আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
302 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম,

১. কুরআনে বর্ণিত দুয়া যেমন সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত, সুরা কাসাস এর ২৪ নং আয়াত এই ধরণের দুয়াগুলো কি মনে মনে (যিকির এর মত) করা যাবে? নাকি এই দুয়াগুলো করার সময় সর্বদা হাত তুলে দুয়া করতে হবে?

২. সালাতুল হাজতের জন্য কি আলাদা করে অযু করতে হবে?  ফরজ নামাজের জন্য করা অযুতে এবং নামাজের পর পর আদায় করলে আদায় হবে কি?

৩. ফজরের সময় হয়ে গেলে (যেহেতু আজান সময় হওয়ার পর দেওয়া হয় এবং জামাত আরো পরে হয়) সেই সময়ে তাহাজ্জুত পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (665,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কুরআনে বর্ণিত দুয়া যেমন সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত, সুরা কাসাস এর ২৪ নং আয়াত এই ধরণের দুয়াগুলো মনে মনে (যিকির এর মত) করা যাবে।

(২)
সালাতুল হাজতের জন্য আলাদা করে অযু করারর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। ফরজ নামাজের জন্য করা অযুতে এবং নামাজের পর পর আদায় করলে আদায় হবে।

(৩)
ফজরের সময় হয়ে গেলে (যেহেতু আজান সময় হওয়ার পর দেওয়া হয় এবং জামাত আরো পরে হয়) সেই সময়ে তাহাজ্জুত পড়া যাবে না।বরং ফজরের ওয়াক্তের পূর্বেই তাহাজ্জুদ নামায পড়তে হবে।

https://www.ifatwa.info/4385 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয়।এব তাহাজ্জুদের পরে ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম।(আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই রাত্রে আমাদেরক ঘুমাতে হবে। এবং শেষরাত্রে এশা'র ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২/২০রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।(সূরা মুযযাম্মিল-০৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 343 views
0 votes
1 answer 224 views
0 votes
1 answer 329 views
...