আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
১.দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত পড়তে হবে না পুরো সূরা পড়তে হবে ? যদি তিলাওয়াত করার  মাঝে মাঝে সময় উচ্চারণ গত কোন ভুল হলে নিয়মিত পড়ার কারণে আমল ফযীলত পাওয়া যাবে? এখানে কি দাজ্জাল সামনে আসলে রক্ষা পাওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে না  সকল ফিতনার কথা বোঝানো হয়েছে যেমন নারীদের ফিতনা , দাজ্জালের তৈরি কুফরী জীবন বেবস্থার ফিতনা  ইত্যাদি ফিতনা থেকে পুরোপুরি বাঁচা যাবে?খালেস ঈমান থাকবে?
২. সাইয়িদুল ইস্তিগফার  সকাল ও সন্ধ্যায় আমল করলে সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে ও ঈমানের উপর মৃত্যুর তাওফীক হবে এবং মৃত্যুর সময় চেহারা কি  নূর থাকবে যেমন থাকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে শহীদদের?
৩.একজন মানুষ  কবীরা গুনাহ করছে এবং বাহ্যিক দিক থেকে আনন্দিত মনে হচ্ছে , মনে হচ্ছে না অনূসূচনা আছে এবং   সমাজে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে এর জন্য এমন কাউকে কি তাকফির করা যাবে ? এমন মানুষদের শয়তান কখন  কিভাবে ঈমান ভেঙ্গে দেয় ?
৪.আর যারা কুফরী মধ্যে রয়েছে যেমন সূরা মায়েদার আয়াত অনুযায়ী কেউ কাফের , ফাসেক, যালেম , এখানে যে ফাসেক সে কাফের কখন হবে , এ ক্ষেত্রে তার বাহ্যিক দিক দেখতে হবে না অন্তরের দিক তা কিভাবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
من حفظ عشر آيات من أول سورة الكهف عصم من الدجال (رواه مسلم) من قرأ العشر الأواخر من سورة الكهف، فإنه عصمة من الدجال» أخرجه النسائي. 
সূরা কাহফের প্রথম ও শেষ দশ আয়াত কেউ পড়লে আল্লাহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে হেফাজত করবেন।তবে সূরা কাহফের শেষ দশ আয়াত সম্ভলিত বর্ণনা সায।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাচতে সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে নিতে হবে ও পড়তে হবে।যদি কেউ সমস্ত সূরা পড়ে নেয়, তাহলে তাতেও কোনো সমস্যা হবে না।বরং ফজিলত অর্জিত হবে।

(২)জ্বী,
সাইয়িদুল ইস্তিগফার  সকাল ও সন্ধ্যায় আমল করলে সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।এবং  ঈমানের উপর মৃত্যুর তাওফীক হবে। আর মৃত্যুর সময় চেহারায় নূর থাকবে, যেমন থাকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে শহীদদের।


(৩)
কবিরা গোনাহ করলে মানুষ কাফির হয়।তবে কবিরা গোনাহকে হালাল মনে করলে অবশ্যই সে কাফির হিসেবে বিবেচিত হবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি কাফির হবে না।

(৪)
আপনি উক্ত প্রশ্নটা পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করুন।কমেন্টে পরিস্কার করে লিখে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...