশাজনক ও হয়রানিমূলক। আমি নিজে বেশ কয়েকবার এটার শিকার হয়েছি, এবং অন্যকেও হতে দেখেছি। যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপুর্বক বিনয়ের সাথে বলছি যে, এই ধারা চলমান থাকলে কর্তৃপক্ষকে কমপ্লেন জানাতে বাধ্য হব।
যেমন আমার ইতঃপূর্বে প্রভিডেন্ট ফান্ড বিষয়ে একটা প্রশ্ন করেছি। যেটা একটা স্বতন্ত্র ইস্যু, স্বতত্র যুক্তি দেখানো হয়েছে, এক আলেমেরও রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে, কোনো ধরণের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিয়েই একটা আগের ফতোয়া কপি পেস্ট করে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফতোয়া লিখতে যেমন সময় লাগে, একটা প্রশ্ন করতেও তেমনি সময় লাগে, শ্রম লাগে, প্রশ্ন করার পর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয় উত্তরের জন্য। এতকিছুর পরে যখন একটা দায়সারা জবাব বা আগের কোন জবাবের কপি ধরিয়ে দেওয়া হয় তখন তা মনোকষ্টের কারণ হয়। আগের সেই ফতোয়া আমি দেখেছি, তার পরেও প্রশ্নটা করতে হয়েছে কারণ সেটার উত্তর আমার প্রশ্নে যথেষ্ট নয়। এবার আসি আপনার ফতোয়ায় ব্যবহৃত কিছু টার্মে। আপনি বলেছেন, বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা। এই ইনকাম ট্যাক্স কী জিনিস? আমি তো কোনো ইনকাম ট্যাক্সের কথা বলিনি, কোনো চাকরিতেই কোনো ইনকাম ট্যাক্সের প্রভিডেন্ট দেওয়াও হয় না। বেতন যদি ৫০০ টাকা হয় সেখান থেকে প্রতি মাসে বাধ্যতামূলক ৫০ টাকা কেটে রাখা হয়। অর্থাৎ , এটা তার ইনকাম থেকে কাটা হয় পরে সুদসহ দেওয়ার জন্য (যদি না সে সুদ না নেওয়ার কথা উল্লেখ করে), এটা কোনো ইনকাম ট্যাক্স নয়।  যা বলছিলাম, এই টাকাটা চাকরি শেষে সুদ সহ পরিশোধ করা হয়। এখানে সুদ নিতে তাকে বাধ্য করা হয় না, তাকে অপশন দেওয়া হয় যে আপনি চাইলে শুধুমাত্র আপনার সঞ্চিত টাকাটাও নিতে পারবেন, আবার সুদ সহ যা বর্ধিত হয়েছে সেটাও নিতে পারবেন। সেখানে অনেক মানুষ সুদসহটাই নেয়, ্কারণ যেহেতু  আলেমরা প্রভিডেন্ট ফাণ্ডকে (জিপিএফ) জায়েজ বলেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, যদি বাধ্যতামূলক কর্তন করাটাই এটা জায়েজ হওয়ার আসল কারণ হয়ে থাকে তাহলে যতক্ষণ বাধ্য ছিল ততক্ষণ জায়েজ থাকত, যখন ঐচ্ছিক করে দেওয়া হলো তখন নাজায়েজ হওয়ার কথা ছিল (অর্থাৎ, চাকরির মধ্যেই তার এপ্লিকেশন দেওয়ার সুযোগ থাকে যে আমার প্রভিডেন্ট ফান্ডে যেন সুদ যোগ না করা হয়, এবং চাকরি শেষে সে শুধু সঞ্চিত টাকাটুকুই নিতে পারে) । কিন্তু তা না হয়ে কেন তখনও জায়েজ হচ্ছে (হচ্ছে তো, তাই না?)? তারমানে বোঝা যাচ্ছে, বাধ্যতামূলকটা বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে মালিকানা বুঝে পাওয়া-না পাওয়া। প্রতি মাসের পুরো  বেতনটা যদি সরকার নিজে কর্তন না করে হাতে দেওয়ার পর বলত ৫০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে  ব্যাংকে জমা দিতে হবে (অর্থাৎ, সরকার আমাকে মালিক বানিয়ে দেওয়ার পর জমা দিতে বলছে) , তাহলে কি চাকরি শেষে বর্ধিত টাকাটা নেওয়া আমার জন্য জায়েজ হত? আমার জানামতে হত না। তাহলে কী দাঁড়াল, মালিকানা বুঝে না পাওয়া্র শর্তে বাধ্যতামূলক কিংবা ঐচ্ছিক যেভাবেই টাকা কাটানো হোক না কেন তার বর্ধিত অংশ গ্রহণ করা জায়েজ? ফলত ঐচ্ছিকভাবে বেশি কাটালেও তার লাভ গ্রহণ করাটাও জায়েজ হওয়াটাই যৌক্তিক নয় কী? দুঃখজনক যে,এই কথাগুলো আগেও বলেছিলাম অনেক কষ্ট করে, কিন্তু আপনার এড়িয়ে যাওয়ার কারণে আবার রিপিট করতে হলো। আশা করি, এবার টু দ্য পয়েন্ট উত্তর পাব। দয়া করে ফোন করতে বলবেন না, আমার পক্ষে সেটা সঙ্গত কারণে সম্ভব না।

(বিঃদ্রঃ আগের ফাতওয়ায় সবশেষে বলেছেন, আমার বক্তব্য সঠিক। অথচ আমার বক্তব্য আপনার বক্তবের বিপরীত ছিল। আপনি বলেছেন, সরকার বাধ্যতামূলক কর্তন  করলে তার লাভসহ মূলটুকু সুদ নয়, আর আমি বলছি টাকাটা আমার হাতে আসার আগেই কর্তন হওয়ার শর্তে ঐচ্ছিকভাবে বেশি কাটালেও তার লাভটুকুও সুদ নয়)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো টাকার বিনিময়ে টাকা নিলে  কোনো কমবেশি করা যাবেনা।
কম বেশি করলে সেটি সূদ হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ - وَالْفِضَّةُ أَكْثَرُهُمَا - يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الْبُرِّ بِالشَّعِيرِ وَالشَّعِيرُ أَكْثَرُهُمَا يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ "

হাসান ইবন আলী (রহঃ) ........... উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সোনা সোনার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা সোনার পাত হোক বা স্বর্ণ মুদ্রাই হোক এবং রুপা রুপার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা রুপার পাত হোক বা রৌপ্য মুদ্রাই হোক। আর গম গমের বিনিময়ে এক মুদ এক মুদের বিনিময়ে বিক্রি করতে হবে এবং যবের বিনিময়ে যবও এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। আর খেজুর খেজুরের বদলে এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। একই ভাবে লবণ লবণের বিনিময়ে এক মুদের বদলে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। এই প্রকারের একই ধরনের জিনিসের মধ্যে যে ব্যক্তি বেশী নিবে বা দিবে, তা-ই সূদ হবে।

তবে সোনাকে রুপার বিনিময়ে এ অবস্থায় বিক্রি করা, যখন রুপা উভয় অংশের মধ্যে অধিক হবে, তবে তা দূষণীয় নয়। তবে এতে শর্ত হলো- লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে, বাকীতে বিক্রি জায়িয হবে না। একই রূপে গম যবের বিনিময়ে বিক্রি করা দূষণীয় নয়, যখন যবের অংশ উভয়ের মধ্যে অধিক হবে। তবে তা এ শর্তে যে, লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে এবং এতেও বাকী বিক্রি বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ৩৩১৬)
,
★প্রভিডেন্ট ফান্ড এর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা  সূদ নয়।   
কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবেনা।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।
,
যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখিত টাকা তার হস্তগত হয়না,সে চাইলেও পায়না,তাই শরীয়তের বিধান মতে এখনো সে উক্ত টাকার মালিক না হওয়াতে সেটি তার টাকাই নয়।
তাই যেটি শেষে সে পাচ্ছে,তখনই সে উক্ত টাকার মালিক হওয়ার কারনে সেটি তার জন্য জায়েজ।

বাকি এমনিতেই এসব চাকুরীর টাকাতে অনেক ক্ষেত্রেই সূদ এর মিশ্রণ থাকেই,তবে হালাল বেশি হওয়া আর নিজের কাজ হালাল হওয়ার প্রেক্ষিতে সেই বেতন গ্রহন জায়েজ হয়েছে।
তাই প্রভিডেন্ট ফান্ড এর বাধ্যতামূলক যেই টাকা তাকে দেওয়া হয়না,সেটি গ্রহন করা পুরাটাই জায়েজ।
,       
এখানে বাধ্যতামূলক কর্তন করাটাই এটা জায়েজ হওয়ার আসল কারণ নয়।
মূল কারন হলো কবজা বা হস্তগত না হওয়া।

★কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিকই হতে পারে না।

সুতরাং প্রতি মাসের পুরো বেতনটা যদি সরকার নিজে কর্তন না করে হাতে দেওয়ার পর বলত ৫০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে  ব্যাংকে জমা দিতে হবে (অর্থাৎ, সরকার আপনাকে মালিক বানিয়ে দেওয়ার পর জমা দিতে বলছে) , তাহলে চাকরি শেষে প্রভিডেন্ট ফান্ড এর বর্ধিত টাকাটা নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ হতোনা।

ঐচ্ছিকভাবে বেশি কাটালে তার লাভ গ্রহণ করা জায়েজ হওয়াটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। 

কেননা সেই টাকা হস্তগত হওয়ার কারনে এখন সেই টাকার পুরোপুরি আপনি মালিক।
এখন সেই টাকা সেই ফান্ডে রেখে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া মানে টাকার বিনিময়ে টাকা নেওয়া,আর এক্ষেত্রে এক টাকা অতিরিক্ত নিলেও সেটি সূদ বলে গন্য হবে।
উপরোক্ত হাদীস সেটিরই প্রমান বহন করে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
ধন্যবাদ মুহতারাম, কষ্ট করে উত্তর প্রদানের জন্য। কিন্তু আমার যা মনে হলো, প্রভিডেন্ড ফান্ডের সরকারি সিস্টেমটি আপনারা পুরোপুরি অবগত নন, এজন্য আমার বক্তব্য বুঝতে বার বার ভুল হচ্ছে। আমি সরকারী সিস্টেমটা বলছিঃ কারো বেতন যদি ২০ হাজার টাকা হয় তাহলে এর ৫% অর্থাৎ মাসিক ১০০০ টাকা সরকার কেটে রাখবে এবং তাকে ১৯ হাজার টাকা দেবে। এটা সে কোনোভাবেই সরকারকে বাধা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না, বাধ্যতামূলক। কিন্তু সে চাইলে সর্বোচ্চ ২৫% পর্যন্ত কাটাতে পারে, অর্থাৎ সে যদি ৫% এর ঘরে ১০%, ২০% বা সর্বোচ্চ২৫% পর্যন্ত লিখে তাহলে তার বেতন থেকে সেই পরিমাণ টাকা কেটে নিয়ে সরকার বাকিটা তার হাতে দেবে। যেমন ধরুনঃ ২৫% কাটালে ৫ হাজার টাকা কেটে সরকার তাকে ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন দেবে। উভয়ক্ষেত্রেই টাকাটা তার একাউন্টে লাগার আগেই (অর্থাৎ তাকে মালিক বানানোর আগেই) সরকার কেটে নিচ্ছে। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে যে প্রথমক্ষেত্রে ৫% সরকার অবধারিতভাবেই কাটবে, ২য় ক্ষেত্রে ২৫% সে অনুমতি দিয়েছে বলেই সরকার কাটতে পারল, সে ২৫% এর অনুমতি না দিলে সরকার ৫% কাটত। তো, যেহেতু আপনিও স্বীকার করেছেন যে 'বাধ্যতামূলকভাবে কর্তন' কিংবা 'ঐচ্ছিকভাবে কর্তন' প্রভিডেন্ড ফান্ড জায়েজ হওয়ার মূল কারণ নয়, বুরং মূল কারণ হলো মালিকানা বুঝে না পাওয়া, সেক্ষেত্রে প্রথমক্ষেত্রে যেমন সে মালিকানা বুঝে পাওয়ার আগেই কর্তন হয়েছে, ২য়ক্ষেত্রেও কিন্তু মালিকানা বুঝে পাওয়ার আগেই কর্তন হয়েছে। তাহলে যে যুক্তির কারণে ১ম ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ড ফান্ড জায়েজ, সেই যুক্তির কারণেই ২য় ক্ষেত্রেও জায়েজ হওয়ার কথা। এবং এটা আমাকে মুফতি দেলোয়ার হোসেন (আকবর কমপ্লেক্স) বলেছেন। কিন্তু আইওএম এর ক্লাসনোটে এবং আইফাতোয়ার একটি প্রশ্নে ঐচ্ছিকভাবে কর্তন হলে সেটাকে নাজায়েজ লেখা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে জানতে চাওয়া যে আসলে কোনটা সঠিক? আশা করি এবার বলবেন। ধন্যবাদ।
by
প্রথম ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সরকার কেটে রাখছে। সেজন্য এটা জায়েজ। 
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সরকার কেটে রাখছে কিন্তু এটার অনুমতি আপনি দিয়েছেন। আপনি অনুমতি না দিলে সরকার কেটে রাখতে পারত না। সেহেতু অতিরিক্ত যেটা আপনি অনুমতি দিয়েছেন সেটা জায়েজ হবে না। 
হুজুরের কথায় আমি এটাই বুঝলাম। ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন। 
by
আপনার কথার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ যুক্তি আছে ,এবং অনেক ভাববার বিষয় ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৫% থেকে সর্বোচ্চ  ২৫% পর্যন্ত টাকা কর্তন করা যাবে;এবং নিয়ম অনুযায়ী লভ্যাংশ নিতেও পারি আবার না নিতেও পারি এই সুযোগও আছে এবং সরকার লভ্যাংশ নিতে বাধ্য করছে না । তাহলে ৫% টাকার সাথে লভ্যাংশ নেওয়া জায়েজ হলে,সর্বোচ্চ ২৫% টাকার সাথে লভ্যাংশ নেওয়া কেন জায়েজ হবে না?আর সর্বোচ্চ ২৫% টাকার লভ্যাংশ যদি সুদ হয়,তাহলে ৫%টাকার লভ্যাংশ কেন সুদ হবেনা?এই বিষয়টি একটু ভালো করে পরিস্কার হওয়া দরকার ।
by
ফিকাহে আমার বোধগম্যতা অনুসারে জিপিএফ ফান্ডের টাকা সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে।

বাধ্যতামূলক ৫% যা কাটা হয়, সেটি
+
সরকার যা দেয় সেটি এদুটো মিলিয়ে মোট যা হয় তা রেখে বাকী টাকা দান করে দিতে হবে।

অল্প কিছু জায়গায়, দেশীয় মুফতিগণ GPF কে হালাল বলতে দেখা যায়। হয় তারা পরিষ্কার ধারণা রাখেন না, অথবা সরকারী কোন চাপের কারণে এরকম ফতোয়া দেন।

GPF এর বিষয়টা এরকম-
- তুমি বেতনের ৫% দেবে
- আমি সরকার আরো ৫% দেব
- যে ১০% মূলধন আসবে তা লাগানো হবে সুদী স্কিমে।
- বছরে ১৩.৫% হারে সুদ আসবে।
- এই টাকা চক্রবৃদ্ধি সুদী স্কিমে বছরের পর বছর চলবে এবং অবসরের সময় সুদে আসলে সব পাবে।

বিষয়টার আগাগোড়া সুদী। হালালের কোন সম্ভাবনা নাই।

সামারী-
১. সরকার যে পেনশন দেয় সেটা হালাল।
২. সরকার এককালীন যে লাম্পসাম দেয় সেটা হালাল।
৩. সুদসহ জিপিএফ ফান্ডের টাকা হালাল নয়। আসলটা রাখা যেতে পারে।

Allah knows the best. 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...