আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
276 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

১. মুফতি সাহেব, যখন দ্বীনের বুঝ ছিল না, তখন ১০-১১ হাজার টাকার গিটার কেনা হয়েছিল, আল্লহ মাফ করুন। দ্বীনের বুঝ আসার পর সেগুলো ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করলে পরিবার থেকে বাঁধা আসে, তারা বলেন যে, এই বস্তু একসময়ে আমি টাকা দিয়ে কিনেছি, এখন অন্তত বিক্রি করলেও কিছু লাভ হবে, ভেঙে ফেললে সম্পূর্ণ লস। এই নিয়ে বিতর্ক প্রচুর হয়েছে, শেষমেশ ঘরের কোণায় পড়ে আছে গিটার দুটা।
ক. এই গিটার বেঁচে ফেলে সেই টাকা দ্বীনি খাতে ব্যবহার জায়েয কি আছে? তবুও আপদ দূর হতো।
খ.  এখন বিক্রি করতে না পারলে তা ঘরে রাখতে হবে, এতে কি কোনো গুনাহ আছে?
২. আগে তো অনেক গান শোনা হতো, শিখা হতো, সবগুলোর কথা  অশ্লীল ছিল না, কিছু ফিলোসফি নিয়ে গান ছিল অথবা কিছু প্রকৃতি নিয়ে। এরূপ শালীন গান স্মৃতিতে রয়ে গেছে, যেহেতু একটা সময় এগুলো রীতিমতো রেওয়াজ করা হতো।
ক. এই গানগুলো বাদ্যযন্ত্র ছাড়া খালিগলায় স্বামীর সামনে গাওয়া জায়েয হবে কি?
খ. যদি জায়েয না হয়, তবে এই গান অন্তর হতে কীভাবে দূর করা যেতে পারে?
৩. তাজউইদ মশক করার সময় সব শব্দ ভেঙে ভেঙে উচ্চারণ করার অভ্যাস হয়ে গেছে, সলাতেও ক্বিরাত বা তসবীহ বলার সময় দুই তিনবার বলে ফেলছি, মশক করার মতো। করার পর বুঝতে পারছি।
ক.  এভাবে কোনো শব্দ সলাতের মাঝখানে মশক করার মতো হয়ে গেলে কি গুনাহ হবে? বা কোনো সমস্যা হবে?
যেমন- সুবহানা রব্বিয়াল আযীম বলার সময় ع আর ظ যদি মনমতো না হয় তবে অভ্যাস বশে আবার বলে ফেলি আযীম!
খ. জোরে মশক করতে করতে সলাতের তিলাওয়াতও জোরে হয়ে যায়, মেয়েদের কি এভাবে জোরে তিলাওয়াত জায়েয হবে ঘরের কোণে একাকী সলাতে?
৪. কেউ যদি দুনিয়াবী পরীক্ষার জন্য দ্বীনি ঈলম অর্জনে কিছুদিন বিরতি নেয়, এতে গুনাহ আছে কি?
৫. আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধিকাংশই ঢাকায় অথবা অন্যান্য বিভাগীয় শহরে। আর সাধারণত বাবামারা চান আমরা ভালো কোথাও পড়ি। যেহেতু তাদের দ্বীনের বুঝ কিছুটা কম, তারা মাহরম ছাড়া থাকার নিষেধাজ্ঞা ব্যাপারে জানেন না, বলার পরেও গুরুত্ব দেন না। আর না পড়ার তো কোনো অপশন রাখেনই না।
ক. এহেন অবস্থায় কেউ যদি দূরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাহরম ব্যাতীত পড়তে যায় তবে কি সেটা জায়েয আছে?
খ. মেয়েদের জন্য কি গার্ডেনিং বা কৃষি বিষয়ে স্নাতক জায়েয?  এই বিষয়ে পড়তে পারলে আমি বাসা থেকেই পড়তে পারবো ইন শা আল্লহ।
৬. আমাদের রাতে কখন ঘুমানো উচিত?
৭. মাদ্রাসায় ক্লাস চলে ১১:৩০ পর্যন্ত, তখন অভিভাবক ক্লাস করতে দেন না, কারণ রাত জাগলে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এই ক্ষেত্রে তাদের কথা শুনলে গুনাহ হবে কি? ক্লাসের রেকর্ড থাকে, পরবর্তীতে শোনা যায়।
৮. মেয়েদের সলাতে কি তাদের গোড়ালি ঢাকা বাধ্যতামূলক?
৯. বাসার আশেপাশে ইমিডিয়েট কোনো বাসা নাই, যেটা আছে সেটায় কেউ থাকে না। এক বাসা পরেই বিল্ডিং আছে সেখান থেকে ছাদ দেখা যায়। সেখানে গইরে মাহরম আছে।
ক. এমন অবস্থায় ছাদে যাওয়ার সময় কি সম্পূর্ণ আবায়া খিমার জড়িয়ে যেতে হবে? যেহেতু তারা একটু দূরে, হয়তো সব স্পষ্ট দেখা যাবে না।
খ. এই সময় মুখ খোলা রাখলে তারা বুঝবে যে মুখ খোলা আছে কিন্তু তাতে চেহারা বোঝা যাবে না। এই ক্ষেত্রে মুখ খোলা কি জায়েয আছে?
গ. এই অবস্থায় কি পা খোলা রাখা জায়েয আছে? ছাদে ওঠার সময় কি মোজা পরে যেতে হবে?

১০. বিড়ালকে তো পবিত্র প্রাণী বলা হয়,

ক. বিড়ালের লোম গায়ে থাকলে কি আবার ওজুর জরুরত হবে? নাকি লোম সরালেই হবে?
খ. বিড়াল জায়নামাজ পছন্দ করে, দেখলে বসে পরে। এরপর কি জায়নামাজ ধোয়া দরকার?
গ. আর এসব যদি করা জরুরি নাও হয়ে থাকে কিন্তু কেউ শুচিবায়ুর জন্য এগুলো সহ্য করতে পারছে না, বারবার ওজু করছে গুসল করছে, সে কি গুনাহ করলো? (যেহেতু সে পবিত্র জানা সত্ত্বেও আবার পবিত্রতা অর্জন করতে চাইলো?)
১১. কেউ যদি অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার পর সলাত আদায় করতে ওজু করেও যথেষ্ট পবিত্র অনুভব না করে, এতে কি গুনাহ হবে?
১২. মেয়েদের তো বাইরে সুগন্ধি ব্যবহার হারাম।

ক. কিন্তু কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্টের যে একটা সুবাস থাকে, সেটা এমন যে, কেউ কাপড়ে নাক লাগিয়ে ঘ্রাণ নিলেই টের পাবে, এমনিতে পাবে না। এতে কি সমস্যা হবে?
খ. এমন অল্প সুগন্ধি যা আগে দেয়া হয়েছিল, যা গায়ে নাক লাগিয়ে ঘ্রাণ না নিলে টের পাওয়া যাবে না, সেটায় কি সমস্যা হবে?
গ. কেউ যদি ঘামের গন্ধ এড়াতে অল্প পরিমাণ এইভাবে ব্যবহার করে যে কেউ নাক না লাগালে টের পাবে না, তাতে কি গুনাহ রয়েছে?
১৩. পরিবারে এমন কিছু আত্মীয় আছেন যারা কথায় কথায় কিছু হাদিস নিয়ে ইচ্ছামতো বলতে থাকেন যে এটা জাল এটা তো ভুয়া। তখন তাদের সাথে তর্কে যেতে ইচ্ছা করে না, কারণ তারা কোনো যুক্তি মেনে নিতে আসেনি, তারা মনমতো গুছিয়ে নিয়েছে। ফেমিনিজমের চশমা দিয়ে সব দেখছে। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে তর্ক শুরু হয়েই যায়।
ক.  এরূপ অবস্থায় যদি চুপ থাকা হয়, তাহলে কি পাপ হবে?
খ. এহেন আত্মীয়ের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখা কি বাধ্যতামূলক?
গ. এই আত্মীয়ের সঙ্গে যদি সম্পর্ক রাখা জায়েয না হয় কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির চাপে কথা বলতেই হচ্ছে, তখন কীভাবে কথা বলা উচিত আর এইরকম টপিক আসলে কী বলা উচিত?
ঘ. এদের কাছে অনেক ছবি আছে আমার যা তারা ফেসবুকে আপলোড করেছে। বোধহয় ৫০+ প্লাস বার বলা হয়েছে রিমুভ করতে, কিন্তু করে নাই তারা। এই বেপর্দা ছবিগুলো কি আমার গুনাহের কারণ হবে? আমি যদি তাদের আর রিমুভ করতে না বলি তাতে কি গুনাহ হবে? তারা করেন না, বরং আমার সাথে এই সেই তর্ক করতে চান, দিনশেষে আমিই হতাশ হয়ে পড়ি।
১৪. আমি ক্যাডেট কলেজে পড়ি। আলহামদুলিল্লাহ, করোনা আমার জন্য একটা নিয়ামত। লকডাউনে আল্লহ দ্বীনের পথে আসার তওফিক দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। কলেজে দ্বীন পালনের পরিবেশ নাই এটা তো আসলে আপনারা জানেন, আমার ক্যাডেট দ্বীনি বোন আনিকা বুশরা তার কলেজের কথা বর্ণনা করেছে  এবং সেই ব্যাপারে আপনাদের উত্তর আমি পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তার কলেজ থেকে আমার কলেজ এই দিক দিয়ে আল্লহর রহমাতে কিছুটা শিথিল আলহামদুলিল্লাহ। যেমন আমাদের কুরআন রাখা যায়, তিলাওয়াত করা যায়,  এবং সাধারণত এটা দেখলে টিচাররা খুশিই হন। এবং আমাদের ওরকম হ্যান্ডশেক করা হয় না, বা ঘরে কোনো পুরুষ আসতে পারে না। যেটা তাদের এখানে অহরহ হচ্ছে। কিন্তু, তাই বলে আমার কলেজ খুব ভালো কোনো জায়গা নয়। এখানে আসরের সলাতের ওয়াক্তে গেমস হয়(অন্যান্য ক্যাডেট কলেজেও এই অবস্থা) , আর কলেজে ছেলেদের মতো খাকি শার্ট প্যান্ট পরতে হয়, ট্রাউজার্স আর টিশার্ট পড়তে হয়, আর পর্দা যে করা যায় না তা তো আর বলতে হবে না ইন শা আল্লহ, এটা দুনিয়ার সবাই জানে :) এবং আমাদের ছবি রাখা হয় ওয়েবসাইটে, যেটা কখনো ডিলিট করা হবে না, আমাদের আইএসএসবি করা বাধ্যতামূলক(ভর্তি হওয়ার সময় দলীল করে দেয়া হয়েছিল এই বিষয়ে বিস্তারিত), যেখানে আমাদের নগ্ন করে চেকাপ করা হবে(মেয়েরা করবেন, তবুও তো তা নাজায়েয), আমাদের শিক্ষা সফরে বাইরে বেপর্দা নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তো সলাতের কোনো নাম গন্ধ থাকে না, আমাদের গইরে মাহরমদের সামনে শারীরিক কসরত করানো হয়, ছেলে ইন্সট্রাক্টর দিয়ে পিটি করানো হয়, বেপর্দা থেকে গইরে মাহরমের সামনে লাফালাফি করতে হয়, আমাদের বৃহস্পতিবার রাতে বাধ্যতামূলকভাবে মুভি দেখানো হয়, আমাদের ডাইনিং এ খাওয়ার সময়েও গান চলে, আমাদের হাউজে সারাক্ষণ সিনিয়ররা গান চালিয়ে রাখেন, চুড়ান্ত অশ্লীল ধরনের গান, আমাদের বিভিন্ন দিবস খুব ঘটা করে পালন করা হয়, পহেলা বৈশাখে ইদানীং শাড়ি পরে সেজেগুজে বের হওয়াও একটা নিয়ম...  আরো কত কী।
এসবের মাঝে যে থাকা হারাম তা জানতে আমার কোনো ফাতওয়া দরকার ছিল না! কিন্তু, ওখান থেকে আসা আমার জন্য সম্ভব হচ্ছে না, কারণ আসতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আসতে হবে। কয়েক লাখ তো হবেই। যা একটু কষ্ট করলে হয়তো জোগাড় করা যেত এবং আমার পরিবার হয়তো করতোও, কিন্তু, এত টাকা ঋণ নিয়ে অথবা জমি বিক্রি করে অথবা যেভাবেই হোক, জোগাড় করতে তারা ইচ্ছুক নন, আর আমি জেদ করেও একটা ফায়সালা করতে বাধ্য করেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আমার শিক্ষার মাধ্যম, আমরা ইংরেজি ভার্সন পড়ি, যা ময়মনসিংহের আর কোনো কলেজে পড়ানো হয় না, এবং প্রাইভেটে ইংরেজি ভার্সন থেকে নাকি বোর্ড পরীক্ষা দেয়া যায় না। আমার বাবামা আমার জেদ দেখে কষ্ট দেখে টাকা খরচ করতে পারবেন, কিন্তু পরে আর কোথাও পড়ার চান্স নাই এই দেখে তারা আর দেন নাই। তারা মোটামুটি দ্বীন বোঝেন, আলহামদুলিল্লাহ তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেন, কিন্তু তারা এমন পর্যায়ে এখনও পৌঁছাতে পারেন নাই যে আমার পড়াশোনা তারা বাদ দিয়ে দিবেন :) আমার পড়া বাদ দিতে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু, এইটা তারা ছাড়তে দিবেন না। কোনোভাবেই না। আর আমি সায়েন্স ম্যাথ এগুলো বাংলা কিছুই বুঝি না, আমার বাংলায় পড়ার কোনো চান্স নাই, আমাকে ভর্তিই নিবে না। আর কোথাও পড়ার রাস্তা থাকলেও তারা মেনে নিতো, নিয়েছিলই, কিন্তু এই খবর জানার পর আর আসা হয় নাই আমার কলেজ থেকে। এখন...  আসলে আমি যতই কাঁদি বা ডিপ্রেশনে থাকি, তারা আমাকে বলেন যেন আর দুইটা বছর কোনোভাবে কাটাই, ছবি তোলার সময় মুখ লুকিয়ে, গেমস পিটিতে ফাঁকি দিয়ে, মুভি টাইমে ওয়াশরুমে গিয়ে। আমি তাদের জায়গা থেকে আমাকে দেখে বুঝি যে আমি অনেকের থেকে ভালো অবস্থানে আছি, কেননা আমার আব্বা আম্মা আমাকে যতটুকু দিয়েছেন তা অনেকেই পায় নাই, কিন্তু তবুও বিষয়টার সাথে আমার মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে, সত্য বলতে মানিয়ে নেয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নাই।
ক. এই অবস্থায় আমার কী করা উচিত? কীভাবে আব্বা আম্মাকে বুঝাতে পারি?
খ. যদি তারা তবুও রাজি না হন, তখন কি আমি করোনা যেন আরো অনেকদিন থাকে এইজন্য দু'আ করতে পারবো? এতে অনেকের ক্ষতি হবে, কিন্তু এরকম অনেক দমবন্ধ হয়ে মরতে থাকা ক্যাডেট বেঁচে যাবে :) এই দু'আ করা কি জায়েয আছে?
গ. আমি যদি শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ হই তাহলে কলেজ থেকে আমাকে আনতে কোনো জরিমানা দিতে হবে না এবং বাবামাও আপত্তি করবেন না। এখন যদি আমি এই উদ্দেশ্যে আল্লহর কাছে এরকম অসুস্থতা চাই তা কি গুনাহের কাজ হবে?
ঘ. সবশেষে যদি আমার কলেজে যেতেই হয়, তাহলে আমার কীভাবে থাকা উচিত? সেখানে গিয়ে মনেমনে কীরকম ধারণা পোষণ করা উচিত আর কীভাবে তওবা করা উচিত, কী কী দু'আ রেগুলার পড়া উচিত? স্যাররা কথা বলতে চাইলে কীভাবে কথা বলা উচিত, মানে বেপর্দা অবস্থায় একজন গইরে মাহরমের সাথে কীভাবে কথা বললে আমার গুনাহ কম হতে পারে?
উল্লেখ্য- আমি ফার্স্ট ক্যাডেট এবং আগে খুবই এক্টিভ একজন ক্যাডেট ছিলাম, আল্লহ মাফ করুন, আমাকে অনেক গেমস স্পোর্টস এ যেতে বলবে  এবং জুনিয়রদের শিখাতে বলবে। তখন আমার কীভাবে উত্তর দেয়া উচিত এটাও বলবেন ইন শা আল্লহ।
জাযাকুমুল্লহু খইরন ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরহ।
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

1 Answer

0 votes
by (597,600 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
উত্তম হল, গিফারকে ভেঙ্গে ফেলা। আপনি চাইলে বিক্রিও করতে পারবেন।
(২)
গানের কথা একেবারে ভুলে যান,মনে আসলে অন্য কাজে মনযোগী হয়ে যান,দেখবেন একদিন এমনিতেই ভুলে যাবেন। আর হ্যা,অর্থ ভালো হলে,স্বামীর সামনে গানের সূর ব্যতিত এমনিতে গাইতে পারবেন।

(৩)
(ক)
নামাযে মশকের মত তিলাওয়াত ভেঙ্গে ভেঙ্গে হলে,নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(খ)
যদি পরপুরুষ না শুনে,তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)
না, গোনাহ হবে না।তকে দৈনন্দিন যে সব ইবাদত রয়েছে,তা কিন্তু যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।

(৫)
গার্ডেনিং বা কৃষি বিষয়ে স্নাতক যেহেতু আপনি ঘর থেকে করতে পারবেন,তাই বিষেয় স্নাতক দিয়ে দেন।এটা মহিলাদের জন্য জায়েয রয়েছে।


(৬)
এশার নামাযের পরপরই ঘুমানো উচিৎ।


(৭)
শিক্ষার স্বার্থে আপনি ইশার পরও জাগ্রত থাকতে পারবেন।রেকর্ড ক্লাসের চেয়ে সরাসরি ক্লাস কতইনা উত্তম। সুতরাং দ্বীনি শিক্ষার স্বার্থে মাতপিতাকে বুঝিয়ে ইশার পর ক্লাসে জয়েন হবেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(৮)
না,বাধ্যতামূলক নয়।

(৯)
দূর থেকে যদি আপনাকে দেখা যায়,যদিও অস্পষ্ট ভাবে, তাহলে এমতাবস্থায়ও পূর্ণ পর্দা করা আপনার উপর ওয়াজিব। সুতরাং এমতাবস্থায়ও আপনি পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলবেন।


(১০)
(ক) লোম সরালেই হবে।অজু করা লাগবে না।
(খ) না, ধৌত করতে হবে না।
(গ) না, গেনাহ হবে না।

(১১)
এমতাবস্থায় নিজেকে অপবিত্র মনে করা অনুচিৎ।

(১২)
(ক) 
কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্টের যে একটা সুবাস থাকে, সেটা এমন যে, কেউ কাপড়ে নাক লাগিয়ে ঘ্রাণ নিলেই টের পাবে, এমনিতে পাবে না। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(খ)
এমন অল্প সুগন্ধি যা আগে দেয়া হয়েছিল, যা গায়ে নাক লাগিয়ে ঘ্রাণ না নিলে টের পাওয়া যাবে না, সেটায় কোনো সমস্যা হবে না।

(গ)
কেউ যদি ঘামের গন্ধ এড়াতে অল্প পরিমাণ এইভাবে ব্যবহার করে যে, কেউ নাক না লাগালে টের পাবে না, তাতে কোনো গুনাহ হবে না।

(১৩)
(ক)
এহেন পরিস্থিতিতে চুপ থাকলে গোনাহ হবে না।
(খ)
না রাখলেও কোনো গোনাহ হবে না।তবে হেদায়তের  দিকে দাওয়াত প্রদানের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখাই উত্তম।
(গ)
সম্পর্ক রাখবেন,তবে এরকম উদ্ভট পরিস্থিতি সামনে আসলে সাথে সাথেই মজলিস থেকে উঠে যাবেন।
(ঘ)
আপনার দায়িত্ব শেষ।এখন আপলোড করলে তাদেরই গোনাহ হবে।আপনার আর বলার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(১৪)
আপনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কলেজ থেকে অভ্যাহতি নেয়ার চেষ্টা করবেন। আর যদি কলেজে যেতেই হয়, তাহলে পূর্ণ পর্দা বা যথাসম্ভব পর্দা করার চেষ্টা করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
জাযাকুমুল্লহু খইরন ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরহ শাইখ। 

by (20 points)
reshown by
১৪ নং এর উত্তর?
by (13 points)
শাইখ, ১৪ নং এর খ এবং গ নম্বর প্রশ্নের উত্তর বুঝতে পারিনি, আমার কি ঐ দু'আগুলো করা জায়েয হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 213 views
...