হাজরে আসওয়াদ। এটি একটি সম্মানিত পাথর।
এছাড়া আর কোন পাথরের আলাদা কোন মর্যাদা ও সম্মান আছে বলে কোন প্রমাণ নেই।
কিন্তু এটিও সম্মানিত হয়েছে কেবলি রাসূল সাঃ এর হাদীসে সেটিকে সম্মানিত বলার কারণে।
সুতরাং পাথর দ্বারা উদ্দেশ্য সাধনের আকিদা রাখা জায়েজ নয়। এসব শিরকের পর্যায়ভূক্ত হবে।
আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২
আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮
★আকিক পাথর সংক্রান্ত কোনো হাদীস পাইনি।
যাহা বর্ণিত হয়েছে,সবই মওযু'
تختموا بالعقيق فإنه مبارك موضوع
- أخرجه المحاملي في " الأمالي " (ج 2 رقم 41 - نسختي) والخطيب في " تاريخه " (11 / 251) وكذا العقيلي في " الضعفاء " (466) من طريق يعقوب بن الوليد المدني، وابن عدي (356 / 1) من طريق يعقوب بن إبراهيم الزهري، كلاهما عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة مرفوعا ومن طريق العقيلي ذكره ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 423) وقال: يعقوب كذاب يضع، قال العقيلي: ولا يثبت في هذا عن النبي صلى الله عليه وسلم شيء
তোমরা আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার কর, কারণ সেটি বরকতপূর্ণ।
হাদীসটি মওযু'।
এটি মাহামেলী “আল-আমলী” গ্রন্থে (২/৪১ নং), খাতীব বাগদাদী তার “আত-তারীখ” গ্রন্থে (১১/২৫১), উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৪৬৬) ইয়াকুব ইবনু ওয়ালীদ আল-মাদানী সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং ইবনু আদী (১/৩৫৬) ইয়াকুব ইবনুল জাওযী উকায়লীর সূত্রে “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (১/৪২৩) উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইয়াকুব মিথ্যুক, জালকারী। উকায়লী বলেনঃ এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কিছুই সাব্যস্ত হয়নি।
من تختم بالعقيق لم يزل يرى خيرا موضوع - رواه ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 57) من طريق ابن حبان يعني في " الضعفاء " (3 / 153) عن زهير بن عباد
যে ব্যাক্তি আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার করবে, সে সর্বদা কল্যাণই দেখতে পাবে।
হাদীসটি মওযু' ।
এটি ইবনুল জাওযী "আল-মাওযু"আত” গ্রন্থে (১/৫৭) ইবনু হিব্বান-এর সূত্র হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান এটিকে “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৩/১৫৩) যুহায়ের ইবনু আব্বাদ হতে ... উল্লেখ করেছেন।
تختموا بالعقيق فإنه أنجح للأمر، واليمنى أحق بالزينة موضوع - أخرجه ابن عساكر (4 / 291 / 1 - 2) في ترجمة الحسن بن محمد بن أحمد بن هشام السلمي بسنده إلى أبي جعفر محمد بن عبد الله البغدادي حدثني محمد بن الحسن - بالباب والأبواب - حدثنا حميد الطويل عن أنس مرفوعا به، قال الحافظ في " اللسان " (2 / 269) : وهو موضوع لا ريب فيه، لكن لا أدري من وضعه وأقره السيوطي في " اللآليء ": (2 / 273)
তোমরা আকিক পাথরের আংটি ব্যাবহার কর। কারণ সেটি কর্ম সম্পাদনে সর্বাপেক্ষা সফল আট ডান হাত সৌন্দর্যের জন্য সর্বাধিক উপযুক্ত।
হাদীসটি মওযু' ।
এটি ইবনু আসাকির (৪/২৯১/১-২) উল্লেখ করেছেন।
হাফিয ইবনু হাজার "লিসানু মীযান” গ্রন্থে (২/২৬৯) বলেনঃ এটি বানোয়াট তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু জানি না কে মওযু' করেছে। তার এ বক্তব্যকে সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৭৩) সমর্থন করেছেন।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাতে/গলায় গহনার সাথে আকীক পাথর চুনি,পান্না পাথর ইত্যাদি। এগুলো ব্যাবহার করা ইসলামে জায়েজ নেই।
তবে হ্যাঁ, যদি কোন পাথর এমন প্রমাণিত হয় যে, এটির কোন বিকিরণ ক্ষমতা থাকে, যা মানুষের শরীরে রাখলে বিশেষ কোন শারিরীক উপকার আসে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে তথা বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণিত হয়, তাহলে উসীলা হিসেবে ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু প্রমাণিত কোন পাথর ছাড়া এমনিতে রাশিচক্র ইত্যাদির উপর বিশ্বাস করে বৈজ্ঞানিকভাবে অপরিক্ষিত পাথরকে প্রতিক্রিয়াশীল মনে করা ও ব্যবহার করা বৈধ হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আকিদা বিশুদ্ধ রেখে আকিক পাথর সম্ভলিত রুপার আংটি ব্যবহার করা যাবে।তবে আকিদা অশুদ্ধ রেখে ব্যবহার করা যাবে না।