আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
558 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু ওয়ালাইকুম,
আমি এবং আমার স্ত্রী আমরা দুইজন চিকিৎসক, বিয়ের আগে তার পরিবার এবং আমার পরিবারের ভেতর কথা ছিলো সে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে চাইলে আমরা বাধা দেবো কিনা, আমরা তাদের জানিয়ে ছিলাম পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমাদের কোন বাধা নেই, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন ঝামেলা চলতে থাকে পারিবারিক বিষয়ে এবং বিয়ের পর পর আমিও আমার স্ত্রী র অধিকারের ব্যাপারে গাফেল ছিলাম,কিন্তু গত ২.৫ বছরে আমি চেষ্টা করেছি তাকে বুঝার এবং সুন্নাহ অনুযায়ী আমাদের পরিবার কে গড়ার,কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন ই তার কোন কথার সাথে আমারে কথার বৈপরীত্যে দেখা দেয়া,সে আমাকে যুলুম কারী বলে থাকে।

আমার স্ত্রী বর্তমানে একটি হাসপাতালে ট্রেনিং এ রয়েছে এবং একটি মেডিকেল কলেজে লেকচারার পদে রয়েছে।
কিছুদিন আগে আমাকে সে জানায় ট্রেনিং টি সে করতে চাচ্ছে না,কারন হিসাবে সে জানায় ট্রেনিং এর কারনে তার উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।আমি তাকে সাথেই বলি যেহেতু পড়াশোনার ব্যপারে এটি প্রবলেম করছে সেহেতু তুমি ট্রেনিং এবং লেকচারার পদের চাকরি এই দুটোই ছেড়ে দাও।তাহলে বাসায় থেকে পুরোটা সময় পড়াশোনা করা যাবে এবং অবশিষ্ট সময় সংসারে আমার মা কে সাহায্য করবে।

কিন্তু সে লেকচারার পদের চাকরি ছাড়তে নারাজ, সে আমাকে যুলুম কারী বলে আখ্যা দেয়,

আমি তাকে বোঝাতে ব্যার্থ হয়ে এবং তার সাথে আমার ঘটে যাওয়া অতীতের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমি সিদ্ধান্ত নেই সে যদি আমার পরামর্শ না নেয়,এবং স্বামী হিসাবে আমার ইসলামের বাইরে নয় এমন কোন বিষয়ে আনুগত্য না করে আমি তার সাতে আমার বিছানা আলাদা করবো,এবং সেই অনুযায়ী আমি এক সপ্তাহ যাবত ভিন্ন বিছানায় থাকছি,কিন্তু তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করছি না। এটা কি আমার জন্য জায়েজ আছে?
দ্বিতীয়ত আমার আম্মা এবং স্ত্রী আমাকে বলছে আমি নাজায়েজ কাজ করছি এবং স্ত্রীর উপর যুলুম করছি, আম্মার সাথে এটা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং আমার মাকে বুঝানোর চেষ্টা করি আমি ইসলামের ভেতর থেকেই আমার স্ত্রী কে শাসন বা বুজানোর চেষ্টা করছি,কিন্তু আমার মা তা না বুঝে উল্টো আমাকে অভিষাপ দিচ্ছে আমার স্ত্রীর হয়ে,

আল্লাহ কি আমার মায়ের এই অভিশাপ গ্রহন করবে? আমার উপর কি এজন্য আল্লাহর লানত বর্শিত হবে?

জাজাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্ত্রীর সাথে বিয়ের পূর্বে যে সব চুক্তি বা ওয়াদা হয়েছিল, সেই ওয়াদাকে পূর্ণ যত্নসহকারে পূর্ণ করুন। তার সাথে লেখা পড়ার সুযোগ প্রদানের ওয়াদা করা হয়েছিল, তার পূর্ণ করুন। তবে শিক্ষকতার সুযোগ প্রদানের যদি চুক্তি না থাকে, তাহলে সেটা পূর্ণ করা জরুরী নয়। কিন্তু যদি এই মেডিকেল শিক্ষার জন্য যদি লেকচারার পদে চাকুরী করা জরুরী হয়, তাহলে আপনাকে তখন সেই সযোগও দিতে হবে।যদি পূর্ণ  পর্দার পরিবেশ তথায় থাকে। 
আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا الْأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ اللَّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلًا ۚ إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ
আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করার পর সে অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং পাকাপাকি কসম করার পর তা ভঙ্গ করো না, অথচ তোমরা আল্লাহকে জামিন করেছ। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন।(সূরা নাহল-৯১)

https://www.ifatwa.info/6149 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা নিসা-৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি অযথাই আপনার স্ত্রীর আপনার যুলুমকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে, তাহলে আপনি শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে তার সাথে বিছানাকে পৃথক করতে পারেন। এবং এজন্য আপনার মায়ের বদ দু’আর কোনো প্রভাব আপনার উপর পড়বে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,380 points)
জবাব দেয়া হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 305 views
...