জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
না,প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমান চলে যাবেনা।
,
তবে এই বিধানকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলে,ঘৃণা করলে ঈমান চলে যাবে।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
﴿قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ ٦٦﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦]
“বলুন! তোমরা কি আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ এবং তাঁর রাসূলকে নিয়ে হাসি-তামাসা করছিলে? তোমরা এখন ওযর পেশ করো না। তোমরা তো ঈমান প্রকাশের পর কুফুরী করেছো।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]
শরহে আকাইদে নাসাফিয়্যাহ এর ব্যখ্যাগ্রন্থ নিবরাস গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
اهل القبلة فى اصطلاح المتكلمين من يصدق بضروريات الدين (الى قوله) فمن انكر شيئا من الضروريات (الى قوله) لم يكن من اهل القبلة، ولو كان مجاهد بالطاعات وكذالك من باشر شيئا من امارات التكذيب كسجدة الصنم ولاإهانة بامر شرعى والإستهزاء عليه فليس من اهل القبلة ان لا يكفر بارتكاب المعاصى ولا بانكار الامور الخفية غير المشهورة هذا ما حققه المحققون،
আহলে কিবলা মুতাকাল্লিমীন তথা আক্বায়িদবীদতের পরিভাষায় ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যিনি দ্বীনের আবশ্যকীয় সকল বিষয়কে বিশ্বাস স্বীকার করেন। জরুরিয়্যাতে দ্বীন তথা দ্বীনের আবশ্যকীয় বিষয়ের কোন একটিকেও যদি অস্বিকার করে তাহলে সে আহলে কিবলা নয়। যদিও সে ইবাদত বন্দেগীতে খুবই তৎপর হয়। এমনিভাবে ঐ ব্যক্তি ও আহলে কিবলা নয়, যে কুফরী বা বাতিলের কোন একটি বিষয়ও করে থাকে, যেমন মুর্তিপূজা করা, অথবা শরয়ী কোন বিষয়কে ঠাট্টা করা, মজা করা, তাহলে এ ব্যক্তিও আহলে কিবলা নয়। আর আহলে কিবলাকে কাফির না বলার দ্বারা উদ্দেশ্য হল, গোনাহ করার কারণে কোন আহলে কিবলাকে কাফের বলা হবে না। সাথে এমন বিষয়কে অস্বিকার করলেও কাউকে কাফের বলা যাবে না যা জরূরিয়্যাতে দ্বীন তথা দ্বীনের আবশ্যকীয় বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত নয়। {নিবরাস}
আরো জানুনঃ
(০২)
ইমান ভেঙ্গে গেলে, ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেলে, বিবাহ ভেঙ্গে যায়,পুনরায় কিভাবে আবার ইমান ফিরিয়ে আনতে হয়।
এক্ষেত্রে এটি ফসখে নিকাহ,তালাক নয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইসলাম গ্রহন করে পুনরায় বিবাহ করার পর সেই স্বামী তিন তালাক প্রদানের আধীকারই থাকবে।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী।)
وارتداد احدہما ای الزوجین فسخ عاجل بلا قضاء ( الدرالمختار علی ہامش رد المحتار باب نکاح الکافر ج ۲ ص ۵۳۹۔ط۔س۔ج۳ص۱۹۳ ‘ ظفیر۔
সারমর্মঃ
স্বামী স্ত্রীর কাহারী মুরতাদ হলে সেই অবস্থাতেই বিবাহ বিচ্ছেদ,আদালতের ফায়সালার প্রয়োজনীয়তা নেই।
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো কোনো মুসলমান যদি মুরতাদ হয়ে যায়,তাহলে তাকে সেই মত ইত্যাদির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে, তওবা করে খালেছ দিলে কালেমা শাহাদত পড়ে মুসলমান হতে হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ