১/অসিলা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?চার মাযহাবের মত এ সম্পর্কে জানতে চাই!
॥॥॥॥॥॥১/ অসীলা অর্থ কি?
উ: অসীলা শব্দটির ক্রিয়ামূল/মাসদার হলো- ‘তাওয়াস্সুল’, মানে কোন বস্তুর নিকটবর্তী হওয়া এবং তার নিকটে পৌছা।
অসীলা অর্থ: নৈকট্য অর্জন করা।
২/কোন কোন জিনিসের অসীলা ধরা শরীয়ত সম্মত?
উ: কয়েকটি জিনিসের অসীলা ধরা শরীয়ত সম্মত, যথা:
1. আল্লাহ্ তায়ালার নাম ও গুণাবলীর দ্বারা
2. ঈমান ও সৎ আমলের মাধ্যমে
3. আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদের মাধ্যমে
4. স্বীয় দুর্বলতা, প্রয়োজন ও দরিদ্রতা প্রকাশের মাধ্যমে
5. জীবিত সৎ ব্যক্তিদের দু‘আর মাধ্যমে
6. নিজের গুনাহ ও পাপের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে
৩/নিষিদ্ধ অসীলা বলতে কি বুঝায়? উদাহরণ সহ লিখুন!
উ: নিষিদ্ধ অসীলা বলতে বুঝায় শরীয়াত সম্মত অসীলাগুলো ব্যতীত বাকী সকল অসীলা। যেমন: মৃত ব্যক্তিদের অসীলায় প্রার্থনা ও শাফায়াত তলব করা। অনুরূপ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান ও মর্যাদার দ্বারা অসীলা করা। কিংবা কোন মাখলূকের ব্যক্তি সত্ত্বা অথবা অধিকারের দ্বারা অসীলা করা।
৪/উমার বিন খাত্তাব, মুয়াবিয়াহ্ বিন আবূ সুফিয়ান ও অন্যান্য সাহাবাগণ এবং তাঁদের সঠিকভাবে অনুসরণকারী তাবিয়ীগণ যখন অনাবৃষ্টির শিকার হতেন তখন তাঁরা আব্বাস এবং ইয়াযীদ বিন আসওয়াদ প্রমুখদের মাধ্যমেই আল্লাহর নিকটে বৃষ্টি প্রার্থনা, অসীলা ধরতেন এবং সুপারিশ তলব করতেন। কিন্তু কখনই তাঁরা রসূল এর কবরের নিকটে বা অন্য স্থানে রসূল এর অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করেননি কেন?
উ: কারণ, রাসূল স. মৃত্যু বরণ করেছেন। আর মৃত ব্যক্তি কারো জন্য দুয়া করতে সক্ষম নয়। তাই তাঁর কাছে দুয়া চাইতেন না।
৫/আব্বাস ও ইয়াযীদ বিন আসওয়াদ প্রমুখের ওসীলায় বা মাধ্যমে দুয়া করার ব্যাখ্যা কি?
উ: এর ব্যাখ্যা হলো তাদের কাছে গিয়ে তাদেরকে দুয়া করার জন্য অনুরোধ করা।
এরকম নয় যে, হে আল্লাহ ! আব্বাসের ওসীলায় আমাদেরকে বৃষ্টি দাও . . . . .! এভাবে দুয়া করা হারাম এবং শিরক।
আর এভাবে জায়েয হলে আব্বাসের কেন? রাসূল স. এর ওসীলায় দুয়া করাই বেশী যুক্তি সঙ্গত হতো।
৬/নবী করীম স. এর অসীলায় দুয়া করার বিধান কি?
উত্তর: রসূলের সম্মান ও মর্যাদার অসীলায় দুয়া করা জায়িয নয়। কারণ ইবাদতের কোন বিষয় স্পষ্ট দলীল ব্যতীত সাব্যস্ত হয় না এবং এর স্বপক্ষে কোন দলিল নেই....
এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য কি؟
إذا سألتم الله فاسألوه بجاهي، فإن جاهي عند الله عظيم
!তোমরা যখন আল্লাহর নিকটে কোন কিছু চাইবে তখন আমার সম্মান ও মর্যাদার অসীলা করে চাও। কারণ আল্লাহর নিকটে আমার মর্যাদা মহান।’
উত্তর: হাদীসটি জাল। মুসলমানদের নির্ভরযোগ্য কোন কিতাবে তা উল্লেখ নেই। কোন হাদীস বিশারদ ও বিশেষজ্ঞগণ তা উল্লেখ করেননি।- মাজমূউল ফাতাওয়া ১০/৩১৯।॥॥॥॥॥
২/উপরোক্ত আক্বিদাহ কী শরিয়ত সম্মত??
৩/চার মাযহাবে তাওহিদ সম্পর্কিত আক্বিদাহগত কোন পার্থক্য আছে কী?
৪/শির্কের কারণে ব্যাক্তির সকল আমল বিফলে যাবে,এখানে কি ছোট শির্কও অর্ন্তভূক্ত?
৫/এমন ব্যাক্তি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি, যে সর্বদা শির্ক নিয়ে চিন্তিত৷ হয়তো তার আক্বিদাহয় ছোট শির্ক রয়েছে যা তার অজানা৷আল্লাহর কাছে সে তার দ্বারা করা অজানা শির্কের ক্ষমা চায় আর তাওহিদ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করে শির্ক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে৷এক্ষেত্রে তাকে কি আল্লাহ ক্ষমা করবে??
৬/আমার বয়স ১৫ বছর;জেনারেলে লাইনের student( JSC)৷ আমি কিভাবে দ্বীনের ইলম অর্জন করব?
৭/আমি তাজবিদ আলহামদুলিল্লাহ ভালোই জানি, হিফজের কোর্সে যতটুকু পড়ানো হয় তা পড়তে গিয়ে আমার জেনারেল লাইনের পড়াতে সমস্যা হয় বিধায় বাবা বলেন সময় করে পরে কখনো হবে,এমন অবস্থায় আমার কি নিজে নিজে হিফজ করা উচিত হবে?