জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও আগে তাকে ফরজে আইন ইলম অর্জন করতে হবে।
তবে সে ফরজে আইন পরিমান জ্ঞানার্জন এর পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েরও জ্ঞানার্জন করতে পারবে।সমস্যা নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
দ্বীনী ইলম অর্জনের সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে, আলিমগণের নিকট থেকে ইলম অর্জন করা।
হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বললেন-
خُذُوا الْعِلْمَ قَبْلَ أَنْ يَذْهَبَ
‘ইলম অর্জন কর তা বিদায় নেওয়ার আগে’। সাহাবীগণ আরয করলেন-
وَكَيْفَ يَذْهَبُ الْعِلْمُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، وَفِينَا كِتَابُ اللَّهِ؟
আল্লাহর নবী! ইলম কীভাবে বিদায় নেবে, আমাদের মাঝে তো রয়েছে আল্লাহর কিতাব?
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথায় তিনি রুষ্ট হলেন। এরপর বললেন-
ثَكِلَتْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ أَوَلَمْ تَكُنِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمْ شَيْئًا؟ إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ، إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ
তোমাদের মরণ হোক! বনী ইসরাইলের মাঝে কি তাওরাত ও ইঞ্জীল ছিল না, কিন্তু এতে তো তাদের কোনোই উপকার হল না! ইলমের প্রস্থানের অর্থ তার বাহকগণের প্রস্থান। -মুসনাদে আহমদ ৫/২৬৬; আদদারেমী ১/৮৬, হাদীস ২৪৫
হাদীসের শুরুতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন ‘ইলম গ্রহণ কর তা বিদায় নেওয়ার আগে’। এরপর ‘ইলম বিদায় নেওয়ার’ অর্থ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ইলম বিদায় নেওয়ার অর্থ আলিমগণের বিদায় নেওয়া। তাহলে এ হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইলমের বাহক তথা আলিমগণের নিকট থেকে ইলম গ্রহণ করতে বলেছেন।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ শিক্ষার প্রতিধ্বনি আমরা শুনতে পাই তাঁর সাহাবীগণের কণ্ঠে।
হযরত আবুদ দারদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
مَا لِي أَرَى عُلَمَاءَكُمْ يَذْهَبُونَ وَجُهَّالَكُمْ لَا يَتَعَلَّمُونَ؟ تعلَّموا قَبْلَ أَنْ يُرْفَعَ الْعِلْمُ، فَإِنَّ رَفْعَ الْعِلْمِ ذَهَابُ الْعُلَمَاءِ
হায়! তোমাদের আলিমগণ বিদায় নিচ্ছেন কিন্তু তোমাদের বে-ইলম শ্রেণি ইলম অর্জন করছে না। ইলম উঠিয়ে নেওয়ার আগেই ইলম হাসিল কর। ইলম উঠিয়ে নেওয়ার অর্থ আলিমদের প্রস্থান। -আদ দারেমী ২৫১
তারপরও নিজে নিজে শিখতে চাইলে কিছু কিতাব পড়তে হবে।
তবে নামাজে যেহেতু কুরআন শরিফ শুদ্ধ পড়া ফরজ,তাই তা অবশ্যই কোনো শুদ্ধ পড়নে ওয়ালার কাছে গিয়ে পড়তে হবে।
ফরজে আইন পরিমান ইলম সম্পর্কে জানুনঃ
নিম্নে বাংলা কিছু কিতাবের নাম উল্লেখ করছিঃ
★আহকামে জিন্দেগী
লেখকঃ মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ ।
ঈমান-আকীদা থেকে শুরু করে ইবাদাত, মুআমালাত, মুআশারাত ও আখলাক-চরিত্র তথা ব্যক্তিগত , পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের যাবতীয় অত্যাবশ্যকীয় বিধি-বিধান, মাসলা-মাসায়েল ও দুআ দুরূদ সম্বলিত এক অনবদ্য গ্রন্থ। একজন মুসলমানের ইসলামী যিন্দেগী পরিচালনার জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন, সংক্ষিপ্তভাবে সে সবকিছু একটি গ্রন্থে সন্নিবেশীত করার প্রয়াস নেয়া হয়েছে আহকামে যিন্দেগীতে।
,
★আহকামুন নিসা
লেখক মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ
★বেহেশতী যেওর
(লেখক হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহঃ)
,
★ইসলামী যিন্দেগী
(মুফতী মাওলানা মানসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ)
★ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ
(লেখক মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ)
★কিতাবুল ঈমান
(মুফতী মাওলানা মানসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ)
শরয়ী সীমারেখার আওতায় থেকে যে কাহারো থেকে ইলম শিক্ষা অর্জন করা যাবে।
এক্ষেত্রে নামাজ পড়ার জন্য কমপক্ষে ফাতেহা সুরা
সহ ৫ টি সুরা ছহীহ ভাবে মুখস্থ করতে হবে।
এটা মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন বা যেকোনো শুদ্ধ ভাবে কুরআন পড়নে ওয়ালার কাছ থেকে শেখা যাবে।
নামাজের যাবতীয় মাসয়ালা মাদ্রাসায় গিয়েও শিখা যাবে।
মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকেও শেখা যাবে।
উলামায়ে কেরামদের কিতাবাদী পড়েও দ্বীনের ফরজ জ্ঞান অর্জন করা যাবে।
তবে কোনো একজন শিক্ষকের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করাই উচিত।
এতে দিকভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
,
তাই কোনো একটি মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে বা কোনো মহিলা শিক্ষিকার কাছ থেকে সামান্য সময় দিয়ে হলেও সেখান থেকে জ্ঞান অর্জন করাই উচিত।
,
এক্ষেত্রে IOM এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এখানে এই বিষয়ে কোর্স করানো হয়।