ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শুকরিয়া আদায় মূলক সেজদা জায়েয। এটা রাসূলুল্লাহ সা. থেকে প্রমাণিত রয়েছে। এতে সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত ।
নামায ব্যতীত সেজদা করা ও সেজদায় দু'আ করা, বাহ্যিক দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না। তবে নিয়মিত না করাই উত্তম।এবং সুন্নাত মনে না করাই উচিৎ।(এমদাদুল ফাতাওয়া, ১/৬৪০)
তবে শুকরিয়া আদায় মূলক নফল নামায, এ নামাযের বৈধতা নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।
শুকরিয়ার নামায নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদমান রয়েছে,যারা বৈধতার পক্ষে রয়েছেন,তারা নিম্নোক্ত হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করে থাকেন।
আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
ما رواه ابن ماجه (1391) من طريق سَلَمَة بْن رَجَاءٍ حَدَّثَتْنِي شَعْثَاءُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى رضي الله عنه (أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمَ بُشِّرَ بِرَأْسِ أَبِي جَهْلٍ رَكْعَتَيْنِ) .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ জাহলের শিরশ্ছেদের সুসংবাদ প্রাপ্তি দিবসে দু' রাকআত শোকরানা সালাত (নামায/নামাজ) পড়েন।(সুনানে ইবনে মা'জা-১৩৯১)
শুকরিয়া আদায় করে নামায পড়া বৈধ। (কিতাবুল ফাতাওয়া- ২/৩৮৬, মাজমাউয-যাওয়ঈদ-২/২৮২)তবে উল্লেখসংখ্যক উলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, শুকরিয়া আদায় মূলক কোনো নামায রাসূলুল্লাহ সা. থেকে প্রমাণিত নয়। হ্যা সেজদায়ে শোকর অবশ্যই রয়েছে। সেজদায়ে শোকর দেয়া যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) শুকরিয়া আদায় স্বরুপ কোনো নামায নেই।
(২) আপনি যদি শুকরিয়া আদায় করতে চান, তাহলে বেশী বেশী আল্লাহ ইবাদত করুন। বেশী বেশী নফল ইবাদত আদায় করুন। ফরয নামাযকে যথাসময়ে আদায় করুন। এবং নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায পড়ুন। এবং বেশী বেশী আল-হামদুলিল্লাহ এর তাসবীহ পড়ুন।
(৩) সকল প্রকার নেক আমল করতে পারেন।
মসজিদের প্রবেশ করার পর ওজুর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে দু'রাকাত নামায পড়ে নিলে, সে দু রা'কাত নামায তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ উভয় হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।
এমন কি মসজিদে প্রবেশ করার পর যেকোনো নামায পড়ে নিলেই তা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।আর সে নামায যদি ওজুর পানি শুকানোর পূর্বে হয়,তাহলে তাহিয়্যাতুল ওজু হিসেবেও আদায় হবে।(আহসানুল-ফাতাওয়া-৩/৪৮১)