আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।

আমার একটি সমস্যা অনেক দিন ধরে তাহলো পেশাব করার পর অথবা গোসলের পর শরীর মুছে ফেললেও কিছুক্ষণ পর লজ্জাস্থানে মুখের কাছ সামান্য পরিমাণ প্রসাব এসে থাকে যা টেরও পাওয়া যায় না। অনুরূপভাবে আজকেও প্রথমে এরকম আসে নি কিন্তু ওযু করার পর দেখি এসেছে। দেখার পর টিসু দিয়ে মুছে পুনরায় ওযু করে মসজিদে চলে যাই।

কিন্তু মূল কথা হলো যখন লক্ষ করি যে সামান্য পরিমাণ প্রসাব এসেছে তখন আমি টিসু দিয়ে মুছতে বাথরুমে যাই।কিন্তু বাথরূমে যাওয়ার পর দেখি প্রসাব লজ্জাস্থানে আর দেখা যাচ্ছে না লজ্জাস্থানের মুখ ফাঁকা করলে একটু দেখা যাচ্ছে। তা থেকে আমার সন্দেহ হচ্ছে যে প্রসাব হয়তো মোছার আগেই আমার কাপড়ে লেগে গেছে।কিন্তু আমার কাপড়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ করে নি। তখন বেশি সময় ছিল না দেখে মসজিদে চলে যাই।এখন সন্দেহ হচ্ছে আমার কাপড় কি নাপাক হবে? আমার কি পুনরায় নামায দোহরাতে হবে?আর প্রসাব যদি কাপড়ে লেগেও থাকে লজ্জাস্থানের মুখের কাছে এমন পরিমাণ প্রসাব আসে যা এক ফোঁটার ও কম খুব ভালো ভাবে লক্ষ না করলে বোঝাও যায় এমন পরিমান প্রসাব কি এক দিরহাম হবে?নাপাকি হিসেবে গণ্য হবে?

দয়া করে জরুরী জানাবেন। জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনার কাপড়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ করলেও যেহেতু সেই নাপাকির পরিমান অনেক কম ছিলো,যেটি কোনোভাবেই এক দিরহাম সমপরিমাণ হতে পারেনা।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
এই নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।        

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
وعن أبي هريرة رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
...