ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্ত্রীর সাথে বিয়ের পূর্বে যে সব চুক্তি বা ওয়াদা হয়েছিল, সেই ওয়াদাকে পূর্ণ যত্নসহকারে পূর্ণ করুন। তার সাথে লেখা পড়ার সুযোগ প্রদানের ওয়াদা করা হয়েছিল, তার পূর্ণ করুন। তবে শিক্ষকতার সুযোগ প্রদানের যদি চুক্তি না থাকে, তাহলে সেটা পূর্ণ করা জরুরী নয়। কিন্তু যদি এই মেডিকেল শিক্ষার জন্য যদি লেকচারার পদে চাকুরী করা জরুরী হয়, তাহলে আপনাকে তখন সেই সযোগও দিতে হবে।যদি পূর্ণ পর্দার পরিবেশ তথায় থাকে।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا الْأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ اللَّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلًا ۚ إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ
আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করার পর সে অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং পাকাপাকি কসম করার পর তা ভঙ্গ করো না, অথচ তোমরা আল্লাহকে জামিন করেছ। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন।(সূরা নাহল-৯১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা নিসা-৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি অযথাই আপনার স্ত্রীর আপনার যুলুমকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে, তাহলে আপনি শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে তার সাথে বিছানাকে পৃথক করতে পারেন। এবং এজন্য আপনার মায়ের বদ দু’আর কোনো প্রভাব আপনার উপর পড়বে না।