জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পত যখন জাগ্রত হয়েছেন,তখনই বিতর নামাজের কাজা আদায় করবেন।
সকালেও সূর্য উদিত হওয়ার (১০/১৫ মিনিট) পর আদায় করতে পারবেন।
(০২)
এক্ষেত্রে নামাজের ক্ষতি হবেনা।
সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে এমন হওয়াতে সমস্যা আছে,প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে শুধু সেই আয়াতই পুনরায় তিলাওয়াত করা উচিত।
সুরার শুরু থেকে তিলাওয়াত করা নিয়ম নয়।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে,
প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।
হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون
আ’মাশ তিনি মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্ রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)
ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ
প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের মতে হারাম।
তবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে ফটো তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা যায়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)
অহেতুক ছবি তোলা জায়েজ নয়। কিন্তু বাধ্য হলে জায়েজ আছে।
قَاعِدَة الضرورات تبيح الْمَحْظُورَات
তীব্র প্রয়োজন হারামকে হালাল করে দেয়। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭০]
قَاعِدَة الضرورات تقدر بِقَدرِهَا
জরুরত তার সীমায় সীমিত থাকবে। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭১]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেই ছবি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে,এটার প্রয়োজনীয়তা কেমন,সেটি আগে জানতে হবে।
,
এটা যদি আপনার জন্য খুবই বিশেষ প্রয়োজন হয়, তাহলে ছবি দেওয়া জায়েয হবে।