আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
349 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম, বিষয়টা হচ্ছে ওয়াদা ভঙ্গ করা নিয়ে, আমার স্বামি যে যে কারণ গুলোতে রেগে যেত আমি আল্লাহ কে বলেছিলাম সেসব বিষয় গুলো আর কখনো করব না স্বামি অনেকদিন রেগে ছিল আল্লাহকে বলেছিলাম স্বামির রাগ যেন মিটিয়ে দেন আমি আর ওইরকম রাগ তোলার মত কাজ করব না কিন্তু একই ভুল আবারো করে ফেলেছি স্বামির সাথে স্বামি আবার রাগ করে আছে, আমার আগের ওয়াদা ভঙ্গ এর জন্য কি কাফফারা দিতে হবে কোনো? আবার কিছু গুনাহ এর কাজ থেকে তওবা করেছি ওয়াদা করেছিলাম যে নাটক সিরিয়াল এসব আর কখনোই দেখব না তাও  আবার শয়তানের ওয়াসয়াসায় পড়ে দেখে ফেলি সাথে সাথে তওবার সালাত ও আদায় করে মাফ চাই আল্লাহর কাছে কিন্তু যেসব বিষয় গুলোতে ওয়াদা করেছিলাম সেগুলা ভঙ্গের জন্য কি কোন কাফফারা দিতে হবে? আমি আল্লাহর নামের ওয়াদা বা রহমতের ওয়াদা এরকম বলে ওয়াদা করি নি শুধু বলতাম যে আল্লাহ আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি তোমার সাথে ওয়াদা করছি এরকম কাজ আর কখনো পরবর্তীতে করব না কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করে ফেলি তওবা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত সাহায্য চাচ্ছি আল্লাহর কাছে কিন্তু ভয় লাগছে, আল্লাহ কি আমাকে শাস্তি দিয়ে স্বামিকে কেড়ে নিবেন? আমার প্রতি কি রহমত উঠিয়ে নিবেন? তাও কাফফারার বিষয় টা জানতে চাচ্ছি, বিস্তারিত জানাবেন, প্রতিবার ওয়াদা ভঙ্গের জন্য কি আলাদা আলাদা কাফফারা নাকি সব গুলো মিলিয়ে এক কাফফারা? জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3101 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
কসম সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণনা করা হয় যে, 
(أَمَّا تَفْسِيرُهَا شَرْعًا) فَالْيَمِينُ فِي الشَّرِيعَةِ عِبَارَةٌ عَنْ عَقْدٍ قَوِيَ بِهِ عَزْمُ الْحَلِفِ عَلَى الْفِعْلِ أَوْ التَّرْكِ كَذَا فِي الْكِفَايَةِ.
ইয়ামিন বা কসম হল, যে ইবারত বা বাক্যমালার দ্বারা কসমকারী কোনো জিনিষ করা বা না করার শপথ করবে,
وَهِيَ نَوْعَانِ: يَمِينٌ بِاَللَّهِ تَعَالَى، أَوْ صِفَتِهِ، وَيَمِينٌ بِغَيْرِهِ، وَهِيَ تَعْلِيقُ الْجَزَاءِ بِالشَّرْطِ كَذَا فِي الْكَافِي.
(أَمَّا الْيَمِينُ بِغَيْرِ اللَّهِ فَنَوْعَانِ) : أَحَدُهُمَا الْيَمِينُ بِالْآبَاءِ، وَالْأَنْبِيَاءِ، وَالصَّوْمِ، وَالصَّلَاةِ، وَسَائِرِ الشَّرَائِعِ، وَالْكَعْبَةِ، وَالْحَرَمِ، وَزَمْزَمَ، وَنَحْوِ ذَلِكَ، وَلَا يَجُوزُ الْحَلِفُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ.
، وَالثَّانِي الشَّرْطُ، وَالْجَزَاءُ، وَهَذَا النَّوْعُ يَنْقَسِمُ إلَى قِسْمَيْنِ: يَمِينٌ بِالْقُرَبِ، وَيَمِينٌ بِغَيْرِ الْقُرْبِ أَمَّا الْيَمِينُ بِالْقُرَبِ فَهُوَ أَنْ يَقُولَ: إنْ فَعَلْت كَذَا فَعَلَيَّ صَوْمٌ، أَوْ صَلَاةٌ، أَوْ حَجَّةٌ، أَوْ عُمْرَةٌ، أَوْ بَدَنَةٌ، أَوْ هَدْيٌ، أَوْ عِتْقُ رَقَبَةٍ، أَوْ صَدَقَةٌ، أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ، وَأَمَّا الْيَمِينُ بِغَيْرِ الْقُرَبِ فَهِيَ الْحَلِفُ بِالطَّلَاقِ، وَالْعَتَاقِ هَكَذَا فِي الْبَدَائِعِ.
কসম দুই প্রকারঃ (১) আল্লাহ বা তার সিফাতের উল্লেখপূর্বক কসম করা (২) আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা। আর তা হচ্ছে, শর্ত ও জাযা । 
আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা আবার দুই প্রকার। যথাঃ (১) বাপ,দাদা ও নবী এবং নামায রোযা ইত্যাদির নাম উল্লেখপূর্বক কসম করা। এটা নাজায়েয। (২) শর্ত এবং জাযা উল্লেখপূর্বক কসম করা। তা আবার দুই প্রকার, যথা- (ক) যেখানে জাযা কোনো প্রকার ইবাদত থেকে হবে, যেমন যদি আমি ঐ কাজ করি, তাহলে আমার উপর রোযা ওয়াজিব। (খ) অথবা জাযা ইবাদতের মধ্য থেকে হবে না। যেমন, আমি যদি ঐ কাজ করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক বা আমার গোলাম আযাদ।  
(وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِاَللَّهِ) فَذِكْرُ اسْمِ اللَّهِ، أَوْ صِفَتِهِ، وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِغَيْرِهِ فَذِكْرُ شَرْطٍ صَالِحٍ، وَجَزَاءٍ صَالِحٍ كَذَا فِي الْكَافِي
«الفتاوى الهندية» (2/ 51)
কসমের রুকুন হল, আল্লাহ শব্দ বা আল্লাহর কোনো সিফাত তাতে উল্লেখ থাকা। আর বিশুদ্ধ ও উপযোক্ত শর্ত এবং জাযা উপস্থিত থাকা। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
”শুধু বলতাম যে আল্লাহ আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি তোমার সাথে ওয়াদা করছি এরকম কাজ আর কখনো পরবর্তীতে করব না” এরকম কথা দ্বারা কসম হয়ে যাবে। সুতরাং যদি ঐ কসম ভঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে কাফফারা আদায় করতে হবে। এবং যতবার কসম ভঙ্গ করবেন, ততবারই আপনাকে কাফফারা দিতে হবে। এবং পাশাপাশি আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...