জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হ্যাঁ এটি উক্ত মৃত ব্যাক্তির জন্য ভালাই আর সুসংবাদ দিকে ইঙ্গিত বহন করে।
কি খুশির সংবাদ রয়েছে,এটি স্পষ্ট ভাবে বলা মুশকিল।
(০২)
মহামারীর সময় মারা গেলে কোনো খুশির সংবাদ নেই।
তবে মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ভালো সংবাদ আছে।
সে শহীদের মর্যাদা প্রাপ্ত হবে।
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ রত অবস্থায় কেহ মারা গেলে সেই প্রকৃত শহীদ।
তবে ইহা ছাড়াও আরো কিছু অবস্থা রয়েছে,যেই অবস্থায় মারা গেলে তারাও শহীদ।
তবে এটা হুকমান শহিদ,তথা এরাও শহীদের মর্যাদা প্রাপ্ত হবে,কিন্তু শহীদের দুনিয়াবি আহকাম (গোসল,কাফন ইত্যাদি না করানোর বিধান) তাদের উপর জারী হবেনা।
রাসুল সাঃ বলেছেন যে মহামারীতে মারা গেলে সে শহীদ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أن جابر بن عتيك أخبره :أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال الشهداء سبعةسوى القتل في سبيل الله المطعون شهيد والغرق شهيد وصاحب ذات الجنب شهيد والمبطون شهيد والحرق شهيد والذي يموت تحت الهدم شهيد والمرأة تموت بجمع شهيد
হযরত জাবের বিন আতীক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করা ছাড়াও সাত প্রকার শহীদ রয়েছে।
১-মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী শহীদ।
২-পানিতে নিমজ্জিত শহীদ।
৩-শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত শহীদ।
৪-পেটের রোগ মৃত্যুবরণকারী শহীদ।
৫-আগ্নিদগ্ধ ব্যক্তি শহীদ।
৬-যে ব্যক্তি ধ্বংসাবশেষের নিচে পড়ে মারা যায় সেও শহীদ।
৭-সন্তান প্রসব করতে মারা যাওয়া নারীও শহীদ। {মুয়াত্তা মালিক, হাদিস নং-৫৫৪, ৮০২, আল মু’জামুল কাবীর, হাদিস নং-১৭৮০, সহীহ কুনুজু সুন্নাতিন নাবাবিয়্যাহ, হাদিস নং-২৩}
★★★সুতরাং মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে কোনো (মুসলমান) মারা গেলে তাদেরকে সরাসরি শহীদ বলা যাবে না।
বলতে হবে শহীদের মর্যাদা প্রাপ্ত। কেননা, ইসলামে শুধু কাফের মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের আঘাতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিকেই শহীদ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু মৃত্যুকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নবী করীম স. এর কথা মতো, মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী প্রত্যেক মুসলমান শহীদি মর্যাদা প্রাপ্ত।
আরো জানুনঃ