আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
শায়েখ, প্রশ্নটি বড় হওয়ায় শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। খুবই পেরেশানিতে আছি।
(১) আমাদের বাসায় একটাই বাথরুম আর সেখানে কমোড বসানো। ইস্তিঞ্জার সময় স্প্রেয়ার দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের সময় পানি ছিটে হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। সেগুলো আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি ধুয়ে ফেলতে। কিন্তু ট্যাপের পানিতে স্প্রেয়ার বা শরীরের নাপাকি লাগা স্থানগুলো ধোয়ার সময় দেখা যায় সেখান থেকে পানি ছিটে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনা এসবে লাগে। লাগার ব্যাপারটা মোটামুটি নিশ্চিত হলেও কোথায় লেগেছে তা ঠিক বোঝা যায় না।
যা হোক, আমি চেষ্টা করি যেন শরীরে কোনো নাপাকি লেগে না থাকে। এভাবে আমার বাথরুমে প্রায় ১ ঘণ্টা বা কখনো কখনো তারও বেশি সময় ব্যয় হয়। এতে বেশ পানিও খরচ হয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে বাসার অন্যদের জন্য এটি কখনোবা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বদনার পানি আমি প্রতিবারই সতর্কতাস্বরূপ ফেলে দিই, কিন্তু বদনার গা ধোয়া হয় না। বদনা ধুতে গেলে সেখান থেকে আবার পানি ছিটে শরীর ও অন্যান্য জায়গায় লাগে।
এখন এহেন পরিস্থিতি বিবেচনায় বদনা কি পাক ধরতে পারব? আর বালতি গুলো?
(অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছিলাম নাপাক কাপড় ধোয়ার বালতিতে ছিটা লাগলেও যেমন তা পাক ধরা হয়, সেরকম অবকাশ আছে কি?)
(২) বদনাটা নাপাক হলে তো আমি অসাবধানতাবশত হাত না ধুয়েই ভেজা হাতে পানির ট্যাপ, জামাকাপড়, বই-খাতা, চেয়ার- টেবিল... এভাবে বাসার অনেক কিছুই তো স্পর্শ করেছি, যাতে নাপাকি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু কোথায় লেগেছে, কতটুকু লেগেছে তা তো বুঝতে পারছি না। এখন এগুলো ধোয়া তো বেশ জটিল। এক্ষেত্রে করণীয় কী?
(৩) যদি কেউ নাপাকি সম্পর্কে এক সময় উদাসীন ছিল, পরে এ সম্পর্কে মাসআলা জেনেছে। তাহলে জানার পর থেকে এ বিষয়গুলোর উপর আমল করলেই হবে, নাকি আগে যে তার পোশাক, ঘরবাড়ি নাপাক ছিল, সেগুলোও পরিষ্কার করে ফেলতে হবে?
এ বিষয়গুলো নিয়ে আসলেই বেশ পেরেশানিতে আছি। আসলেই কি বিষয়গুলো এত জটিল, নাকি এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান