আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in সালাত(Prayer) by (33 points)
edited by
আত্তাহিয়াতু এর শেষে  অথবা দরুদ শারীফে যখন

মোহাম্মাদান বলি,,তখন মোহাম্মাদ (সাঃ) এর নামের 'বড় হা' এর জায়গায় 'ছোট হা' দিয়ে মোহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম এভাবে ইচ্ছা/অনিচ্চছায় পড়লে--

১) অর্থের পরিবর্তন হবে কি?

২) নামাজ শুদ্দ্ব হবে কি?

৩) ধরুন কোনো ব্যক্তি সঠিক ভাবে এবং সহিহ আরবি পড়তে জানে।

 কিন্তু জানার পরেও যদি সে  '"ঈমান নবায়নের সময়""   যদি আরবিতে না পড়ে যদি নিচে বর্নিতভাবে ঈমান নবায়ন করে তাহলে উক্ত ব্যাক্তির ঈমান নবায়ন হবে কি----
(সহীহ আরবি জানার পরেও,,তা আরবি না পড়ে বাংংলায় সিলেটি ভাষায় ভাবার্থ পড়া>)

"আল্লা বাদে আর কোনো উপাস্য নাই,, মোহাম্মাদ আল্লহ প্রদত্ত রাসুল"
(( লক্ষ্য করুন,, সিলেটি ভাবার্থ দিয়ে এভাবে পড়লে আল্লহ সুবহানাহু তা'য়ালা এর নামের আল্লহ = আল্লা বলা হচ্ছে। আর মোহাম্মাদ (সা:) এর নামের মোহাম্মাদ এর 'বড় হা" এর জায়গায় "ছোট হা" দিয়ে পড়া হচ্ছে))

উপোরক্ত ব্যক্তির এভাবে ঈমান নবায়ন হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আত্তাহিয়াতু এর শেষে  অথবা দরুদ শারীফে যখন মোহাম্মাদান বলা হয়, তখন যদি  মোহাম্মাদ (সাঃ) এর নামের 'বড় হা' এর জায়গায় 'ছোট হা' দিয়ে মোহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম পড়া হয়, তাহলে এ জন্য নামায ফাসিদ হবে না, এবং অর্থের কোনো পরিবর্তন হবে না। ইচ্ছায় পড়া হোক বা অনিচ্চছায় পড়া হোক। ইচ্ছাকৃত এমনটা পড়া মাকরুহে তানযিহি। 
(২) জ্বী, নামায শুদ্ধ হবে। 
(৩) সহীহ আরবি জানার পরেও, আরবিতে না পড়ে বাংলায় সিলেটি ভাষায় কালেমার ভাবার্থ পড়লে ঈমান নবায়ন শুদ্ধ হয়ে যাবে। হ্যা, অর্থ জেনে আরবীতে পড়াই উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 111 views
...