আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
১।রাতে উঠে বিতির  নামাজ পড়বো ভেবে ঘুমিয়েছিলাম।ঘুম ভাঙলো ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর।এ নামাজ টা কি এখন সকালে পড়তে পারবো?

২।কেউ যদি সূরায় কোনো আয়াত সহীহভাবে তিলওয়াত হয় নি,একারণে পুনরায় সূরা পড়ে নামাজের মধ্যে,যেমনঃদোয়ায়ে কুনুত,,ফাতিহার সাথে মিলানো সূরা,,

তাহলে কি স্বলাতের কোনো ক্ষতি হবে?হলে কি করণীয়?
৩।উস্তায,আমি খাস পর্দা ধরার পর দুনিয়াবি পড়াশোনার কারণে ছবি দেওয়া লাগে নি তেমন!এবার আমাকে ছবি দিতেই হবে। আমার কি গুনাহ হবে?আমার তো অস্বস্তিতে হাত পা শিমশিম করে।কি করবো?আমার উপর কি আল্লাহ নারাজ হয়ে যাবেন?আমার কি তাকওয়া লেভেল নিচে নেমে যাবে?আল্লাহর সাথে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা কমে যাবে?

কি করবো তাহলে?

জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আপনি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পত যখন জাগ্রত হয়েছেন,তখনই বিতর নামাজের কাজা আদায় করবেন।
সকালেও সূর্য উদিত হওয়ার (১০/১৫ মিনিট) পর  আদায় করতে পারবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে নামাজের ক্ষতি হবেনা।
সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে এমন হওয়াতে সমস্যা আছে,প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 
তবে এক্ষেত্রে শুধু সেই আয়াতই পুনরায় তিলাওয়াত করা উচিত।
সুরার শুরু থেকে তিলাওয়াত করা নিয়ম নয়।
,
বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৩)
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, 
প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

হাদিস শরীফে এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ

প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের মতে হারাম। 

তবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে ফটো তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা যায়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)

অহেতুক ছবি তোলা জায়েজ নয়। কিন্তু বাধ্য হলে জায়েজ আছে। 

قَاعِدَة الضرورات تبيح الْمَحْظُورَات

তীব্র প্রয়োজন হারামকে হালাল করে দেয়। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭০] 

قَاعِدَة الضرورات تقدر بِقَدرِهَا

জরুরত তার সীমায় সীমিত থাকবে। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭১] 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেই ছবি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে,এটার প্রয়োজনীয়তা কেমন,সেটি আগে জানতে হবে।
,
এটা যদি আপনার জন্য খুবই বিশেষ প্রয়োজন হয়, তাহলে ছবি দেওয়া জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 387 views
0 votes
1 answer 359 views
...