আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
508 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ,আমাদের বিয়েটা গোপনে হয়েছিল বাসায় এখনো জানে না আমি বাবার বাসায় থাকি এখনো স্বামি আমাকে নিতে আসবেন বলেছেন পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে নিয়ে যাবেন বলছেন, কিন্তু আমার স্বামি আমাকে কয়েক মাস পর পরই বলে যে উনার সংসার এ শান্তি পাব না আমি যেন আমার বাবা মার পছন্দে বিয়ে করে নেই অন্য কোথাও আমার বাবা মাকে আমার পছন্দ আছে বলেছিলাম বিয়ের কথা বলি নি কিন্তু তারা মেনে নিচ্ছে না এখনো আমাদের, আমাকে এখন বাসা থেকে চাকরি করার কথা বলা হচ্ছে এই ছেলেকে বিয়ে করতে চাইলে্‌...আমার স্বামি আবার আমি যদি কোন ভুল করি তাইলেও এরকম কথা বলেন যে আমি যেন আমার যা খুশি তাই করি আমি মুক্ত আমি যেন উনাকে মুক্ত করে দেই কিন্তু এসব বলার কিছুদিন পরে আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায় কথাবারতা বলেন আবার স্বাভাবিক ভাবে, আমি এখানে কিছু প্রশ্ন উত্তরে দেখেছি তালাকের নিয়াত সহ এরকম বাক্য বলাতেও নাকি এক তালাক হয়ে যায়? কিন্তু উনার তালাক এর নিয়াত ছিল না কিন্তু রাগের মাথায় আমাকে ভয় দেখানোর জন্যই কিনা এরকম বলে হয়তো,  কিন্তু কয়েক মাস পর পরই বলেন যে এরকম বাক্য তাই ভয় পাচ্ছি, আমাকে সেপ্টেম্বর এ নিতে আসবেন আমার স্বামি বলেছিলেন কিন্তু গত পরশু আমি একটু ভুল করে ফেলি উনার সাথে একটু আমাকে নেয়ার জন্য উনাকে তাড়া দিয়ে উনাকে বেশি অস্তির করে ফেলছিলাম তাই উনি রাগে আমাকে বলেছেন আমি যেন বাবা মার কথা মত বিয়ে করে নেই উনার সাথে থাকার আগেই আমি এরকম অস্থির হচ্ছি পরে না জানি কি করি তাই রাগ হয়ে এরকম বলেছেন, আমি দুইদিন ধরে খুব চেষ্টা করে যাচ্ছি উনার সাথে ফোন মেসেজ এ যোগাযোগ করতে, আমাদের বিয়ে হয়েছে ৫ বছর বাসায় জানেও না আমি অন্য কাউকে বিয়ে করলে মন থেকে মানতেও পারব না কখনো, বাসায় তো এই বিয়ের কথা বলতেও পারব না আবার এইটা লুকানোও সম্ভব না অন্য কাউকে মানতেও পারব না আমি, ভেবেছি একা থাকব কিন্তু মেয়ে হয়ে সমাজে একাও তো থাকা যায় না মাহরাম ছাড়া,  আমার এখন কি করা উচিত? আর তালাক এর নিয়াত ছিল কি ছিল না উনার বুঝব কি করে? আর কয়েক মাস পর পরই যে বছরে বেশ কিছুবার এরকম কথা বলে থাকেন এতে কি তালাক হয়ে যাবে? আর এরকম বাক্য এত বার বলাতে প্রতি বার এক তালাক এক তালাক করে হয়ে হয়ে কি তিন তালাক হয়ে গেছে পুরুপর? নিয়াত তো ছিল না হয়তো, খুব ভয় লাগছে আমার, তিন মাস ইদ্দত এর আগেই সব মিট্মাট হয়ে আবার স্বাভাবিক কথা বলতেন উনি সব সময় এসব বাক্য বলার পরেও্‌ আশা করি সঠিক পরামর্শ দিবেন।কি করা উচিত? জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


*****প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় প্রশ্নে উল্লেখিত জাতীয় শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

বিস্তারিত জানুনঃ   
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী যেহেতু বলেছে যে এসব বাক্য বলার সময় কোনোভাবেই তার তালাকের নিয়ত ছিলোনা,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক পতিত হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...