বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
قَالَ فِي الرَّجُلِ يُجْبِرُهُ السُّلْطَانُ عَلَى الطَّلَاقِ، وَالْعَتَاقِ، فَيُطَلِّقُ، أَوْ يُعْتِقُ، وَهُوَ كَارِهٌ إنَّهُ جَائِزٌ وَاقِعٌ، وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَابْتَلَاهُ بِأَشَدَّ مِنْ هَذَا، وَهُوَ يَقَعُ كَيْفَمَا كَانَ، وَبِهِ أَخَذَ عُلَمَاؤُنَا - رَحِمَهُمُ اللَّهُ -، وَقَالُوا: طَلَاقُ الْمُكْرَهِ، وَاقِعٌ سَوَاءٌ كَانَ الْمُكْرِهُ سُلْطَانًا، أَوْ غَيْرَهُ أَكْرَهَهُ بِوَعِيدٍ مُتْلِفٍ، أَوْ غَيْرِ مُتْلِفٍ، وَالْخِلَافُ فِي هَذَا الْفَصْلِ كَانَ مَشْهُورًا بَيْنَ السَّلَفِ مِنْ عُلَمَاءِ التَّابِعِينَ - رَحِمَهُمُ اللَّهُ -
যদি কোনো মানুষকে বাদশা তালাক প্রদানের জন্য বা গোলাম আযাদের জন্য মাজবুর করে নেয়,এবং এই মজবুরির কারণে উক্ত ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়,বা গোলামকে আযাদ করে নেয়,যদি সে তাতে রাজি নয়,তথাপিও তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে, এবং তার গোলামটি আযাদ হয়ে যাবে। আল্লাহ চাইলে ঐ ব্যক্তিকে এর চেয়ে মসিবতের সম্মুখীন করতে পারেন।সুতরাং মানুষ যতবড় মসিবতের সামনেই দাড়াক না কেন,সে যদি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়,বা গোলামকে আযাদ করে নেয়,তাহলে তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে এবং তার গোলাম আযাদ হয়ে যাবে।এটাই আমাদের হানাফি উলামাদের সিদ্ধান্ত। তারা বলে থাকেন যে, কাউকে তালাকের জন্য মজবুর করার পর সে যদি তালাক দেয়,তাহলে তার তালাক পতিত হবে। চায় আপারগ কারী বাদশা হোক বা অন্য কেউ হোক এবং চায় মৃত্যুভয় দেখানো হোক বা না হোক।সর্বাবস্থায় তালাক পতিত হবে।এ মাস'আলা নিয়ে অতীত ও বর্তমানের উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।এমনকি তাবেইনদের সময়ে মতবিরোধ হয়েছিল।
(মাবসুত সারখাসি-২৪/৪০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রীলোকটি যদি স্বামীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে “তালাক” আদায় করে, তাহলে তালাক পতিত হবে।