বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
স্বামী-স্ত্রী একজন
আরেক জনের পোষাক সরূপ। তাই তারা একে অপরে পোষাকের মত মিলে মিশে থাকবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
-
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ
الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ
وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ
ۚ
রোযার রাতে তোমাদের
স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং
তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে,
তোমরা আত্নপ্রতারণা
করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা
করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস
কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। (সুরা
বাকারা, আয়াত ১৮৭)
তিনদিনের অধিক এক
মুসলিমের অন্য মুসলিমের সাথে কথা-বার্তা বন্ধ রাখা হারাম।
হাদীস শরীফে এসেছে-
وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ
تَقَاطَعُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا، وَلاَ تَبَاغَضُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا، وَكُونُوا
عِبَادَ اللهِ إِخْوَاناً، وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ
ثَلاَث» . متفق عَلَيْهِ
আনাস রাদিয়াল্লাহু
আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা পরস্পর সম্পর্ক-ছেদ করো না, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর হিংসা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও। কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয়
যে, সে তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের
বেশি কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখবে।’’
(সহীহুল বুখারী ৬০৫৬, ৬০৭৬, মুসলিম ২৫৫৯, তিরমিযী ১৯৩৫, আবূ দাউদ ৪৯১০, আহমাদ ১১৬৬৩, ১২২৮০, ১২৬৪০, ১২৭৬৭, ১২৯৪১, মুওয়াত্তা মালিক ১৬৮৩)
তালাক দেওয়ার অধিকার
শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي
زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ
فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا
النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ
يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ
ইবনু আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল!
আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে
বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেন,
অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে
ঝগড়া হওয়ার পর শুধুমাত্র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে তালাক পতিত হবে না যতক্ষন
স্বামী তালাক না দিবে । চাই যোগাযোগ যতদিনই বিচ্ছিন্ন থাক । তবে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা খুবই মারাত্মক গুনাহ। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরস্পর কথাবার্তা
বলবে এবং মিলেমিশে সংসার করবে।