আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
প্রশ্নটি একজনের পক্ষ থেকেঃ

"আমার ভাইর কিছু অমানবিক কাজ দেখে নিকট আত্মীয় বললেন যে হয়তো ভাইকে জাদুটোনা করা হয়েছে, চেক করে দেখতে। একজন হুজুরকে জিজ্ঞেস করায় উনি আমার ভাই, মা-বাবার নাম জেনে বুধবার রাতে ইস্তিখারার সালাত আদায় করে পরদিন জানালেন যে মূলত আমার ভাইর মনের মাঝে সমস্যা। ব্যক্তি হিসাবে তিনি একমুখী আর রিসেন্টলি উনার উপর বশ্যতার জন্য কিছু করা হয়েছে। কে করেছেন জিজ্ঞেস করায় তিনি আমার ভাবি, উনার মা-বাবার নাম নিয়ে আবারও ইস্তিখারার সালাত আদায় করলেন। এরপর জানালেন যে আমার ভাবি মানুষ হিসেবে মিশুক নয়, তিনি আলাদা থাকতে পছন্দ করেন। যেহেতু আমাদের পরিবারে অন্যকোনো ভাই-ভাবি নেই যে সমস্যা হবে বরং উনিই একমাত্র ভাবি তাই আমি উনার এমনটা চাওয়ার কারন জানতে চাইলাম। জবাবে ওই হুজুর বললেন যে আপনার ভাবি মানুষ হিসেবে এত সুবিধার না, উনি উনার মনের কথা শোনেন। অস্থির মন উনার, আরামে থেকেও বুঝতে পারছেন না। বশ্যতা চেষ্টা ভাবির বাড়ির পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এখন আপনারা বললে আমি ওই বশ্যতার ব্যাপারটা কাটিয়ে দিতে পারি আর আপনার ভাবির জন্য কোর'আনের আলোকে হেদায়াতের তালাব করতে পারি। কিন্তু আমার প্রশ্ন এগুলো করা কি জায়েয? প্লিজ আমাকে ক্লিয়ারলি জানাবেন, আমার ইলম একবারে কম তাই নিজ থেকে বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা, সাহস রাখি না। এইভাবে বশ্যতা কাটানোর জন্য তালাবি করা কি জায়েয?  আর যদি জায়েয না হয় তাহলে কি করা উচিত? আমার ভাই ত এইসব বিশ্বাস ই করবেন না। উনি নামায পড়েন না, হুজুরদের প্রতিও নেগেটিভ ধারনা। দয়া করে আমাকে পরামর্শ দিন, জায়েয-নাজায়েয, করনীয় বলুন প্লিজ..প্লিজ..প্লিজ.."

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না
وَعِنْدَهٗ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لا يَعْلَمُهَاۤ اِلَّا هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِنْ وَّرَقَةٍ اِلَّا يَعْلَمُهَا وَلا حَبَّةٍ فِىْ ظُلُمٰتِ الْاَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَّلَا يَابِسٍ اِلَّا فِىْ كِتٰبٍ مُّبِيْنٍ 
অর্থ : আর তাঁর কাছে রয়েছে গায়েবের সকল চাবিকাঠী। তিনি ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জানে না। অধিকন্তু তিনি অবগত রয়েছেন স্থলে ও জলে যাকিছু আছে। এমনকি তার অজ্ঞাতে বৃক্ষের একটি পাতাও ঝরে না। না পড়ে মাটির অন্ধকারে কোন বীজ, না কোন ভেজা ও শুষ্ক কিছু; কিন্তু তা সবই রয়েছে সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ। (সূরা আনয়াম, আয়াত নং-৫৯) 

আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না-
قُلْ لَّاۤ اَمْلِكُ لِنَفْسِىْ نَفْعًا وَّلَا ضَرًّا اِلَّا مَا شَآءَ اللهُ وَلَوْ كُنْتُ اَعْلَمُ الْغَيْبَ لاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِىَ السُّوٓءُ اِنْ اَنَا اِلَّا نَذِيْرٌ وَّبَشِيْرٌ لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ 
অর্থ: (হে নবী!) বলুন, ‘আমি আমার নিজের কোন উপকার ও ক্ষতির মালিক নই, তবে আল্লাহ যা চান। তাছাড়া আমি যদি গায়েব জানতাম তবে অধিক কল্যাণ লাভ করতাম। অধিকন্তু আমাকে কোনো ক্ষতিই স্পর্শ করতে পারত না। আমি কেবল একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা এমন সম্প্রদায়ের জন্য, যারা বিশ্বাস করে’।(সূরা আ’রাফ, আয়াত নং-১৮৮)


আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِه ۤ اَحَدًا , اِلَّا مَنِ ارْتَضٰى مِنْ رَّسُوْلٍ فَاِنَّهٗ يَسْلُكُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِه رَصَدًا , لِيَعْلَمَ اَنْ قَدْاَبْلَغُوْا رِسٰلٰتِ رَبِّهِمْ وَاَحَاطَ بِمَا لَدَيْهِمْ وَاَحْصٰى كُلَّ شَىْءٍ عَدَدًا 
অর্থ: একমাত্র তিনিই (আল্লাহ) অদৃশ্যের জ্ঞানী, তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান তিনি কারো কাছে প্রকাশ করেন না। তবে তাঁর মনোনীত রাসূল ছাড়া। এরপর তার সামনে ও পিছনে তিনি প্রহরী মোতায়েন করে দেন। যাতে তিনি জানতে পারেন যে, তারা আপন পালনকর্তার রেসালাতের দাওয়াত পৌঁছিয়েছে কী-না। সর্বোপরি তাদের কাছে যাকিছু রয়েছে, সেগুলো তিনি পরিবেষ্টন করে রেখেছেন। অনন্তর তিনি প্রতিটি বস্তুর গুণে গুণে হিসাব করে রেখেছেন।(সূরা জ্বীন, আয়াত -২৬-২৮)


আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না
قُلْ اِنْ اَدْرِىْۤ اَقَرِيْبٌ مَّا تُوْعَدُوْنَ اَمْ يَجْعَلُ لَهٗ رَبّىْۤ اَمَدًا عَالِمُ الْغَيْبِ فَلا يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِه ۤ اَحَدًا 
অর্থ: হে নবী! বলুন, ‘আমি জানি না তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা কি নিকটবর্তী না এর জন্য আমার পালনকর্তা কোনো দীর্ঘ মেয়াদ নির্ধারণ করবেন। আর একমাত্র তিনিই (আল্লাহ) অদৃশ্যের জ্ঞানী, তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না।(সূরা জ্বীন, আয়াত নং-২৫-২৬)


আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না
وَيَقُولُوْنَ لَوْلَاۤ اُنْزِلَ عَلَيْهِ اٰيَةٌ مِّنْ رَّبِّه فَقُلْ اِنَّمَا الْغَيْبُ لِلّٰهِ فَانْتَظِرُوْاۤ اِنّىْ مَعَكُمْ مِّنَ الْمُنْتَظِرِيْنَ 
অর্থ: আর তারা বলে, ‘তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার উপর কোনো নিদর্শন কেন নাযিল করা হয় না’? আপনি বলুন, ‘গায়েবের জ্ঞান তো কেবল আল্লাহরই। অতএব, তোমরা অপেক্ষা করো, আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম।(সূরা ইউনূস, আয়াত নং-২০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আল্লাহ ব্যতিত কেউ গাইবের খবর জানেনা। সুতরাং উক্ত ব্যক্তির এমনটা বলা কখনো উচিৎ হয়নি।
আপনার ভাইকে সর্বদা নামায পড়কে বলুন। এরা মূলত ব্যবসায়ী।





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...