বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমে একটি মূলনীতি মূলক ফাতাওয়া দেখুন-
বিভিন্ন শরীয়ত বিরোধী কাজ সমূহে ব্যবহৃত জিনিষপত্রর ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে বলা যায় যে,এতে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে-
একদল উলামায়ে কেরাম এ ক্রয়-বিক্রয় কে স্পষ্টত নাজায়েয বলেন, তাদের দলীল হল, কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)
তাই তাদের বক্তব্য হল,শরীয়ত ও দ্বীন-ধর্ম বিরোধী কোনো কাজে সহায়তা করা কখনো জায়েয হবে না।
অন্যদিকে উলামায়ে কেরামের বিরাট একটি অংশ বলেন,
সুদ,মদ,শুকুর ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে মূল কাজ বৈধ হলে তা করা যাবে।যেমন গির্জায় ঝাড়ু দেওয়া, ইত্যাদি।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
এমন ব্যবসা যেখানে মতপার্থক্য চলে আসে সেরকম ব্যবসায় সাধারণত নিজেকে না জড়ানোই ভাল ও উত্তম। তবে যদি কোথাও শত চেষ্টা করার পরও এছাড়া অন্য কোনো ব্যবসার সুযোগ না হয়,তাই যেহেতু কিছুসংখ্যক উলামায়ে এরকম ব্যবসার অনুমোদনের পক্ষে রয়েছেন, সেহেতু এরকম ব্যবসার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।সেক্ষেত্রে গোনাহ ঐ ব্যক্তির-ই হবে, যে গোনাহকে সরাসরি সংগঠিত করবে। বিক্রতার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার জন্য এমন কন্টেন্ট তৈরী না করাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। এছাড়া ভিন্ন কন্টেন্ট যাতে কোনো প্রকার হারামের সহযোগিতা থাকবে না, তা তৈরী করবেন। যদি হারামে সাহায্য করা ব্যতিত ভিন্ন কোনো কন্টেন্ট তৈরী করা সম্ভবপর না হয়,বরং এ কাজই বেশী আসে, তাহলে আপনি এ পেশা ছেড়ে দিবেন।হ্যা, যদি এছাড়া জীবন চালানোর মত আপনার নিকট অন্য কোনো অপশন না থাকে,তাহলে বৈধ কোনো চাকুরীর ব্যবস্থা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আপনি ইস্তেগফারের সাথে এ কাজ করতে পারবেন।