আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in পবিত্রতা (Purity) by (75 points)
edited by
আমি আব্দুল্লাহ। আপনি আমাকে চেনেন

১/ অবিবাহিত ক্ষেত্রে কী যিহার হয়।মানে আমি অবিবাহওত।আমি যদি কোনো যিহার বাক্য জোরে বা মনে উচ্চারন করি তবে কী যিহার হবে।কাফফারা লাগবে.

২/বড় ভাই যদি ছোট বোনের স্তনে চুমু দেয় তাহলে কী গুনাহ হবে।বোনের বয়স,ভাইয়ের বয়স যাই হোক না কেন।

৩/ ভাই যদি বোনের  যেকোনো জায়গায়য় চুমু দেয়  এতে কী গুনাহ হয়।বয়স যাই হোক তাদের দুজনের।কোন বিধান আরোপিত হবে তাদের

৪/ আমার দ্বারা যদি কখনো শিরক,কুফরী হয়ে যায় এতে কী হুরমতের বিধান পরিবর্তন হবে।আমি আব্দুল্লাহ।আপনি আমাকে জানেন

৫ / আমার ছোট বেনকে স্পর্শ করতে গেলেই মনে হয় আবার যদি এমন কোনো কাজ হয়ে যায় যাতে গুনাহ হবে।তাই ধরি না।মাকে ধরার ক্ষেত্রে কোনো বিধান আছে

০৬/ ছোট বোনেরলজ্জাস্থানে হাত গেলে সেটা শাহাওয়াত সহ বা ছাড়া এতে কী কোনো সমস্যা।ভাই দ্বারা।আবার বোনের হাত যদি ভাইয়ের লজ্জাস্থানে পড়ে তখনও।

০৭/ ভাই বোনের স্পর্শে কী কোন য়রিয়তে বিধান আছে।মানে এমন কোন নিয়ম আছে যেটা ভাই বোনের স্পর্শের জন্য ে্রযোজ্য।মানে এমনভাবে স্পর্শ করাযাবে।এমনভাবে যাবে না।

৮/ আবার পিতামাতাকে স্পর্শে করার ক্ষেত্রেও

৯/ আমি কী যেমন খিশি তেমনভাবে বাবা,মা, বোনকে ধরব

১০ মায়ের সাথে চিৎকার করে কথা বললে বা জোীে কথা বললে কর হুরমত বিধান পাল্টাবে।আমি আব্দুল্লাহ।ওয়াসওয়াসার রোগী

১১/ মায়ের লজ্জাস্থানে,বোনের লজ্জাস্থানে,বাবার লজ্জাস্থানে দৃষ্টি গেলে কী হুরমত বিধান পাল্টাবে।কাপরের উপর দিয়ে আর বোনের টা সরাসরি।

১২/ পশ্চিম দুকে শোয়া বা বসা অবস্থায় পা গেলে কী হুরমত বিধান  পাল্টাবে।

উপরের ১৩ টা প্রশ্নে সাথে কী তালাক সম্পর্কিত কোনোভাবে

১৪/ আমি ইচ্ছা করেহেডফোনের ভিতর নাপাক  ঢুকালে বের করতে না পারলে কী করব।পানি ভিজালে নষ্ট হবে

১৫// গান শুনলে কী নাচ দেখলে হুরমত বিধান পাল্টাবে

১৬/ মায়ের উলংংগ দৃশ্য স্পর্শ করার সময় ভাসলে লী করব

১৭/ আমি যদি মনে মনে বা জোরে একটা গান"টাকি টাকি টা কিটা কী" গান বলি তাহলে কী হুরমত পাল্টাবে।

১৮/ গান গাইলে কী হুরমত বিধান পাল্টাবে

1 Answer

0 votes
by (710,520 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
কাগজ নাপাক।সেটার উপর নাপাক কলম দিয়ে লিখলে, পবিত্র করার পদ্ধতি হল, শুকিয়ে নেয়া। শুকিয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।

(২)
জ্বী, সকল ক্ষেত্রেই শুকানোর বিধান প্রযোজ্য হবে।

(৩)
কভার পেইজ যদি পলিথিন দ্বারা আবৃত থাকে, তাহলে কভার পেইজকে মুছে ভিতরের পৃষ্টা সমূহকে শুকিয়ে নিলে, তা পবিত্র হয়ে যাবে।

(৪)
মায়ের বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।তবে এমন গর্হিত কথা বলার জন্য আপনার অবশ্যই গোনাহ হবে।

(৫)
এসব ওয়াসওয়াসা। সুতরাং এত্থেকে বাচতে আপনি অজু করে দু'রাকাত নামায পড়ে নেবেন।এবং আউযুবিল্লাহি মিনাশ-শাইত্বানির রাজিম পড়ে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

(৬)
না, হুরমত হবে না।

(৭)
না, নাই।

(৮)
জ্বী, সেক্ষেত্রে হুরমতের বিধান চলে আসবে।

(৯)
জানা নেই।

(১০)
জানা নেই।
(১১)
না, পাল্টাবে না।

(১২)
না, পাল্টাবে না।
(১৩)
জানা নেই।
(১৪)
উক্ত প্রশ্নের উত্তর জানা নেই।
(১৫)
না, পাল্টাবে না।
(১৬)
জানা নেই।
(১৭)
না, পাল্টাবে না।
(১৮)
না, পাল্টাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 44 views
0 votes
1 answer 67 views
...