আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
521 views
in সালাত(Prayer) by (48 points)
edited by
প্রশ্ন : আসসালামু-আলাইকুম উস্তাদ।

আমি একজন বোন। অনেক সময় দেখা যায় আসরের নামাজের সময়ে আমি পাবলিক বাসে থাকি! এখন ঐ সময়ে অচেনা জায়গায় নেমে কোথাও নামাজ পড়ার জায়গাও পাই না! যেহেতু মেয়েদের জন্য ব্যবস্থা নেই সব জায়গায় এবং মসজিদেও যেতে দেয় না। আর বাসে / কোথাও তখন ওযুর পানিও নেই! তায়াম্মুম কিভাবপ করবো কারণ, আশে পাশে অনেক গাইরে মাহরামও থাকে! প্রায়ই আমাকে আসরের নামাজের আগে বাসে উঠতে হয়! জেমে পড়লে মাগরিবের ওয়াক্তও হয়ে যায় বাসে বসেই!!!!!
এখন আমি এমন অবস্থায় কিভাবে সালাত আাদায় করতে পারি????? এমন অবস্থায় প্রায়ই পড়তে হতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকা অবস্থায়! তখন আমি সালাত আদায় করতাম না। কিন্তু এখন কোনোভাবেই সালাত মিস করতে চাই না! দয়া করে আমার সমস্যার সমাধান দিবেন!

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  


শরীয়তের বিধান হলো যদি গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, অথবা যানবাহনটি এমন কোথাও না দাঁড়ায় যেখানে পানি দ্বারা অযু করে নামায আদায় করা সম্ভব, তবে এমতাবস্থায় গাড়িতে পানিতে পানির ব্যবস্থা না থাকলে মাটি জাতীয় বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করে নামায পড়া জায়েজ আছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন  
قوله تعالى-وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاء أَحَدٌ مِّنكُم مِّن الْغَآئِطِ أَوْ لاَمَسْتُمُ النِّسَاء فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا (سورة المائدة-6)
যার সারমর্ম হলো যদি তোমরা অসুস্থ হও,বা সফর অবস্থায় থাকো,,,,,, পানি যদি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো।
    
وفى الفتاوى الهندية- ومنها عدم القدرة على الماء يجوز التيمم لمن كان بعيدا من الماء ميلا هو المختار في المقدار سواء كان خارج المصر أو فيه وهو الصحيح وسواء كان مسافرا أو مقيما هكذا في التبيين لا يجوز التيمم لعدم الماء في المصر وكذا القرى التي لا يفارقها أهلها أو أكثرهم نهارا (الفتاوى الهندية-1/27)
যার সারমর্ম হলো পানির উপর যদি শক্তি না থাকে, যেমন সে যদি পানি থেকে এক মাইল দুরত্বে থাকে,,,, তাহলে সে তায়াম্মুম করতে পারবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আসরের নামাজের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হলে আপনি আসরের শুরুর ওয়াক্তে নামাজ আদায় করে তারপর বাসে উঠবেন।
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা।
(ওয়াক্ত আসার অনেক পড়ে আসরের আযান দেওয়া হয়,তাই আপনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর স্থায়ী ক্যালেন্ডার দেখে আসরের ওয়াক্ত আসা মাত্র নামাজ আদায় করে তার পর বাসে উঠবেন।)      

এমনটি সম্ভব না হলে বরং জোহরের ওয়াক্তেই আপনাকে বাসে উঠতে হলে আপনি অযু করেই বাসে উঠবেন।
অযু না থাকলে বা ভেঙ্গে গেলে সেক্ষেত্রে বিধানঃ

বাস বা যান বাহনে থাকার কারণে যদি কোনো মহিলা পর্দা করতে সক্ষম না হয়,এবং তায়াম্মুম করতেও সক্ষম না হয়,তাহলে ইশারায় নামায আদায় করবে,তবে যদি তায়াম্মুম করার সুযোগ থাকে,তাহলে তায়াম্মুম করে নামাযকে আদায় করবে।জনসম্মুখে তায়াম্মুম করতে যদি হাত মুখ খুলতেই হয়,তাহলে হাত মুখ খুলে অজু/তায়াম্মুম করে নেবে।তবে যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে,যাতে নিজেকে পুরপুরুষের দৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/9190

যানবাহনে কোন জিনিস দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে,জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 342 views
...