আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (75 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।আমি মুফতী ইমদাদুল হককে লিখছি।আমি আব্দুল্লাহ।আমি আপনাকে এতদিন আপনাকে মিথ্যা বলেছিলাম।আমার পেশা, বয়স। নিয়েআসলে আমার বয়স ১৪।আমি একজন স্কুলের স্টুডেন্ট।আমি আপনাকে মিথ্যা বলেছিলাম কারন আমার ভয় হয়েছিলাম সত্য জানলে হয়ত আপনি আর আমার কল রিসিভ করবেন না।আমাকে মাফ করবেন।আমি খুবই দুঃ খিত।আমার সত্য জানার পর আমার ওপর কী হুরমতের সকল বিষয় চিন্তা,সন্দেহ প্রবল ধারনা কামভাব আসল উত্তেজনা হল। এইরকম চিন্তাভাবনা সবই কী ওয়াসওয়াসা  হবে। নাকি বিধান পরিবর্তন হবে।

আমাকে মাফ করে দওবেন আমি iom এর স্টুডেন্টও নই। আপনি দয়া করে আমার নম্বর ব্লক করবেন না।

সত্য জানার পর আমার বিধান কী পরিবর্তন হবে।না আগের মতই হুরমত নিয়ে আজীবন কোনো চিন্তা আসলে সেটা ওয়াসওয়াসা।শুধু আমার জন্য।

সত্য জানার পর আপনি আমাকে ঘৃণা করবেন না। দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/644 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ 
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা  প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব
(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)

আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি কেন মিথ্যা বললেন? মিথ্যা বলা ব্যতিতও তো আপনার জন্য আমাদের কাছে মাস'আলা জানতে পারতেন।আমরা কোনো কার্পণ্য করতাম না।যাই হোক,মিথ্যা বলার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।

আর হ্যা,আপনি যেই হোন না কেন? আপনার সম্পর্কে আমরা যে সব বিধিবিধান বলেছিলাম, তার সবগুলোই বহাল থাকবে।আপনি IOM এর স্টুডেন্ট না হলেও আমাদের এখানে প্রশ্ন করতে পারবেন।এতে কেনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...