বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হায়েয থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক কাজকর্মগুলো করতে পারবে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا حَائِضٌ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি হায়েয অবস্থায় আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম। (সহীহ বুখারী ২৯৫)
মহিলাদের হায়েজ
অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা
জায়েজ নেই।
হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম।
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه
و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات،
باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত
আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং
গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে
আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর
রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
হাদীস শরীফে হায়েজাহ মহিলার ক্ষেত্রে যেই নিষেধাজ্ঞা এসেছে,সেটা পড়া, তেলাওয়াত
করা নিয়ে,এবং যেহেতু পড়ার সম্পর্ক যবানের সাথে সম্পৃক্ত,
তাই কেহ যদি
এমতাবস্থায় মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করে,তাহলে তাকে
তেলাওয়াত বলা যাবেনা।
হযরত আলী রাযি
থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن
علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يعلمهم
القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "
রাসূলুল্লাহ সাঃ
লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা
ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, হায়েজ
চলাকালীন অবস্থায় স্ত্রী স্বামীর অপবিত্র
কাপড় ধুতে পারবে।
২.শয়তানের ওয়াসওয়াসাতে ভ্রুক্ষেপ না করে ইয়াকিনের
উপর সর্বদা আমল করবেন অর্থাৎ নাপাক হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হলে তখনই নাপাক ধরবেন
অন্যথায় নয়। আর শয়তান ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে বলে বুঝতে পারলে أعوذ بالله من
الشيطان الرجيم
পড়বেন এবং তার ওয়াসওয়াসার উপর আমল করবেন না।