بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن
يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ
مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ
تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ
كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ
يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন
না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব,
এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান
করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা,
তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস
কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য
স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা
মায়েদা-৮৯)
مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ
فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِى هُوَ خَيْرٌ وَلْيُكَفِّرْ
عَنْ يَمِينِهِ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে
বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কিছুর কসম খায়, তারপর এর বিপরীত কাজে কল্যাণ
দেখে, তাহলে সে যেন উক্ত কল্যাণধর্মী কাজটি করে এবং স্বীয় কসমের
কাফফারা প্রদান করে।{সহীহ মুসলিম, হাদীস
নং-৪৩৬২,সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৩৫২,৪৩৪৭,মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস
নং-৫৯৩১}
অতএব একটি কসমের কাফফারা হল, দশজন গরীব মিসকীনকে দু বেলা তৃপ্তিসহ
খানা খাওয়ানো। অথবা তাদের প্রত্যেককে এক জোড়া করে কাপড় দেওয়া। ।খাওয়ানো পরানো সম্ভব
না হলে, ১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই
কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা।তৃতীয়ত সমার্থ্য না থাকলে ধারাবাহিক
তিনটি রোযা রাখা।
হারেস রাহ. বলেন, হযরত আলী রা. কুরআন মজীদের আয়াত
(তরজমা) (কসমের কাফফারা এই যে, দশজন মিসকীনকে মধ্যমমানের খাবার
দেবে, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক।) এর ব্যাখ্যায় বলেছেন,
দশ জনের প্রত্যেককে দিনে ও রাতে (দু’ বেলা) খাওয়াবে।-ইবনে কাসীর ২/১৪৩;
জাসসাস ২/৪৫৭
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত কাতাদা
রাহ. বলেন,
প্রত্যেক মিসকীনকে দিনে ও রাতে (দু বেলা) খাওয়াবে।(মুসান্নাফ ইবনে আবী
শাইবা, হাদীস : ১২৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে
৪/২৬১; মাবসূত, সারাখসী ৭/১৫)
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي آيَةِ كَفَّارَةِ الْيَمِينِ قَالَ:
«هُوَ الْخِيَارُ فِي هَؤُلَاءِ الثَّلَاثِ الْأُوَلِ، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ شَيْئًا
مِنْ ذَلِكَ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে
কসমের কাফফারার আয়াত সম্পর্কে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম তিনটির বিষয়ে এখতিয়ার আছে।
যদি তাতে সক্ষম না হয়, তাহলে লাগাতার তিনদিন রোযা রাখবে। [সুনানে
সুগরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৩১৮২, মারিফাতুস
সুনান ওয়াল আছার, হাদীস নং-১৯৫৭৫]
প্রশ্নকারী প্রিয় ভাই/বোন!
১.যদি আপনার পক্ষে সরাসরি খাওয়ানো
সম্ভব হয় তাহলে আপনি দশজন গরীব মিসকীনকে দু
বেলা তৃপ্তিসহ খানা খাওবেন।আর তা না হলে ১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা
দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।এবং এ ক্ষেত্রে তাদেরকে জানানো জরুরী নয় বরং আপনার নিয়ত
থাকলেই যথেষ্ট।
২.দশজনের প্রত্যেকজনকে দিনে ও রাতে (দু বেলা) খাওয়াবে।বিশজনকে এক বেলা
খাওয়ালে কাফ্ফারা আদায় হবে না।
৩.জ্বী না। খাওয়ানোর সামর্থ্য
থাকলে রোজা রাখার দ্বারা কাফ্ফারা আদায় হবে না।