আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম

1)শাইখ, আমাদের এলাকার মানুষ মজা করে মানুষকে বলে-"তুমি আমাকে না দিয়ে ঐ খাবার খাচ্ছো, আমি তোমার খাবারে চোখ লাগিয়ে দিলাম। দেখ তোমার অসুখ হবে" এরকম কথা কি শিরক বা কুফর হতে পারে?

2)আমার একটা আ‍্যকুয়েরিয়াম আছে যাতে ছোট ছোট কয়েকটা মাছ আছে। ঐ আ‍্যকুয়েরিয়ামের পানি জামায় লাগলে কি সলাত হবে?যেহেতু পানিতে মাছের মল-মূত্র মিশে থাকে। তবে মাছগুলো ছোট হওয়ায় মল-মূত্র দৃশ‍্যমান নয়।

1 Answer

0 votes
by (589,650 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত অায়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عائشة رضي الله عنها قالت : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرني أن أسترقي من العين "
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন।(সহীহ মুসলিম-২১৯৫)

عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বদনজর সত্য।তবে তা অাল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে।আল্লাহর হুকুম ব্যতিত বদনজর কখনো কারো ক্ষতি করতে পারবেনা।

যদি কেউ মনে করে যে, বদ নজর দ্বারা নিজ ইচ্ছায় কারো ক্ষতি করতে পারবে, এমন আকিদা বিশ্বাস কুফরি।এজন্য অবশ্যই তাকে তাওবাহ করতে হবে।

আর এমনটা আকিদা বিশ্বাস না হলে,তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে।তবে তা নিতান্তই মন্দ।

(২)
মাছের মলমূত্রর দরুণ একোরিয়ামের পানি নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...