আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম
 শায়েখ ১টা জরুরি মাসআলা জানার প্রয়োজন ছিল,,

##স্বামী প্রতিষ্ঠিত(পরিবার চালানোর সক্ষমতা তার আছে) থাকা সত্ত্বেও কোন স্ত্রী কি জব করতে পারবে??
বিষয়টা ব্যাখ্যা স্বরূপ
অর্থাৎ পৃথিবীতে অনেক বিদ্যাই রয়েছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য চিকিৎসা বিদ্যা অর্থাৎ কোন মেয়ে যদি চিকিৎসা  বিদ্যা অর্জন করে যেমন- ডাক্তার,,নার্সিং,,মিডওয়াইফারি ইত্যাদি এবং সে মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে (কোন সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) কাজ করে এতে কি তার গুনাহ হবে শরীয়ত কি তাকে এই কাজের অনুমতি দিবে??
এটা সবারই বোধগম্য যে, বর্তমানে পরিপুর্ণ পর্দা রক্ষা করে এটা করা সম্ভব না তবে যদি আমরা আলেম ওলামারা অন্য দিকে তাকাই যে আমাদের (আলেমদের/যারা পর্দা করে চলে) পরিবারের কোনো "মহিলা" সদস্যকে যদি কখনো হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয় আমরা কিন্তু তখন একজন মেয়ে ডাক্তার বা নার্সকেই খুজি,আমাদের পরিবারের লোকজনদের পর্দার কথা চিন্তা করে।। এখন যদি আমরা বলি যে পরিপূর্ণ পর্দা না করা হলে (অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে) এই প্রফেশনটা জায়েজ হবে না তাহলেতো আমরাও আমাদের পরিবারকে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবো না বাধ্য হয়ে পুরুষ দ্বারা চিকিৎসা নিতে হবে যেটা আরো মারাত্মক!!
এবং তখন গণহারে পুরুষরাই মেয়েদেরকে ট্রিটমেন্ট দিয়ে যাবে যেটা সমাজের জন্য আরও ক্ষতিকারক!
এই বিষয় যদি একটু বিস্তারিত বলতেন
closed

1 Answer

0 votes
by (710,360 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বী, আপনার উপরোক্ত ব্যখ্যা বিশ্লেষণ-কেই আমরা "ইসলাম ও মুসলমানের খেদমতের নিয়ত" দ্বারা বর্ণনা করেছিলাম। সুতরাং আপনার বর্ণনা ও ব্যখ্যা মতে নারীরা চিকিৎসা বিভাগে চাকুরী করতে পারবে।তবে সর্বদা অন্তরে  "ইসলাম ও মুসলমানের খেদমতের নিয়ত" থাকতে হবে।

https://www.ifatwa.info/343 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
এ সম্পর্কে পাকিস্তান শরয়ী কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মুফতী তাক্বী উসমানী (দাঃবাঃ) এক প্রশ্নের জবাবে বলেনঃ
সহশিক্ষা নাজায়েয ও হারাম। তবে বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় দ্বীনদারের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।সরকারী-বেসরকারি সমস্ত পদ-পদবীতে অমুসলিম -ফাসিকদের জয়জয়কার।
(আমি বলবঃআজ এই দেখুন আমাদের বাংলাদেশ! যেখানে সব কর্তৃত্ব অমুসলিম এবং বেদ্বীনদের হাতে।তাই বললে ভূল হবে না যে,
অমুসলিমরা জনসংখ্যা অনুপাতে সংখ্যালগু হলেও তারা সরকারী পদ-পদবীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ)

সুতরাং বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে,
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে  বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২;

তাই বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...