আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in পবিত্রতা (Purity) by (80 points)
আসসালামুআলইকুম।

২-৩ দিন ধরে জটিল সমস্যায় ভুগছি।আগে প্রসাব করলে/গোসল করলে কিছুক্ষণ পর আবার কিছু প্রসাব লজ্জাস্থানের সামনে এসে থাকতো।তাই এখন আর আগের মত নামাযের নিকটবর্তী সময়ে প্রসাব করি না।কিন্তু কয়েকদিন ধরে কিছু ওয়াক্ত নামাজের আগে প্রসাব না করলেও নামাযের পর দেখি লজ্জাস্থানের সামনের অংশে কিছু প্রসাব লেগে আছে। প্রসাব এসে থাকে এই ভয়ে এখন আমি ফযরে উঠেও প্রসাব করি না যাতে নামায ঠিকমতো আদায় করতে পারি। গতকাল ফজরে ওঠার পর কোনো প্রসাবের চাপ ছিল না লজ্জাস্থানও পরিষ্কার ছিল।কিন্তু মসজিদ থেকে আসার পরে দেখি সামান্য পরিমাণ প্রসাব লেগে আছে। অনুরূপভাবে মাগরিবের সময়ও আমি প্রসাব করি নাই অনেক আগে করেছিলাম এবং পবিত্র ই ছিলাম কিন্তু মসজিদ থেকে এসে দেখি লজ্জাস্থান এ প্রসাব লেগে আছে সামান্য পরিমাণ।এভাবে জামাতে সালাত আদায়ের পরেও আবার কাজ আদায় করা লাগতেছে।আজকেও ফজরে উঠে প্রসাব করিই নাই প্রসাবের চাপ ও ছিল না কিন্তু মসজিদ থেকে এসে দেখি সামান্য পরিমান প্রসাব লজ্জাস্থানের মূখের কাছে লেগে আছে। মসজিদ থেকে ফজর পরে আসতে আসতে সময় ও থাকে না তাই কাযা হয়ে যায়।এখন আমি কি করবো? অন্য সময় স্বাভাবিক কাজ করলে মাঝে মাঝে চেক করলে দেখি লজ্জাস্থান পরিষ্কার আছে তখন কোনো সমস্যা হয় না কিন্তু যখনই নামাজ আদায় করি নামাজের ও অনেক আগে প্রসাব করলেও নামাযের সময়ই নির্দিষ্ট করে এরকম প্রসাব এসে থাকে।অন্য কাজ করলে প্রসাব এসে থাকে না। প্রসাব যেহেতু কেবল নামাযের সময় আসে সম্পূর্ন ওয়াক্ত থাকে না তাই আমিতো মাযুর হিসেবেও গন্য হবো না। এভাবে চলতে থাকলে নামাজ খালি কাযা হতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
https://www.ifatwa.info/6209 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু বা প্রস্রাব উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট।আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযের যখনই লজ্জাস্থানে আদ্রতার দেখা মিলবে, তখন আবার ওজু করে এসে নামায পড়তে হবে।

যখন সারা ওয়াক্ত ব্যাপী উযর দেখা দিবে,তখন আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।

কিন্তু যদি উযর কখনো কমে আসে, সারা ওয়াক্ত ব্যাপী না থাকে,বরং কমপক্ষে এতটুকু সময় পাওয়া যায় যে,উক্ত ওয়াক্তের ফরয সুন্নত নামায পড়া যায়,তাহলে তখন ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে না।সুতরাং তখন হুকম হলো,প্রয়োজন হলেও বারবার ওজু করে নামাযকে সম্পন্ন করা।

যখন আপনার এ রোগ কমে আসবে,তখন আপনি প্রয়োজনে বারংবার অজু করে ঐ নামাযকে সম্পন্ন করবেন।অজুকে ধরে রাখার কৌশল হিসেবে প্রয়োজনে চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারেন।
যদি চেয়ারে বসে নামায পড়ে নিতে পারেন এবং অজু ভঙ্গ না হয়,তখন কিন্তু আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন না। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4504


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...