আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
280 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম,
শায়েখ, আমি শুনেছি যে আমাদের জাতীয় সংগীতে কিছু লাইন ছিল যেগুলো কিনা শিরকের শামিল। এটা কতটুকু সত্য আর সেই লাইনগুলো কি কি?
teaching job মহিলাদের জন্য একটি সমমান জনক পেশা। কিছু practising Muslim মহিলা আছেন যারা এই পেশায় নিয়োজিত হতে চান। আমার পরিচিত একটি সরকারি মহিলা কলেজেও একজন পরিপূর্ণ হিজাবকারী মহিলা Teacher আছেন যিনি সেখানের Teacher. স্কুল প্রতিষ্ঠানে practising Muslim মহিলাদের প্রয়োজন রয়েছে যাদের থেকে students রা অনুপ্রানিত হতে পারে। সেই teacher এর পারিবারিক আর্থিক সচ্ছলতা নাও থাকতে পারে যার কারণে তিনি teaching জব টাই best বলে বাছাই করে নিয়েছেন। এতে সম্মান পাওয়া যায় এবং হিজাব maintain করে রাখা যায়। মহিলা কলেজ এর চাকরি কিংবা প্রাইমারি স্কুলের চাকরি মহিলাদের জন্য best. Family কেও time দেয়া যায়।  এখন আমার প্রশ্ন হলো যদি জাতীয় সংগীত এবং শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শিরক ও বিদাতের আওতাভুক্ত হয়ে থাকে তবে practising Muslim Teacher দের কি করা উচিত? চাকরির কারণে তো সেইখানে অবস্থান করতে হয়। সেইখানে অবস্থান করলে কি সমস্যা হবে। মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকলে কি আল্লাহ মাফ করে দিবেন। আমাদের মতো সাধারণ নারীদের ই বা কি করার আছে। কোনকিছু বললে তো মানসম্মান নিয়েই সমস্যায় পড়তে হয়। ঘরে বাইরে সব জায়গায়ই তো মহিলাদের নিজের safety নিয়ে নিজেদের কেই ভাবতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো জাতীয় সঙ্গীতে যদি কোনো কুফরী,ইসলাম বিরোধী বাক্য না থাকে,কোনো বাদ্য-বাজনা না থাকে,তাহলে তাহা জায়েজ আছে।
অন্যথায় তাহা জায়েজ নেই।

আমাদের দেশের জাতীয় সংগীতে কুফরী বা শিরকী কোন কথা দৃষ্টিগোচর হয়নি। কবিরা কবিতায় জমিন, আসমানকে সম্বোধন করে ভাব প্রকাশে অনেক কথাই প্রকাশ করে থাকেন। যার সাথে আকীদার সাধারণতঃ কোন সম্পর্ক থাকে না। সেই দৃষ্টিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে শিরকী কোনো কিছু বোধগম্য নয়। 

সুতরাং এ সংগীত গাওয়া যাবে।  
,
আরো জানুনঃ 

তবে কিছু কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ  
এখানে কিছু শিরকী বাক্য আছে।
এই সংগীতে বঙ্গকে ‘সোনার বাংলা’ আখ্যা দেয়া হয়েছে। সেই বাংলাকে হিন্দুদের দেবীর ন্যায় ‘মা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। কারণ হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, দুর্গা, কালি, লক্ষ্মী সহ বিভিন্ন দেবীকে মা বলা হয়, আবার ‘পৃথিবী, স্বদেশ এবং মাটিকে ‘মা’ বা মাতৃরূপী দেবীরুপে সম্বোধন করা হয়। যেভাবে ভারতমাতা বলা হয়। এ গানটি হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সংযুক্ত। যা সম্পূর্ণ শিরক। 

আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.

আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮
,
(০২)
তিনি মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করবেন।
পরবর্তীতে খালেছ দিলে তওবা করবেন,খালেছ দিলে তওবা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...