হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ قَا :الرِّبَا اثْنانِ وَسَبْعُونَ بَاباً أدْنَاهَا مِثْلُ إِتْيانِ الرَّجُلِ أُمَّهُ وَإِنَّ أَرْبَى الرِّبَا اسْتِطالَةُ الرَّجُلِ فِي عَرْضِ أَخِيْهِ
বারা’ বিন আযেব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সূদ (খাওয়ার পাপ হল) ৭২ প্রকার। যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাপ হল মায়ের সাথে ব্যভিচার করার মত! আর সবচেয়ে বড় (পাপের) সূদ হল নিজ (মুসলিম) ভাইয়ের সম্ভ্রম নষ্ট করা।
(ত্বাবারানীর আউসাত্ব ৭১৫১, হাকেম ২২৫৯, শুআবুল ঈমান বাইহাকী ৫৫১৯, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৮৭১)
আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ
সুদের গুনাহর সত্তরটি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা। (ইবনু মাজাহ ২২৭৪)
ব্যাখ্যাঃ
সুদের নিম্নমানের গুনাহ হলো মায়ের সাথে যৌন সঙ্গম করা’’ সুদের গুনাহ যিনার চাইতেও অধিক মারাত্মক কারণ এই যে, এতে অন্যায়ভাবে বান্দার হক বিনষ্ট করা হয়। আর সুদদাতা হয় জুলুমের শিকার। আর যিনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ যিনা সংঘটিত হয় মহিলার সম্মতিক্রমে। ফলে তাতে বান্দার হক বিনষ্ট না হয়ে আল্লাহর হক বিনষ্ট হয়। আল্লাহর হক ক্ষমা করা বা না করা তা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। পক্ষান্তরে বান্দার হক ক্ষমা বান্দার ইচ্ছাধীন। আর পরকালে বান্দার হক বিনষ্ট করার কারণেই অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)