ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭. ৫ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২. ৫ভড়ি।
এখানে একটি জিনিষ লক্ষণীয় যে,কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে।অন্যথায় যাকাত আসবে না।
তবে হ্যা যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা যদি এভাবে থাকে যে,কোনো একটির নেসাব পূর্ণ হওয়ার জন্য সামান্য বাকী। তাহলে এক্ষেত্রে যেটা বেশী সেটারই নেসাব পূর্ণ করা হবে।
যেমন কারো কাছে স্বর্ণ ৭. ৫ভড়ির চেয়ে সামান্য কম, তাহলে এমতাবস্থায় রূপা দ্বারা স্বর্ণের নেসাবকে পূর্ণ করা হবে।
টাকা এবং মালের নেসাবঃ
টাকা এবং মালকে রূপার সাথে সংযুক্ত করে রূপার নেসাব হিসেবেই ধরা হবে।
তথা কারো কাছে ৫২. ৫ভড়ি সমমূল্যে র টাকা বা ব্যবসায়িক পণ্য থাকলে তার উপর যাকাত আসবে।
এক্ষেত্রে স্বর্ণকে মানঢন্ড হিসেবে ধরা হবে না।
সোনা রূপার বিক্রয়মূল্য র উপরই যাকাত আসে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!.
সাড়ে সাত ভড়ি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভড়ি রুপ্যর মূল্যর সমপরিমাণ বা তার থেকে বেশী যদি কারো নিকট সম্পদ থাকে, তাহলে তার সমুদয় মালের উপর যাকাত আসবে। এভাবে এক ভড়ি বা দুই ভড়ি হিসেবে যাকাত আসবে না। বরং তার নিকট যত টুকু সম্পদ থাকবে, ঐ সবটুকু সম্পদের ৪০ ভাগের একভাগ যাকাত হিসেবে গরীব মিসকিনকে দিতে হবে।
(২)
জ্বী, হতে পারবে।