ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দারুল উলুম দেওবন্দের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও স্থপতির অজানা গল্প শিরোনামে আওয়ার ইসলাম পত্রিকায় একটি আর্টিকেল লিখা হয়, যা আমি হুবহু তুলে ধরছি,
আজ থেকে প্রায় দেড়শত বছর পূর্বে ১২৮২হিজরি সনে দারুল উলূম দেওবন্দ নামে একটি দীনি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়৷ যা দশ বছর সাত্তা মসজিদ অতপর কাজী মসজিদ ও জামে মসজিদ দেওবন্দ ইত্যাদিতে তার শিক্ষা কার্যক্রম চালায়। যখন সতন্ত্র স্থানে আবাসনের প্রয়োজন দেখা দিল তখন সেই স্থানটি সকলে মিলে নির্ধারণ করলেন৷
যে ব্যাপারে বহুদিন পূর্বে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের রূপকার সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলবী রহ. বলেছিলেন, ‘আমার কাছে এ জায়গা থেকে ইলমের সুঘ্রাণ আসছে৷’ অথচ সে সময় এ জায়গায় শহরের ময়লা আবর্জনা ফেলা হতো ৷ [উলামায়ে হক, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৭২]
সে স্থানেই দারুল উলূম দেওবন্দের সর্বপ্রথম ভবন নির্মান করা হয়।যা নওদারা হিসেবে পরিচিত।
দারুল উলূম দেওবন্দের দ্বিতীয় মুহতামিম হজরত শাহ রফী উদ্দীন রহ. এর সময় যখন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে দারুল উলূমের প্রথম ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খনন করা হচ্ছিল ৷ ভবনের চৌহদ্দিও চিহ্নিত করা হলো ৷ তখন শাহ রফী উদ্দীন রহ. রসূলে কারিম সা. কে স্বপ্নে দেখলেন।
তিনি দেখতে পেলেন রাসুল সা. সেখানে আসলেন এবং বললেন, ‘তোমাদের নির্ধারিত চৌহদ্দি তো খুবই সংকীর্ণ ।’ এ কথা বলেই তিনি স্বীয় লাঠিদিয়ে ভবনের ভিত্তি রাখার জন্য জমি চিহ্নিত করে বলেন, দেয়াল এ পর্যন্ত আসা চাই এবং নিশানের উপর ভবন নির্মাণ করা চাই।’
সকালে উঠে তিনি সেখানে যেয়ে তিনি লাঠির দেয়া চিহ্ন দেখতে পেলেন। অতপর সেই চিহ্নিত স্থান খনন করিয়ে ভবন নির্মাণের শুরু করলেন। [তারিখে দারুল উলুম, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা১০৫]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দলীল ও তত্বের আলোকে এবং এত অধিক সংখ্যক উলামাদের সংবাদ প্রদানের মাধ্যমে আমরা উক্ত খবরের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখি যে, তা সত্য।