ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কুরআনে বর্ণিত দুয়া যেমন সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত, সুরা কাসাস এর ২৪ নং আয়াত এই ধরণের দুয়াগুলো মনে মনে (যিকির এর মত) করা যাবে।
(২)
সালাতুল হাজতের জন্য আলাদা করে অযু করারর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। ফরজ নামাজের জন্য করা অযুতে এবং নামাজের পর পর আদায় করলে আদায় হবে।
(৩)
ফজরের সময় হয়ে গেলে (যেহেতু আজান সময় হওয়ার পর দেওয়া হয় এবং জামাত আরো পরে হয়) সেই সময়ে তাহাজ্জুত পড়া যাবে না।বরং ফজরের ওয়াক্তের পূর্বেই তাহাজ্জুদ নামায পড়তে হবে।
তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয়।এব তাহাজ্জুদের পরে ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম।(আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই রাত্রে আমাদেরক ঘুমাতে হবে। এবং শেষরাত্রে এশা'র ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২/২০রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।(সূরা মুযযাম্মিল-০৬)